বিএসএমএমইউ’তে ৪৫ বিভাগে চেয়ারম্যান নিয়োগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: একই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ টি বিভাগের চেয়ারম্যানদের হাতে নিয়োগপত্র দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৯জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের ডা. মিল্টন হলে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫টি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়োগপত্র প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীদের আস্থা ধরে রাখতে সর্বশক্তি দিয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রত্যেকটি বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা ও গবেষণার উন্নয়ন ও প্রসার আত্মনিয়োগ করতে হবে।

নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি করে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা পরিচালনা ও সেবার মাধ্যমে রোগীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, অধ্যাদেশ অনুযায়ী আগামী তিন বছরের জন্য ৪৫টি বিভাগে চেয়ারম্যানদের নিয়োগদান করেন উপাচার্য। চেয়ারম্যানবৃন্দ হলেন, মেডিসিন অনুষদের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, অনকোলজি (ক্যান্সার) বিভাগে অধ্যাপক ডা. সরোয়ার আলম, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন, কার্ডিওলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাহ উদ্দিন কাউসার (বিপ্লব), নিউরোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম, রিউম্যাটোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, হেমাটোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ, হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব এবং নেফ্রোলজি (কিডনী) বিভাগে অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম।  

সার্জারি অনুষদের জেনারেল সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আলম, হেপাটোবিলিয়ারি, পেনক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান, নিউরো সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. এ টি এম মোশারেফ হোসেন, রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগে অধ্যাপক ডা. পারভীন ফাতেমা, গাইনোকলোজিক্যাল অনকোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন, কলোরেক্টাল সার্জারি অধ্যাপক ডা. শাহাদত হোসেন, অবস্টেট্রিক্স এন্ড গাইনোকোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রানী দাস, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী (বিরু), ইউরোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম. খুরশিদুল আলম, এ্যানেসথেসিয়া, এনালজেসিয়া ও ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম. আখতারুজ্জামান, কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. রেজওয়ানুল হক বুলবুল,  নাক কান ও গলা বিভাগে অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, ভাসকুলার সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী, রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে অধ্যাপক ডা. ইকবাল হোসেন এবং ফিটোম্যাটার্নাল বিভাগে অধ্যাপক ডা. ফিরোজা বেগম। 

বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের প্যাথলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক ডা. তুহিন সুলতানা, এনাটমি বিভাগে অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, ফার্মাকোলজি বিভাগ অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, ফিজিওলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. সুলতানা ফেরদৌসী, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. ফরহাদুল হক মোল্লা এবং ভাইরোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী।  

দন্ত অনুষদের কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি এন্ড এন্ডোডনটিক্স বিভাগে অধ্যাপক ডা. শামসুল আলম, অর্থোডোনটিক্স বিভাগে অধ্যাপক ডা. গাজী শামীম হাসান, ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. কাজী বিল্লুর রহমান এবং প্রস্থোডনটিক্স বিভাগে অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান।

শিশু অনুষদের নিওনেটোলজি (নবজাতক) বিভাগে অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, শিশু বিভাগে অধ্যাপক ডা. সেলিনা খানম, পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এন্ড নিউট্রিশন বিভাগে অধ্যাপক ডা. এ এস এম বজলুল করিম, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি  (শিশু কিডনী) বিভাগে ডা. অধ্যাপক রনজিত রঞ্জন রায় এবং পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল করিম।

নার্সিং অনুষদে গ্রাজুয়েট নার্সিং বিভাগে অধ্যাপক মেবেল ডি রোজারিও।

   

শ্রমিক সঙ্কটে শেষ মুহুর্তে বিপাকে নরসিংদীর কৃষকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী জেলা কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানকার মাটি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন কৃষিতে ঝুঁকছেন চাষিরা। এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। তাই প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পুরোদমে চলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার চাষিরা।

তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও শ্রমিক সঙ্কট ও তাদের উচ্চ মজুরীতে বিপাকে চাষীরা। জেলার রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরে সূর্য ওঠার আগেই কাস্তে হাতে শ্রম বিক্রির হাট থেকে শ্রমিক নিয়ে মাঠে ছুটছেন কৃষক। মাঠে মাঠে ধান মাড়াই ও শুকানো হচ্ছে।

