ব্যস্ততার সাথে ভারসাম্য থাকুক ব্যক্তিগত জীবন



মোস্তফা রনি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিম আগে না মুরগি আগে। এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলে নি। তবে দুটোই যে গুরুত্বপূর্ণ, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ঠিক তেমনি মানুষের জীবনেও কর্মজীবন আগে না ব্যক্তিগত জীবন আগে এ নিয়ে রয়েছে সংশয় । আবার অনেকেই সারাজীবন কেবল চিন্তাই করেন, কীভাবে তিনি ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স করে জীবনটাকে উপভোগ করবেন। যখন কাজে ব্যস্ত হয়ে যান তখন নিজেকে আর সময় দেয়া হয় না, আবার সময় অপচয় করার মতো সময়ও কিন্তু কম নেই। এই ভাবে চলছে মানুষের জীবন। কিন্তু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যস্ততার সাথে ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সটা রক্ষা করা খুবই জরুরি।

ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স রক্ষা করার অর্থ হচ্ছে সারাদিনের কতটুকু সময় কাজ, আর কতটুকু ব্যক্তিগত জীবনে ব্যয় করা উচিত তার একটি হিসাব। একজন ব্যক্তি যাতে নিজেকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে আবার ঠিক তার পাশাপাশি কর্মজীবনও যেন তাৎপর্যপূর্ণ হয়। এই পুরো সময় জুড়ে হীনমন্যতা, চাপ ও প্রতিকূল পরিবেশকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার নামই হচ্ছে ভারসাম্য। কিন্তু বাস্তবে কতজন মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে এই ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে পারে। নিজের উপর অবিচল বিশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে পথ চলতে পারলেই সফলতার দেখা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সাফল্য ধরে রেখে সুন্দর একটি জীবনযাপন করা সম্ভব হয়।

প্রযুক্তির সাথে সাথে অর্থনৈতিক ভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সবার দৃষ্টি এখন উন্নয়নের দিকে। তবে এই উন্নয়নের পেছনে যারা কাজ করছে তাদের মানসিক উন্নয়নের দিকে নজর নেই খুব একটা। যার ফলে তারা অনেক সময় হয়ে পড়ছে হতাশাগ্রস্ত। গুটিয়ে নিচ্ছে তার জীবনটাকে। একা হয়ে পড়ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। প্রতিযোগিতার এই যুগে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দায়িত্বের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। যার ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না। দায়িত্বের চেয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং একটি কাজের নেতিবাচক পরিবেশ কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারসাম্যহীনতার ফলে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক প্রভাবগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো যেমন, মানসিক চাপ এবং মানসিক চাপজনিত অসুস্থতার হার বৃদ্ধি, পারিবারিক কলহের উচ্চ হার, সহিংসতা, বিবাহবিচ্ছেদ, সহিংসতার ক্রমবর্ধমান হার ইত্যাদি। যা অনেক সময় একজন কর্মীকে অবসাদগ্রস্তও করে। অন্যদিকে, কর্মীদের ভারসাম্য বজায় এবং জীবনের দায়বদ্ধতা অব্যাহত রাখার ফলে কাজে অনুপস্থিতি, টার্নওভারের উচ্চ হার, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, কাজের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি হ্রাস পাচ্ছে। এজন্য শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে কিংবা কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স তৈরির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে।

ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স রক্ষার সমাধান হিসেবে অনেকেই কাজ থেকে ফিরে এসে, কাজের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। এই চিন্তা করে যে, এখন আমি শুধু নিজেকেই সময় দেব। কিন্তু কিছু দায়িত্ব থাকে যেগুলোর ব্যাপারে সবসময় সজাগ ও সম্পৃক্ত থাকতে হয়। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে, যদি কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারগুলো একীভূত করে নেয়া যায়।

সুখীভাবে বেঁচে থাকতে হলে জীবনে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স ধরে রাখতে হবে। কাজকে ব্যক্তিগত জীবন থেকে আলাদা করে কখনোই সুখী হওয়া যায় না। সেজন্য জনসাধারণের মধ্যে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সের ধারণাকে উৎসাহিত ও উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র ব্যালেন্সড ড্রিংকিং ওয়াটার ব্র্যান্ড স্পা একটি গল্প প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। প্রতিযোগীদের গল্পগুলো তাদের ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করতে হবে অথবা গল্প লিখে ইমেইলও করতে পারবে  [email protected] এই ঠিকানায়। গল্পটি ফেইসবুক এ পোস্ট করার সময়  #Spa এবং #BalancedLife এই দুইটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিযোগীর ফেইসবুক পোস্ট টি PUBLIC করতে হবে এবং SPA ফেইসবুক পেজ কে ট্যাগ করতে হবে। গল্প পাঠানোর শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত। সংগৃহীত গল্পগুলো থেকে সেরা ১৫ জনকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ীরা পুরস্কার হিসাবে পাবে মীরসরাই এর মহামায়া লেক থেকে ঘুরে আসার সুযোগ। এছাড়াও ভ্রমণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে খৈয়াছড়া ঝর্ণা যাওয়া, মহামায়া হ্রদে কায়াকিং, ক্যাম্প ফায়ার, তাঁবুতে রাত্রিযাপন, মজার গেমসসহ নানান কার্যক্রম।

