দেশ স্বাধীনের দুই দিন পর শত্রুমুক্ত হয়েছে রাজশাহী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রাজশাহী অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রাজশাহী অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৮ ডিসেম্বর। রাজশাহীবাসীর স্মৃতিপটে দাগ কেটে যাওয়া স্মরণীয় একটি দিন। ৪৮ বছর আগে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর এসেছিল বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়। কিন্তু রাজশাহীতে স্বাধীনতার সেই সূর্য কিরণের ছোঁয়া লেগেছিল ১৯৭১ সালের আজকের দিনে। শহর সেদিন শত্রুমুক্ত হয়।

মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনী ও গেরিলা যোদ্ধাদের ক্রমাগত আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদররা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও রাজশাহীতে স্বাধীন দেশের প্রথম পতাকা উড়ে দুইদিন পর। দীর্ঘ নয় মাস বিভীষিকাময় সময়ের অবসান ঘটে। বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় আর আত্মপরিচয়ের ঠিকানা করে নেওয়ার অনুভূতিতে পুলকিত হয়ে ওঠে রাজশাহীর মানুষ। মুক্তিকামী জনতার ঢল নামে প্রতিটি সড়কে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী অঞ্চলকে নেওয়া হয় ৭নং সেক্টরে। বিদেশি প্রতিনিধিদের পরিস্থিতি জানাতে মুক্তিযোদ্ধারা সীমান্ত পার হয়ে আসে। একাত্তরের ১৭ জুন ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা রাজশাহী শহরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শুরু করে তাদের অ্যাকশন অপারেশন। পাকিস্তানী সৈন্য ও দোসরদের নির্যাতন হত্যাযজ্ঞ বাড়তে থাকে। রাজশাহীর নারীরাও অংশ নিলেন মুক্তিযুদ্ধে। কেউ সীমান্ত পার হয়ে ভূমিকা রাখেন, কেউ এ পারেই হয়ে ওঠেন দুঃসাহসিক গেরিলা।

ওই সময় আলবদর বাহিনী গঠনের পর শুরু হলো ত্রাস, হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ নানা নিপীড়ন। পাকিস্তানী সৈন্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্য ভূমিতে হত্যা করলো চার হাজার মানুষকে। নারীরাও তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাননি।

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য সাবাস বাংলাদেশ

এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহকারী ও গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, পাকিস্তানি সৈন্যরা দোসরদের মদদে বিভিন্ন কায়দায় লোকজনকে হত্যা করে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা ঢুকে পড়তে থাকে রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে। ২৫ নভেম্বর পাকিস্তানী সৈন্যরা রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর বাবলাবন চরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবন্ত অবস্থায় বালির মধ্যে পুঁতে হত্যা করে। সবকিছু সহ্য করে স্বাধীনতার দিন গুণতে থাকে রাজশাহীর মানুষ।

মিত্র বাহিনীর বিমানকে স্বাগত জানাতে সবাই তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। সে সময় পাক সেনাদের বিমান বোমা ফেলতে থাকলো রাজশাহীতে। লালগোলা সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও সেখপাড়া সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর রশিদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের সাথে লড়াই করে মুক্ত করে ফেলে রাজশাহীর গ্রামাঞ্চল।

মহদিপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর রাজশাহী অ্যাডভান্সের পরিকল্পনা নিলেন। তিনি ১৪ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেহায় চরে শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী রাজশাহীর দিকে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়। ১৬ ডিসেম্বর পরাজয় বরণের পর যৌথ বাহিনীর এই অগ্রগামী দল পাকিস্তানি সৈন্যদের কাছ থেকে সাদা পাগড়ী ও আত্ম সমর্পণের চিঠি নিয়ে রাজশাহী শহরে বীর দর্পে প্রবেশ করে।

তাদের চা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, মহানগরীর সোনাদিঘীর মোড়ে সাংবাদিক মঞ্জুরুল হকের বাড়িতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল, জেলখানা ও বিভিন্ন বন্দিশালা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে নির্যাতিত মানুষেরা। স্বজন হারানোর কষ্ট আর স্বাধীনতার উল্লাসে গোলাপ পানি ফুলের পাপড়ি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা-মিত্র বাহিনীকে বরণ করে নেয় রাজশাহীর মানুষ।

১৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয়ে যায় রাজশাহী। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলেন লাল গোলা সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। পরে পাকিস্তানি সৈন্যরা রাজশাহী ছেড়ে চলে যায় নাটোরে।

তাদের দোসররা এখানে সেখানে লুকিয়ে যায়। খাদ্য সংকট এড়াতে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর জন্য খাবার সরবরাহ করা হয়। রাজশাহীর মানুষ আজকের দিন থেকে নতুন দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

এদিকে, রাজশাহী মুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ড, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

