শোলাকিয়ায় জঙ্গি হানা: ২ বছর পরও রক্তাক্ত স্মৃতি শঙ্কা জাগায়



মায়াবতী মৃন্ময়ী, অতিথি লেখক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কিশোরগঞ্জ থেকে: তারিখটি ছিল ৭ জুলাই। ২০১৬ সাল। দিনটি ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকাল বেলা জঙ্গি হামলায় প্রকম্পিত হলো শান্ত কিশোরগঞ্জ শহর। মারা গেলেন পাঁচ জন। দেশের বৃহত্তম ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে সমবেত লাখ লাখ মানুষ স্তম্ভিত। শোলাকিয়ায় জঙ্গি হানার ২ বছরেও রক্তাক্ত স্মৃতি শঙ্কা জাগায় জনমনে।

২ বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনো তাড়া করে মানুষকে। ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রায় দুই শ’ বছরের ইতিহাসে এমন নাশকতার ঘটনা কোনদিন ঘটে নি। কিশোরগঞ্জের মানুষ এমন হামলার সম্মুখীন কখনো হয় নি।

২ বছর আগে ঈদ জামাতের প্রাক্কালে সংঘটিত রক্তাক্ত ঘটনার স্মৃতিচারণে সেদিনের জামাতের ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আবদুর রউফ আজো বিহ্বল ও শিহরিত হন।

/uploads/files/JDePeOlihxejPZFnuERJDCZJKnPcwGkduJECetsF.jpeg

'জঙ্গি হামলার সময় কী করছিলেন তিনি', বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সেসব কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন।

শোলাকিয়ায় সাধারণত ঈদের জামাত পড়ান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজের আগে শোয়াইব বিন আবদুর রউফ ৪০ মিনিট বয়ান বা আলোচনা করেন। সেদিন ছিল মাঠের ১৮৯তম জামাত। সে জামাতের পূর্বে বয়ানের মাঝখানেই তার ভাই গণমাধ্যমে খবর পেয়ে একবার মুঠোফোনে বলছিলেন, 'শোলাকিয়ায় গণ্ডগোল হচ্ছে।' কিন্তু তিনি গা করেননি। তিনি দেখেন, মাঠের পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক। তিনি বেশ আগে বক্তৃতা শুরু করেন, কিন্তু যখন দেখলেন নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও কেউ তাকে বক্তৃতা থামাতে বলছেন না, কিংবা ইমাম আসছেন না, তখন তার প্রথম সন্দেহ হয়। তিনি পেছনের দিকে তাকালে সেখান থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তৃতা চালিয়ে যেতে ইশারা করেন।

হাফেজ মওলানা শোয়াইব আবদুর রউফ শোলাকিয়া মাঠে ঈদের দিনের ঘটনার বর্ণনাকালে জানান, শোলাকিয়া মাঠের নিয়োগপ্রাপ্ত দ্বিতীয় (বিকল্প বা প্যানেল) ইমাম আমি। শোলাকিয়ার মূল ইমামের অনুপস্থিতে আমি ঈদ জামাতের ইমামতি করি। বস্তুত আমি, কিশোরগঞ্জের বড়বাজার এলাকার শাহাবুদ্দীন মসজিদের ইমাম এবং স্থানীয় জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।

বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, 'ঘটনার তাৎপর্য বুঝতে পেরে ও অন্যদের পরামর্শ অনুসারে নামাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা হয়। এরপর খুতবা ও দোয়াও একইভাবে সংক্ষিপ্ত করে শেষ করা হয়। কেননা, এ ঘটনার কোনো আঁচ যদি মাঠের কোনো অংশে পড়ত, তবে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।'

মাওলানা শোয়াইব আবদুর রউফ বলেন, 'পবিত্র কোরআনে সুরা মায়েদায় আল্লাহ তাআলা বলেছেন, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা। সুতরাং, ধর্মের নাম নিয়ে কেউ এই ধরনের হত্যাকাণ্ড চালালে তা কোনোভাবেই ধর্মসিদ্ধ নয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।'

তিনি বলেন, ‘সকাল নয়টা থেকে নয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আমার বয়ান (বক্তৃতা) করার কথা। বয়ান শুরু করলাম আরও ১০ মিনিট আগে। কিন্তু নয়টা ৪৬ বেজে গেল, হুজুর (মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ) আসেননি, আমাকেও কেউ বয়ান থামাতে বলছে না। আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমাকে ইশারা দেওয়া হলো, বয়ান চালিয়ে যান। এ সময় প্রথম সন্দেহ হয়, কোথাও কিছু একটা সমস্যা হয়েছে।’

