‘ইভ্যালি সেলুলয়েড ৭১’ এর সঙ্গে ইউএস-বাংলা



নিউজ ডেস্ক
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ইভ্যালি সেলুলয়েড ৭১’ শিরোনামে সাত দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের এয়ারলাইন্স পার্টনার হয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রধান মিলনায়তনে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের টিকিটের ওপর র্যা ফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সৌজন্যে প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকবে ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা কাপল টিকিট, দ্বিতীয় পুরস্কার ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা কাপল টিকিট এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে থাকবে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা কাপল টিকিট।

মুক্তিযুদ্ধ চলচ্চিত্র উৎসবে সহযোগী পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্ট। উৎসবের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এসএস কমিউনিকেশন।

   

বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের

বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাকের ব্যবহার নির্মূল করে তামাক মুক্ত দেশ গড়তে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

তামাক পণ্যের কর থেকে যে রাজস্ব আসে তার থেকে অনেক বেশি তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতায় স্বাস্থ্য খাতে সরকারের খরচ হয় উল্লেখ করে সংসদ সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' গড়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে দেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। যে কারণে সিগারেটে কার্যকর করারোপ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি এবং আয়ের প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ, ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ, ১৯ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিয়াম মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ে আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তারা এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সিগারেটের ওপর কার্যকর করারোপের বিষয়ে যে ঐক্যমত আমাদের সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে তা এবারের বাজেট আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

রাজশাহী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার মনে করেন, নিম্ন আয়ের মানুষ এবং কিশোর-তরুণদের সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হলে এই বাজেটে বেশি বেশি করারোপের মাধ্যমে সিগারেটের খুচরা মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন এবং উপজেলা পর্যায়ে এর চাষ নিরুৎসাহিত করতে সরকারের ইনসেনটিভ মেকানিজম তৈরি করা জরুরি। জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।

মহিলা সংরক্ষিত ৭ আসনের সংসদ সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বলেন, সিগারেটের ব্যবহার কমিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাজেটে যথাযথ উদ্যোগ থাকা বাঞ্ছনীয়।

ঢাকা-১০ আসনের এমপি ফেরদৌস আহমেদ বলেন, সিগারেটের দাম ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি তামাকের উপর কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দিতে হবে।

এ সময় সিগারেটে কার্যকর করারোপের বিষয়ে প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন তামাক-বিরোধী সংগঠনের পক্ষে উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, সিগারেটে কার্যকর করারোপই এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ কারণেই দেশের তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলো সিগারেটে কার্যকর করারোপের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে সিগারেটের ব্যবহার কমলেও যেন সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় চাপ না পড়ে- সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে একদিকে সিগারেট ব্যবহারের হার ৯ শতাংশ কমবে, অন্যদিকে সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বাড়বে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রশিদ, এবং সিরাজগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও রিসার্চ ডিরেক্টর ড. এসএম জুলফিকার আলী এবং বিইইটিসি ফোরামের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম এবং অধ্যাপক গোলাম আহমেদ ফারুকী।

;

কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কা, কোয়ার্টার মাস্টারসহ গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের শতবর্ষী কালুরঘাট রেলসেতুতে লাইটার জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় তিন নাবিককে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নগরীর কালুরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনজন হলেন- জাহাজে কর্মরত ২৪ বছর বয়সী কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান, ২১ বছর বয়সী সুকানি কোয়াটার ইয়ামিন মোল্লা ও গ্রীজার শাহাদাত হোসেন।

জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর পশ্চিমে হামিদচর এলাকায় একে খান ডকইয়ার্ডে জাহাজটি নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু জোয়ার এবং প্রবল বাতাসের মধ্যে জাহাজটি ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কালুরঘাট সেতুতে আঘাত করে আটকে যায়। জাহাজের মাস্টারের অনুপস্থিতিতে কোয়ার্টার মাস্টার সেটি ডকইয়ার্ডে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে তথ্য পায় পুলিশ।