   

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবরের একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ৪৩/বি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- নাসিমা আক্তার (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, নিহত নাসিমা আক্তার পেশায় একজন গৃহকর্মী। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। নিহত নাসিমার সাথে বিভিন্ন সময় তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

;

ফেনীতে তীব্র খরতাপে দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেনীতে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের তুলনায় সবেচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শহরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা যেমন মুশকিল হয়ে উঠেছে অন্যদিকে কমেছে আয়। রাস্তাঘাতে অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের আনাগোনা নেই।

বশির মিয়া নোয়াখালী থেকে ফেনীতে এসে দীর্ঘদিন মুচি পেশায় নিয়োজিত। শহরের রাজাঝির দিঘির পাড়ে রোদের মধ্যে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা তার। তিনি বলেন, গরমের মধ্যে রোদে বসে কাজ করা খুবই মুশকিল। এরমধ্যে গরমে মানুষের আনাগোনাও কম, ফলে আগের চাইতে আয় নেই বললেই চলে।

শহরের ট্রাংক রোড শহীদ মিনারের সামনে ফুটপাতে ব্যবসা করেন আব্দুল আজিজ। তীব্র গরমে বেচাবিক্রি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গামছা, মাস্ক, টুপি এসব বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। গরমে নিজেই অস্বস্তিতে থাকি আর বেচাবিক্রির জন্য কাস্টমার নেই বললেই চলে। ফুটপাতের ব্যবসা যেহেতু মানুষের আনাগোনা প্রয়োজন, এখানে মানুষ আসলেও গরমে দাঁড়াতে চায় না। যার যার গন্তব্য চলে যায়।

শাহেদুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, মানুষজন একবারে দরকারি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না বিধায় রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। যার কারণে আগে যা আয় হতো তা কমে গেছে অনেক। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরও নাজেহাল অবস্থা হবে বলে জানায় তিনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে শ্রমজীবীরা। এটি প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দিনের বেলা একটানা শারীরিক পরিশ্রম না করে বিরতি নিয়ে কাজ করতে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, তীব্র গরমে দীর্ঘসময় কাজ করার কারণে মাত্রাতিরিক্ত ঘেমে মানুষের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এতে তাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথে পৌরসভার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে মেয়র ও ৭ জন কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বের পর মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে নারী কাউন্সিলরকে চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এমন অভিযোগ এনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে দুই কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাসনা বেগম।

মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মীরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎস্যা দেন স্থানীয়রা।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া আরো ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এ ঘটনায়। অভিযুক্তরা হলেন- জানাইয়া গ্রামের আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী (৪০), পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী (৪০), শরিষপুর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আমির আলী (৪৫), দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী (৪০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (৪৪), রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে ও মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া (৪৫) এবং জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ (৪৮)। এ ঘটনায় আরো ৪/৫ অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে কাউন্সিলর রাসনা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়রসহ ৭ জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। এরই জের ধরে ৭ জন কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মেয়র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খারাপ মন্তব্য করে আসছেন।

মঙ্গলবার ঘটনার সময় মেয়র ও কাউন্সিলর বারাম আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এতে বাধা দিলে মেয়র তার মাথার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ও মারধর করেন। এছাড়াও মেয়রের নির্দেশে গাড়ির চালক তার গাড়ি দিয়ে কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;

গাজায় যেন রোহিঙ্গা ইস্যু বিলীন না হয়: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান বলেছেন, গাজাসহ বৈশ্বিক অন্যান্য ইস্যুর কারণে যেন রোহিঙ্গা ইস্যু বিলীন হয়ে না যায়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রতিনিধিগণের মধ্যে হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাডভাইজার কৃষ্ণান নাইর ও ব্রিটিশ হাই কমিশনারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুসাউইর আহমেদ ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে ছিলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, হাসান সারওয়ার, এবিএম শফিকুল হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্যে সাক্ষাতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এ ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্য সব সময়ই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তাদের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করার বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে অত্যন্ত আন্তরিক হয়ে তাদের জন্য ভাসানটেকে ৩ একর খাস জমিতে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু তাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাহ করা এখন একটা চ্যালেঞ্জিং ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রতিরোধে ৫৫ হাজার ভলান্টিয়ার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে এসব ভলান্টিয়াররা তাদের আশ্রয়স্থলগুলোতে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রায় ১০ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে থাকে।

এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আগের মতো সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যু স্পট লাইট হিসেবে কাজ করবে। রোহিঙ্গা ইস্যু যাতে হারিয়ে না যায়, এ জন্য এখানে বিশেষ ফোকাস বাড়াতে হবে। বিভিন্ন সভা, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরতে হবে।

পরে প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে বঙ্গবন্ধু স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেন।

;