মাওলানা শোয়াইব আবদুর রউফ এভাবেই ১০টা পর্যন্ত বয়ান চালিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। মনে হলো তারা নামাজের জন্য প্রস্তুত। এমন অবস্থায় আমি বক্তৃতা শেষ করে পেছনের দিকটায় গেলাম। সেখানে ডিসি (জেলা প্রশাসক) সাহেবের সঙ্গে অন্যদের কথোপকথন থেকে বুঝলাম ঝামেলা হয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত হলো যে যথাসময়েই নামাজ হবে।’

যখন শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ বয়ান করছিলেন, তখন শোলাকিয়া মাঠের আধা কিলোমিটারের মধ্যে আজিমউদ্দীন হাইস্কুলের কাছে সবুজবাগে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি চলছিল। মাঠে অনেকেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন। অনেকে পরিবার-পরিজনের ফোনে বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু আবদুর রউফ ছিলেন অন্ধকারে। নামাজ শুরু হওয়ার মিনিট ১৫ আগে কোনো একটা সমস্যার আঁচ পান তিনি। তবে সেটা যে এতো ভয়াবহ ছিল, বুঝতে পারেন নি তিনি।

দীর্ঘক্ষণ ধরে হামলা চলেছিল সে দিন', বার্তা২৪.কমকে বলেন স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ ভৌমিক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অনেক বাড়ির দেয়ালে গুলির চিহ্ণ ও ক্ষত দেখা যায়। যে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর গুলি ঢুকে প্রাণ হারান ঝর্ণা রাণী ভৌমিক, সেখানে তার ছবিসহ স্মৃতিস্মারক বানানো হয়েছে। সামনের সড়কটির নামকরণও করা হয়েছে তার নামে।

/uploads/files/OImQEyhZayYKfxEyhItzdCVWeUo9rdqDgg85V2wZ.jpeg

শোলাকিয়া মাঠের কাছে বিস্ফোরণের পর ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ মাঠে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টার থেকে নামেন। সেখান থেকে মাঠে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তাকে সার্কিট হাউসে যেতে হয়। এর মধ্যে ঈদের নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় বিকল্প ইমাম শোয়াইব বিন আবদুর রউফ
নামাজ পড়ান।

শহরের পূর্বপ্রান্তের প্রায়-গ্রামীণ এই আবাসিক এলাকায় এমন সন্ত্রাসী ঘটনার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি। পুরোটা সময় এলাকাবাসী আতঙ্কের গর্ভে নিমজ্জিত ছিল। সিনিয়ার সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ ছিলেন সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, 'লাখ লাখ মুসুল্লী শোলাকিয়া মাঠে অপেক্ষা করছিলেন। তখন সকাল ৮.৪০ মিনিট। এমন সময় জঙ্গি হামলা হয় মাঠে আসার পথে সবুজবাগ এলাকায়। পুলিশের সাহসিক আত্মত্যাগে জঙ্গিরা পরাস্ত হয় এবং নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়। পুলিশসহ সেদিন মোট পাঁচ জন নিহত হন।'

এ জঙ্গি হামলার ঘটনার পরের বছরগুলোতে শোলাকিয়ার ঈদ জামাতের প্রাক্কালে নিরাপত্তার প্রশ্নটি সবচেয়ে গুরুত্ব পায় সর্বমহলে। দেশের বৃহত্তম ঈদগাহের ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে শান্তি ও নিরাপত্তার দিকে প্রশাসন মনোযোগী হয়। নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় এবং ঈদের দিন শোলাকিয়ার আকাশে উড়ে ড্রোন, যাতে সংস্থাপিত ক্যামেরা দিয়ে পুরো নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়


২০১৬ সালের ঘটনার পর নিহত ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের এক ছেলেকে চাকরি দেয়া হয় সরকারের উদ্যোগে। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার বার্তা২৪.কমকে বলেন, '২ বছরেও জঙ্গি হামলা ঘটনারটির বিচার সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই অতিদ্রুত এই সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার হোক।' জানা গেছে, জঙ্গি হামলার ২ বছরেও চার্জশিট তৈরি হয় নি।

   

শ্রমিক সঙ্কটে শেষ মুহুর্তে বিপাকে নরসিংদীর কৃষকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী জেলা কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানকার মাটি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন কৃষিতে ঝুঁকছেন চাষিরা। এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। তাই প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পুরোদমে চলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার চাষিরা।

তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও শ্রমিক সঙ্কট ও তাদের উচ্চ মজুরীতে বিপাকে চাষীরা। জেলার রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরে সূর্য ওঠার আগেই কাস্তে হাতে শ্রম বিক্রির হাট থেকে শ্রমিক নিয়ে মাঠে ছুটছেন কৃষক। মাঠে মাঠে ধান মাড়াই ও শুকানো হচ্ছে।

ধানের শ্রমিকরা জানান, ময়মনসিংহ নেত্রকোনা কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে এ এলাকায় আসেন। এলাকায় ধান কাটা থাকায় অনেকেই আসতে পারেননি।
যার জন্য এই মুহুর্তে ধান কাটার শ্রমিকের সঙ্কট রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাম্পার ফলনেও শ্রমিকের মজুরি বেশি শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান নিয়ে বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকের হাসি মলিন হচ্ছে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের শ্রমিকরা এখনো পুরোদমে না আসার কারণে শ্রমিকের সংকটে তীব্র। ফলে বেশি মজুরি দিয়েই ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।

রায়পুরার কৃষক আব্দুল করিম জানান, 'আগে দৈনিক ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিক নিতাম। এবার তারা এক দিনের জন্য ৮ শ থেকে ১ হাজার টাকা নিচ্ছে।

একই কথা বলছেন কৃষক মো. সোহেল মিয়া, তিনি জানান, ধান কাটার মৌসুমে জেলার আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমিকরা কাজ করতে আসে। এ বছর তারা যে পরিমাণ মজুরি চাচ্ছে তাতে লাভ দূরের কথা ফসল ফলানোর খরচ তোলা যাবে না। আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলেও লাভ নেই বলে জানান তিনি।

রায়পুরা উপজেলার নলবাটা গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, 'চলতি মৌসুমে বড় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। ২বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ইতিমধ্যে ধান ঘরে তুলেছেন। ২ বিঘা জমিতে ৬০ মণ ধান পেয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। শ্রমিক, সেচ, সার কীটনাশকের যে দাম সেই তুলনায় ধানের দাম কম। ধার দেনা দিতেই ধান বিক্রি করতে হবে। খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই ধান চাষে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৬ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ধানের ফলন হয়েছে। উফশী জাতের ধান ৫১ হাজার ৪৬৩ হেক্টর, হাইব্রিড ৫ হাজার ও স্থানীয় জাত ৫০ হেক্টর চাষাবাদ করা হয়। উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন। বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচে ২২ থেকে ২৪ মণ ধান পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.আজিজুর রহমান বলেন, সারাদেশে একযোগে ধান কাটা চলছে যার ফলে শ্রমিক কিছু সংকট থাকতে পারে। যার জন্য শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি। এছাড়া কম্ভাইন্ড হারভেস্টার দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। এর আগে কৃষকের বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।

;

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশে ছয় হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ প্রয়োজন, অথচ উৎপাদন হয় মাত্র এক হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন। বাকী সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। কাজেই ব্যাপকভাবে পাট বীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পাটের গৌরবময় সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এজন্য পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র সঙ্গে কাঁচাপাট রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিজেএ দেশব্যাপী কৃষকদের পাট বীজ উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করছে। এ ধরনের কার্যক্রমে আমিও শামিল হবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তশিল্প মেলায় অংশ নিতে আমাকে জার্মানীর ফ্রাস্কফুর্টে পাঠান। সেখানে আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০টি স্টল ছিলো। বিদেশি ক্রেতারা সেখানে ক্রয় আদেশ দিচ্ছে। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

কাঁচাপাট রপ্তানি যেন বাধাগ্রস্ত করা না হয়- ব্যবসায়ীদের এরকম আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা বিবেচনা করে কাঁচাপাট রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ সমাধানে সাহায্য করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

;

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা ও আধিপত্য নিয়ে মারামারির পর চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সাংগঠনিক অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার কারণে বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।’

বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চলছিল। এক পক্ষের তোপের মুখে পড়ে কয়েক মাস আগেই ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। তার এক সময়ের অনুসারীরা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে নতুন করে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তবে মনিরের সঙ্গে মিলে রাজনীতি করতে অস্বীকৃতি জানান সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারির পর মনিরের অনুসারীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন কুর্কীতির ভিডিও ফাঁস হয়। বিশেষ করে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক তরুণকে স্ত্রীর সামনে মারধর, কলেজের প্রধান সহকারীকে থাপ্পড় দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা আসল।

কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে সাম্প্রতিককালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই কমিটির মেয়াদও ছিল না। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হচ্ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

;

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলার ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে বিশকেকের সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে। কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তের জন্য বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে (+998930009780) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

;