অরক্ষিত রেলওয়ে স্টেশন যেন গো-চারণভূমি
পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন। রেল লাইনের স্লিপার আর প্ল্যাটফর্মের দিকে না তাকালে বোঝার উপায় নেই এটি রেলওয়ে স্টেশন। ছোট্ট পরিসরে পরিপাটি এই স্টেশনটি যাত্রীদের জন্য যতটা না স্বাচ্ছন্দ্যের, ততটাই অনিরাপদ ও অরক্ষিত।
হঠাৎ করে এই রেলওয়ে স্টেশনের পাশে এলে মনে হবে যেন গো-চারণভূমি। রেল লাইনের ওপরে গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগি চোখে পড়বে। স্লিপারের সঙ্গে বাঁধা গরু ও ছাগলের দড়ি।
রেল লাইনের ওপরে দুপুরের পর থেকে স্টেশনের আশপাশে গড়ে ওঠা ঝুপড়ি থেকে বেরিয়ে আসা মানুষ ভিড় জমান। ছোট বাচ্চাদের খেলা আর বড়দের গল্পগুজবের মেলা বসে এই রেল লাইনের ওপর। বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন নিয়ে অনেকেই পারাপার হন এই লাইনের ওপর দিয়ে।
আবার কেউ কেউ প্ল্যাটফর্মের বারান্দা ও যাত্রী ছাউনিতে খড়কুটো শুকাতে দেন অনায়াসে। এই শীতের সকাল বেলা লাইনের আশপাশে জটলা দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রেল লাইনে বাড়ে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের ভিড়। ভাপা পিঠার দোকান থেকে বাড়ির রান্না, তাও চলে রেল লাইনের ওপরে।
প্রতিদিন এই রেলওয়ে স্টেশনে দিবারাত্রির চারটি লোকাল ট্রেন আসা-যাওয়া করে। ট্রেন থাকলে থাকে স্টেশন মাস্টার। বাকি সময়টা বাড়িতেই তার ঠিকানা। পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তার উদাসীনতাও চোখে পড়ার মতো।
সম্প্রতি এই অরক্ষিত রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাছেই ট্রেনে কাটা পড়ে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে নেই তেমন সচেতনতা। এখানে নেই রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা।
এব্যাপারে এই রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোকছেদ আলী বাবুর সাথে কথা বলতে প্লাটফর্মে গেলে তার দেখা মেলেনি।
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে স্টেশনের এক কর্মচারী জানান, বড়বাবুর (স্টেশন মাস্টার) বাড়ি স্টেশনের পাশে হওয়ায় প্লাটফর্মে এখন তিনি নেই। তবে ট্রেন আসা যাওয়ার সময় সে ঠিকই দায়িত্ব পালন করে।