   

ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ লিবিয়া থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। 

এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্য রাত সাড়ে চারটার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। 

দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিশরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা পাঁচজন মাদারীপুরের ও তিনজন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন ওই ৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তারা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।

;

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাতের মৃত্যু ঘটে।

নিহত ইয়াছিন আরাফাত ওই এলাকার ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে।

জানা যায়, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াঁতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু ঘটে।
মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে বিধি মোতাবেক সহযোগীতা করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনে ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীই ‘স্বজন’: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে ‘স্বজন’ সংজ্ঞায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পারিবারিক ফর্মূলা কী- নিজের ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী! এর বাইরে তো পরিবার হয় না! আমরা চাচ্ছি, ইলেকশনটা (নির্বাচন) যেন প্রভাবমুক্ত হয়! মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোটটা দিতে পারেন’!

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবারের অনেকে তো দীর্ঘদিন ধরে একটা জায়গায় আগে থেকেই নির্বাচন করেন। যিনি এমপি হয়েছেন, তার বহু আগে থেকেই হয়ত ইউনিয়ন বা উপজেলা চেয়ারম্যান তার স্ত্রী। তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিলো, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিলো, সেটা ঠিক না! কর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত। সবকিছু নিজেরাই নিয়ে নেবো, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, সেটা তো হয় না!

তিনি বলেন, সবাই দাঁড়াচ্ছে। দাঁড়িয়েছে। ইলেকশন করছে, এটার অর্থ হলো- নির্বাচনটা অর্থবহ করা।

কয়েকটি দলের নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকগুলি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। বর্জন করে কেন! কারণ, নির্বাচন করার মতো সক্ষমতায় তারা নেই। ‘পার্লামেন্ট ইলেকশন’ করতে হলে জনগণকে তো দেখাতে হবে, পরবর্তী নেতা বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন! আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে, তখন তো ছুতো খুঁজতে হয়। ইলেকশন করলাম না, বাস্তবতা তো সেটাই! আমাদের দেশে তো সেটাই হচ্ছে! সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি জনগণকে দেখান, জনগণ তো নেবে না। রাজনীতি করতে হলে তো ঝুঁকি নিতেই হয়!

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৭৫-এর পরে আমাকে দেশে আসতে দেবে না। রেহানাকে তো পাসপোর্টটাও দেয়নি! যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার শুরু করেছিলেন জাতির পিতা, যারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল, তারাই মন্ত্রী, উপদেষ্টা, ক্ষমতায়। খুনিরা ক্ষমতায়! ওই অবস্থায় তো আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বার বার আঘাত এসেছে কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। এটাই অনেকের কষ্ট। এতবার মারবার চেষ্টার পরও বেঁচে গেলাম কেন!

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই ‘উন্নয়ন’ হয়েছে, এ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বা কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাঙালিদের। আগে তো নাম শুনলেই বলতো ‘গরিব’, ‘ভিক্ষুকের জাত’, সেই দুর্নামটা ঘোচাতে পেরেছি কি না, সেটাই বড় কথা!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো অনেক দেশেই নির্বাচন হচ্ছে। আমরা দেখবো, সেখানকার মানুষ কী রকম ভোট দেয়। আমরা সেটাও দেখবো। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখী ও স্বচ্ছ করা!

আমরা এই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আর্থিকভাবে এটি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরনির্ভর ছিল। সেখান থেকেও মুক্ত করে স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছি। আলাদা বাজেট করে দিয়েছি।

;

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফুস বালা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতককে আটক করতে না পারলেও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার ব্রাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা কেশবা জুগিপাড়ার মৃত শুরেন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।


প্রদক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সকালে গাছের ডাল কুড়ানোর সময়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময়ে দ্রুত গতিতে আসা মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দিলে বৃদ্ধা ছিটকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;