ঢাকায় ইন্টারসিটি বাস চলতে পারবে না: মেয়র আতিক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বক্তব্য দিচ্ছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য দিচ্ছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর বার্তা দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ঢাকার ভেতরে কোনো ইন্টারসিটি (আন্তঃজেলা) বাস চলতে পারবে না। ঢাকার ভেতর চলবে সিটি বাস।

পাশাপাশি মহাখালী বাস ট্রার্মিনালের সামনের প্রধান সড়কে কোনো বাস দাঁড় না করাতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মহাখালী বাস টার্মিনালে পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ ঘোষণা দেন। তিনি বাস মালিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দাবি মানতে রাজি আছি, কিন্তু আপনাদেরও কথা দিতে হবে যে আমাদের সিদ্ধান্ত মানবেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে গাড়ির যেমন চাপ, মানুষেরও চাপ, চতুর্মুখী এসব চাপ আস্তে আস্তে কমাতে হবে। এসব চাপ কীভাবে সহনীয় পর্যায়ে আনা যায়, সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি।

১৯৮৪ সালে যখন মহাখালী বাসস্ট্যান্ড করা হয়েছিল, সেটি ছিল চরম ভুল। শহরের ভেতরে বাস টার্মিনাল থাকতে পারে না। এটি মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। তাই যতদ্রুত সম্ভব মহাখালী বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়াই হবে আমাদের প্রধান কাজ, যোগ করেন মেয়র।


আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ভেতর বাস টার্মিনাল কেন হবে? ঢাকার ভেতরে চলবে সিটি বাস, আর ইন্টারসিটি বাস শহরের বাইরে চলবে। এটাই হওয়া উচিত।

বাস মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ঢাকার ভেতরে যেন আন্তঃজেলার বাস চলতে না পারে, এগুলো বাইপাস দিয়ে চলে যাবে। আন্তঃজেলার বাস ঢাকার ভেতরে চলতে পারবে না। যানজটের কারণে আমরা এমনিতেই ঢাকা শহরে চলতে পারি না, তার ওপর কেন আন্তঃজেলার বাস ঢাকার ভেতরে চলবে? আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঢাকায় কয়েকটি বাস স্ট্যান্ড রয়েছে, একটি মিরপুরে, একটি মহাখালীতে আর তেজগাঁওয়ে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড রয়েছে। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছিলেন। সেখানে আবার ট্রাক দেখা গেছে। তাই ট্রাক মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কথা দিয়েছেন, রাস্তার ওপর ট্রাক থাকবে না।

পরিবহন খাতের নেতাদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের দুই পাশে কোনো বাস দেখতে চাই না। সবাই অভিযোগ করছে, সারা রাস্তা ভালো, মহাখালী এলেই যানজট। তাই আমি বলতে চাই, রাস্তার দুই পাশে কোনো গাড়ি দাঁড়াতে পারবে না।

মেয়রের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, আমরা মানতে রাজি আছি, তবে বাস টার্মিনালের পাশে ওয়াসার খালের ওপর দিয়ে একটি রাস্তা করে দিলে আমাদের বাস দাঁড়াবে না। আর মহাখালী বাস টার্মিনাল সরিয়ে নিলে আপত্তি থাকবে না, যদি অন্য কোথাও আমাদের জায়গা দেওয়া হয়।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস বে নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, বাস বে নির্মাণ করার জন্য সড়ক ও মহাসড়কের কোনো জায়গা লাগলে ছেড়ে দেবেন। আমরা এর ডিজাইন করছি। তিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পাঠ্যপুস্তকে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়টি যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক ছাতার নিচে কোম্পানিগুলোর বাস চালানোর বিষয়ে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগের বিষয়ে বর্তমান মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে আহ্বায়ক করে নতুনভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে কথা হয়েছে, যতদ্রুত বাস রুট রেশনালাইজ করা যায়, ততই মানুষের জন্য ভালো। পুরনো লক্করঝক্কর বাস শহরে মোটেই কাম্য নয়।

মহাখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল্লাহ শফি, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীসহ অনেকে।

   

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে রাজস্ব শাখার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ৩১০ নং কক্ষে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য বলেন, কক্সবাজার ডিসি অফিসে আগুন ধরার খবর পেয়ে আমরা তৎক্ষনাৎ আসি। এসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যেখানে কিছু কাগজপত্র পুড়ে গেছে।

ঘটনার পরপরই কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

;

বগুড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ খোকন পার্কে ওই প্রার্থীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ শেষে এই জরিমানা করা হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরি ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খাঁন রনির এই জরিমানা করা হয়। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, শহীদ খোকন পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশগ্রহণকারিগণ প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত টি-শার্ট পরিধান করেন। এটি নির্বাচন আচরণ বিধির লঙ্ঘন। প্রার্থী অথবা প্রার্থীর পক্ষে যে-ই প্রচারণা চালাক এটি আচরণবিধি লঙ্ঘন। বিধিমালা আনুযায়ী প্রার্থীর ছবি বা প্রতীক সম্বলিত টি-শার্ট, ফতুয়া, জ্যাকেট পরিধান করা যাবেনা। একারণেই তাঁর জরিমানা করা হয়েছে।

সুলতান মাহমুদ খান রনি বলেন, ‘আমি নিজে ওই টি-শার্ট সরবরাহ করিনি। কেউ হয়তো ভালোবেসে সমাবেশে টি-শার্ট সরবরাহ করে থাকতে পারে। যেহেতু তা আচরণবিধি লঙ্ঘন উল্লেখ করে জরিমানা করা হয়, একারণে সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।’

;

আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে যাবেন না: ইসি রাশেদা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে যাবেন না৷ আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে থেকে যদি ভোটারদের ভয় দেখান তাহলে সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা আমরা বাতিল করে দিব। এরপর কোর্টে যেতে চাইলে যাবেন না হলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। কারণ আমরা কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবো না। আপনারা অবশ্যই আচরণ বিধি মেনে চলবেন।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ইসি রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, আমরা দেখছি ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যান, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করেন। তাঁদের কাছে টেনে নেন। তাঁদের ভোটেই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে।

ইসি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'উপজেলা নির্বাচন আপনি যে এলাকার ভোটার সেই এলাকায় আপনি ভোট প্রদান করবেন৷ এতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনি ওই এলাকায় থেকে কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারবেন না। কাউকে প্রভাবিত করতে পারবেন না, কাউকে ভয় দেখাতে পারবেন না এবং আতংকিত হোক এমন কোন কাজও করতে পারবেন না। এরকম করলে কমিশন আপনাকে আইনগতভাবে ছাড়বে না৷'

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, ১৬ বিজিবি নওগাঁর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান, বগুড়া জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসানসহ গোয়েন্দা বিভাগ, র‍্যাব, আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনও ও থানার অফিসার ইনচার্জ এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ মো. কাদের হোসেন (৩৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত কাদের হোসেন উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে। তিনি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে কাদের হোসেনকে শিবালয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত কাদের হোসেনের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। কাদের হোসেন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলেও জানান তিনি।

;