মামলা উল্লেখ করা হয়েছে, খালি জাহাজটি বেপোরোয়া গাতিতে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ব্রিজের ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানের আন্ডার স্ল্যাং গার্ডার, ওয়াকওয়ে, রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে। মামলা দায়েরের আগেই জাহাজটি জব্দ করে নৌ পুলিশ। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৬ দশমিক ৬৫ মিটার এবং ১১ মিটার প্রস্থ।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনার পরপরই আমরা জাহাজটি জব্দ করেছি। এরপর ওই মামলায় জাহাজের তিন নাবিককে গ্রেফতার করেছি।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে এমভি সমুদা-১ নামে লাইটারেজ জাহাজটি কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দিয়ে সেখানে আটকে যায়। জাহাজটি মেসার্স রোকনুর মেরিটাইম লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। এদিন রাতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদার বাদি হয়ে চট্টগ্রামের জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলায় জাহাজের মাস্টার, সুকানি, গীজারম্যানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।

;

গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শান্তিপূর্ণ ও সংঘাতমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠা এবং গাজা ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত কূটনৈতিক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা এবং ইউক্রেনসহ বিশ্বব্যাপী সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুনরুদ্ধার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিকটবর্তী ঐতিহাসিক চার্চিল হলে এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল প্রধান অতিথি এবং হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট, যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও জাতিসংঘের এফসিডিও মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ, পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক ছায়াসচিব স্টিভ রিড  এবং বাংলাদেশ নিয়ে সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান রুশনারা আলী এমপি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখের উপস্থিতিতে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান তার বক্তব্যে জাতির পিতা, সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সমর্থনের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার, সেদেশের নাগরিক এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উষ্ণ অভ্যর্থনাকারী এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশকারী প্রয়াত সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার হ্যারল্ড উইলসনকে কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসামান্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বের নজর এখন ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হতে চলা আমাদের দেশের দিকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান এ সময় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন পত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ায় ব্রিটিশ  প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি 'বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড' এবং 'বঙ্গবন্ধু-হ্যারল্ড উইলসন ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড' চালু করার জন্য যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের প্রশংসা করেন।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। পেনি মর্ডান্ট এমপি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। লর্ড তারিক আহমেদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার  প্রশংসা করেন। তারা প্রত্যেকেই  যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও সমাজে  ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন ও বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের উন্নয়নে অবিচল অংশীদার থাকবে।

;

বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় সাভারের কলমা এলাকায় রেবেলা অ্যাপারেলস নামে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের।

শ্রমিকরা জানান, তিন বছর আগে কারখানাটি চালু হয়। তখন থেকেই বেতন, ওভার টাইম পরিশোধ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। এ বছরও একইভাবে বেতন বকেয়া রাখছিল তারা। সম্প্রতি ঈদ-উল-ফিতরের দুই দিন আগে অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হয় শ্রমিকদের। ঈদের পরে পুরো বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও তা কয়েকবার ঘুরিয়ে পরিশোধ করা হয়নি। সবশেষ ২৮ এপ্রিল বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এরই জেরে বৃহস্পতিবার অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

কোলে শিশু সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন এক শ্রমিক। তিনি বলেন, দুই মাস হয়ে গেছে বেতন পাই না। বারবার ঘুরাচ্ছে। বাসার খরচ, বাসা ভাড়া মেটাতে পারছি না। সংসার চালাতে পারছি না। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বেতন না দিলে বাসায়ও যেতে পারবো না।

আরেক শ্রমিক বলেন, বেতন দেয় না দুই মাস হলো। ওভারটাইম ডিউটি করালেও সেটার পুরো টাকা দেয় না। এখন ডেট দিয়েও ঘুরাচ্ছে। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

রেবেলা অ্যাপারেলস ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়হান আহমেদ বলেন, ঈদের আগে একটি শিপমেন্ট না পাওয়ায় বেতন দেরিতে দেওয়া হয়েছে। তবে ঈদের আগে অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। বাকিটাও করা হবে। তবে সেজন্য বিক্ষোভ করা শ্রমিকদের ইস্তফা দিতে হবে।

শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। সম্ভবত কারখানাটি নিবন্ধিত নয়। সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে। শ্রমিকরা অভিযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;