ধানের শ্রমিকরা জানান, ময়মনসিংহ নেত্রকোনা কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে এ এলাকায় আসেন। এলাকায় ধান কাটা থাকায় অনেকেই আসতে পারেননি।
যার জন্য এই মুহুর্তে ধান কাটার শ্রমিকের সঙ্কট রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাম্পার ফলনেও শ্রমিকের মজুরি বেশি শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান নিয়ে বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকের হাসি মলিন হচ্ছে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের শ্রমিকরা এখনো পুরোদমে না আসার কারণে শ্রমিকের সংকটে তীব্র। ফলে বেশি মজুরি দিয়েই ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।

রায়পুরার কৃষক আব্দুল করিম জানান, 'আগে দৈনিক ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিক নিতাম। এবার তারা এক দিনের জন্য ৮ শ থেকে ১ হাজার টাকা নিচ্ছে।

একই কথা বলছেন কৃষক মো. সোহেল মিয়া, তিনি জানান, ধান কাটার মৌসুমে জেলার আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমিকরা কাজ করতে আসে। এ বছর তারা যে পরিমাণ মজুরি চাচ্ছে তাতে লাভ দূরের কথা ফসল ফলানোর খরচ তোলা যাবে না। আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলেও লাভ নেই বলে জানান তিনি।

রায়পুরা উপজেলার নলবাটা গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, 'চলতি মৌসুমে বড় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। ২বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ইতিমধ্যে ধান ঘরে তুলেছেন। ২ বিঘা জমিতে ৬০ মণ ধান পেয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। শ্রমিক, সেচ, সার কীটনাশকের যে দাম সেই তুলনায় ধানের দাম কম। ধার দেনা দিতেই ধান বিক্রি করতে হবে। খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই ধান চাষে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৬ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ধানের ফলন হয়েছে। উফশী জাতের ধান ৫১ হাজার ৪৬৩ হেক্টর, হাইব্রিড ৫ হাজার ও স্থানীয় জাত ৫০ হেক্টর চাষাবাদ করা হয়। উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন। বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচে ২২ থেকে ২৪ মণ ধান পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.আজিজুর রহমান বলেন, সারাদেশে একযোগে ধান কাটা চলছে যার ফলে শ্রমিক কিছু সংকট থাকতে পারে। যার জন্য শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি। এছাড়া কম্ভাইন্ড হারভেস্টার দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। এর আগে কৃষকের বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।

;

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশে ছয় হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ প্রয়োজন, অথচ উৎপাদন হয় মাত্র এক হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন। বাকী সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। কাজেই ব্যাপকভাবে পাট বীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পাটের গৌরবময় সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এজন্য পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র সঙ্গে কাঁচাপাট রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিজেএ দেশব্যাপী কৃষকদের পাট বীজ উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করছে। এ ধরনের কার্যক্রমে আমিও শামিল হবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তশিল্প মেলায় অংশ নিতে আমাকে জার্মানীর ফ্রাস্কফুর্টে পাঠান। সেখানে আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০টি স্টল ছিলো। বিদেশি ক্রেতারা সেখানে ক্রয় আদেশ দিচ্ছে। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

কাঁচাপাট রপ্তানি যেন বাধাগ্রস্ত করা না হয়- ব্যবসায়ীদের এরকম আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা বিবেচনা করে কাঁচাপাট রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ সমাধানে সাহায্য করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

;

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা ও আধিপত্য নিয়ে মারামারির পর চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সাংগঠনিক অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার কারণে বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।’

বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চলছিল। এক পক্ষের তোপের মুখে পড়ে কয়েক মাস আগেই ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। তার এক সময়ের অনুসারীরা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে নতুন করে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তবে মনিরের সঙ্গে মিলে রাজনীতি করতে অস্বীকৃতি জানান সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারির পর মনিরের অনুসারীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন কুর্কীতির ভিডিও ফাঁস হয়। বিশেষ করে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক তরুণকে স্ত্রীর সামনে মারধর, কলেজের প্রধান সহকারীকে থাপ্পড় দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা আসল।

কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে সাম্প্রতিককালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই কমিটির মেয়াদও ছিল না। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হচ্ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

;

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলার ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে বিশকেকের সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে। কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তের জন্য বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে (+998930009780) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

;