শিশু হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সমন জারি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ, ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ, ছবি: সংগৃহীত

শিশু হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্সি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ এর বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মখ্দুম থানা আমলি আদালত আসামির বিরুদ্ধে এ সমন জারি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ডাঙ্গিপাড়া এলাকায় প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের ৫ বছরের ভাতিজা আদনান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবু আবদুল্লাহর বসতবাড়ির কলিং বেল বাজালে ওই শিক্ষক বাড়ির ভেতর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে বের হয়ে আসেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশু আদনানের বাম কানের উপর সজোরে থাপ্পড় মারেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আদনান রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশু আদনানকে আক্রমণকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বিষয়টি শাহ্ মখদুম থানাকে অবহিত করা হলে থানা কর্তৃপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি।

এ অবস্থায় শিশু আদনানের চাচা সিরাজুল ইসলাম আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে আগামী ২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন। বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাজশাহীর আইনজীবী মুন্না সাহাসহ ১৫ জন আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

তবে যে অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা মোটেও তেমন নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবু আব্দুল্লাহ। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, যারা এই বিষয়টি নিয়ে কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে, তারা খোড়া একটি অজুহাত দাঁড় করিয়ে আমার মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। প্রকৃত ঘটনা হলো- প্রায় সময়ই ছোটরা আমার বাড়ির কলিং বেল টিপতো। ওইদিন ওই ছেলেটি কলিংবেল টিপলে আমি বের হয়ে একটা ধমক দেই। এতে সে চলে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে সামান্য আঘাত পায়।’

তিনি আরও বলেন, 'বিষয়টি খুবই সামান্য। যার কারণে তারা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানার ওসি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বসে বিষয়টি মীমাংসাও করে দেয়। কিন্তু তারা অহমিকা প্রদর্শন করে আবার আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করে। যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে তাই আদালতে গিয়েই এর জবাব দিবো।'