‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় পুলিশ সাহসী ভূমিকা পালন করছে’

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় পুলিশ সাহসী ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জিত হয়েছে। দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য মানুষ পুলিশের প্রশংসা করছে। এটা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা যখন অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তখন তাদের হাতে ২৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিলেন। ওই সময় পুলিশ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলে জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। আমাদের দেশে এই বিনিয়োগ সন্ত্রাসের কারণে কোনোক্রমেই যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে পুলিশকে ভূমিকা রাখতে হবে।

পুলিশে নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার পুলিশে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ পেয়েছেন। এই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ঘুষ এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এই ঘটনা একটি সততার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং পুলিশ সদস্যদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন।

মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের নানা কর্মসূচি চলবে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) পর্যন্ত।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। এ সময় তাকে সালাম জানানো হয়, বাজানো হয় জাতীয় সংগীত। এরপর প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০১৯ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৪ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ দেন।

এছাড়া সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই-নিরস্ত্র) মো. আক্তার হোসেনকে মরণোত্তর বিপিএম পদক দেওয়া হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশ নেন।

এবারের পুলিশ সপ্তাহে প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ছালেহ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে অংশ নেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।