রংপুরে আলু ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ
রংপুর অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতার সঙ্গে আছে সূর্যের লুকোচুরি। চলছে তাপমাত্রা বাড়া-কমার খেলা। এরই মধ্যে গত সপ্তাহের তিন দিনের হালকা বৃষ্টিতে কৃষকের মাথায় বাজ পড়েছে।
ঘন কুয়াশার কামড় আর বৃষ্টির পানিতে আলু ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে হতাশ রংপুর অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক। তারা স্প্রে-মেশিন কাঁধে ওষুধ ছিটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়ার কৃষক মতিয়ার রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে এবার এমনিতেই উৎপাদন ভালো হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে আলু ক্ষেতের সর্বনাশ হয়েছে।’
মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী এলাকার কৃষক মণ্ডল আলী জানান, গতবারও আলুচাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। এবারো একই অবস্থা। এমনিতেই শীত, ঘন কুয়াশা, তার উপর তিন দিনের বৃষ্টি। আলুর গাছে ছত্রাক জাতীয় সংক্রমণের কারণে পচন ধরেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর রংপুর কৃষি অঞ্চলের গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারী জেলায় প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ মেট্রিক টন।
এদিকে জেঁকে বসা শীতের তীব্রতা আর ভারী শৈত্যপ্রবাহ ও আবারো বৃষ্টির পূর্বাভাসে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তিত কৃষক।
এই অবস্থায় ছত্রাক দমনে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ কৃষি বিভাগের। বার্তা২৪.কমকে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, এই সময়ে আলুতে ছত্রাক জাতীয় রোগবালাই হতে পারে। বেশির ভাগ কৃষকই এটা জানে। সেক্ষেত্রে কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।