শীতে জবুথবু রাজশাহী
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজশাহীতে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা উত্তরের এ জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে, তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে আকাশ। সঙ্গে যোগ হয়েছে হালকা হিম হাওয়া। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে রাজশাহীর জনজীবন।
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নেয়।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার ভোরে কুয়াশা খুব বেশি না থাকলেও তাপমাত্রার পারদ দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক ফরিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে শৈত্যপ্রবাহ মৃদু থেকে মাঝারিতে রূপ নিতে পারে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রার পারদ আরও কমতে পারে। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ নামার সম্ভাবনা কম।’
এদিকে, শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ এবং স্কুলগামী শিশুদের বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। নগরীর বেশিরভাগ স্কুলগুলোর সকালের শিফট এখনও সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে শুরু হচ্ছে। ফলে তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা স্কুলে যাচ্ছেন। তবে বেশি বিপাকে পড়েছেন ফুটপাত, রেলস্টেশনে রাত কাটানো ও বস্তিতে বসবাস করা মানুষ।
শীতের প্রকোপ বাড়ায় জেলাজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ শুরু করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এখনও শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, হঠাৎ করে বুধবার থেকে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। যদিও তার আগেই আমরা বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণে কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দু’এক দিনের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।