রংপুরে ১০ গুণীজনকে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা
সাহিত্য, সংস্কৃতি, সংগীত ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় দশ গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাউন হল মিলনায়তনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিল্প-সংস্কৃতি বান্ধব সরকার। দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার শিল্পী, সাহিত্যিক ও গুণীজনদের সম্মানিত করছে। সেই ধারাবাহিকতায় শিল্পকলা একাডেমির এ আয়োজন প্রশংসনীয়।’
রংপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. আসিব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু।
এ সময় অতিথিরা আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে নতুন প্রজন্মকে দূরে রাখতে অভিভাবকসহ শিল্পী সমাজকে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা, বিকাশ ও প্রসারে সরকারকে সহযোগিতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে তাদের কর্মকাণ্ড বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদানের জন্য নাট্যকলায় সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২০১৮), ইফতেখারুল আলম রাজ (২০১৯), কণ্ঠ সংগীতে তৃপ্তি দত্ত (২০১৮), নিজনুল ইসলাম খান (২০১৯), যন্ত্র সংগীতে বিনয় কুমার বণিক (২০১৮) সগির উদ্দিন বয়াতী (২০১৯), লোক সংস্কৃতিতে হারুন অর রশিদ (১৮), রমজান আলী সরকার (২০১৯) এবং সাংবাদিকতায় আলোকচিত্রী রণজিৎ দাস (২০১৮), সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষণায় মতিউর রহমান বসনিয়াকে (২০১৯) সনদ, ক্রেস্ট ও উত্তরীয়সহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের শিল্পীরা অংশ নেন।