‘বরিশালের নদীগুলো গিলে খাচ্ছে ২ হাজার ২৬৮ দখলদার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভা/বার্তা২৪.কম

জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভা/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীসহ জেলার প্রায় ২০টি নদ-নদীর দুই পাশ, তীরবর্তী ও চর এলাকাসহ নদীর নিজস্ব জমি দখল দিয়ে স্থাপনা তৈরি করে ভোগ করছে ২ হাজার ২৬৮ জন দখলদাররা। এসব স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেই ভোগ দখল করছে তারা।

তিনি বলেন, এই নদী জনগণের সম্পদ। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে, নদী দখল ক্রিমিনাল অফেনস (ফৌজদারি অপরাধ)। তাই যারাই নদী দখল করবেন, তারা যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মুজিবুর রহমান বলেন, নদীর জমি সিএস পর্চা অনুয়ায়ী উদ্ধার ও দখলমুক্ত করা হবে। উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বর্ডার গার্ড, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক সেনাবাহিনী ব্যবহার করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারবে।

কীর্তনখোলা নদী এলাকায় দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান কবে পরিচালনা করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, যারা নদীর নিজস্ব জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে সারা বছরই অভিযান চলমান রয়েছে। তবে নদীর সিএস পর্চা অনুয়ায়ী বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করা পর চূড়ান্তভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন।

সভায় জানানো হয়, বরিশাল সদর উপজেলায় ২৭৪ জন, আগৈলঝাড়ায় এক হাজার ১১৯ জন, গৌরনদীতে ২৭৩ জন, উজিরপুরে ৭০ জন, বানারীপাড়ায় ৮৮ জন, বাবুগঞ্জে ৫৬ জন, মুলাদীতে ১০৯ জন, হিজলায় ২১ জন, মেহেন্দিগঞ্জে ৭৩ জন ও বাকেরগঞ্জে ১৮৫ জন জেলার নদীগুলোর জায়গা দখল করে রেখেছে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসারছাড়াও পরিবেশ কর্মীরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

   

জনশক্তি রফতানি নিয়ে ১৮ দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ এবং মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের বিশ্বের ১৮টি দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ হতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম বিবেচনায় সরকার অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

ইতোমধ্য রাশিয়া, কম্বোডিয়া, সিসেলস, হার্জেগোভিনা, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে।

দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী পুন:প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত আসা কর্মীদের পুনরায় বিদেশে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী শিক্ষা ও কাজের (RPL Recognition of Prior Learning) স্বীকৃতি এবং তার সনদ প্রদান করা হচ্ছে ফলে বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এই লক্ষ্য এক লাখ ড্রাইভার তৈরির জন্য সরকার "দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান" শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা সফলভাবে চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে করোনা পরবর্তীতে বৈদেশিক শ্রমবাজার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিদেশে প্রেরিত কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন।ক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এর মাধ্যমে জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিজি, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে স্বল্প খরচ ও বিনা খরচে কর্মী পাঠানো হচ্ছে।

একই সাথে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬টি ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজী (আইএমটি) তে ৫৫টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব দক্ষ জনবলের দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

;

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরব থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে ৭ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাঙ্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সচিব বলেন, টেবিলে আজকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি হলো, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৪ তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।

;

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র রেজাউল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

এছাড়া, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসণেও নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। তুরস্ক এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।

জবাবে রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সবসময় তুরস্ক পাশে ছিল। তবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। এজন্য তুরস্কের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানি-রফতানি বেশি করে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

‌‘বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিক্যাল রফতানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়।’

তুরস্কের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি মেডিকেল ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের একটি তুরস্ক। গ্রীস্মকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্যুরিস্টরা চিকিৎসা নিতে তুরস্কে যান। কারণ তুরস্কের স্বাস্থ্যখাত অত্যন্ত জটিল ও বিরল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। কোভিডকালে তুরস্কে টুরিস্টের সংখ্যা কিছুটা কমলেও গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে আবার ৫০ মিলিয়নে উত্তীর্ণ হয়েছে।

সামরিক খাতেও তুরস্ক এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক নিজেদের তৈরি ৫ম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার যুদ্ধবিমান কান উড্ডয়ন করেছে, যা তুরস্কের গভীর সামরিক শক্তির পরিচায়ক। এছাড়া ড্রোন নির্মাণ এবং বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক তার অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের সঙ্গে আদান-প্রদান করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, কর্নেল এরদাল শাহিন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনের বাধা কাটলো



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

বুধবার (৮ মে) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।

এ আদেশের ফলে আগামী ৫ জুন ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানে আপাতত আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ ও অ্যাডভোকেট বি এম ইলিয়াস কচি। অন্যপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।

গত ৬ মে বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ২১ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার।

গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নজরুল ইসলামের এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৬ মে হাইকোর্ট উপনির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন ওই আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের কাছে পরাজিত হন নজরুল ইসলাম। এরপর ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট চেয়ে এবং ভোটের ফলাফল স্থগিত চেয়ে নজরুল ইসলাম হাইকোর্ট আবেদন করলে আদালত ভোটের ফলাফল স্থগিত করেন। পরে এর বিরুদ্ধে আব্দুল হাই আপিল করলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। এরপর আব্দুল হাই শপথ নিয়ে সংসদে বসেন।

এর মধ্যে গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এরপর ওই আসনে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

কিন্তু নজরুল ইসলামের করা সেই আবেদনটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে উপনির্বাচন হওয়া সমীচীন হবে না মর্মে তার আইনজীবী গত ২৫ এপ্রিল এ তফসিল স্থগিত চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ৬ মে ওই আসনে ভোটের ওপর তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

;