মুজিববর্ষ উদযাপনে চসিকের বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নগরে চারটি কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপনসহ বছরব্যাপী নগর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নগরীর আন্দরকিল্লাহ পুরাতন নগর ভবনের সামনে 'এ' ক্যাটাগরি একটি এবং সার্কিট হাউজের সামনে, আদালত ভবন এবং শাহ আমানত সেতু এলাকায় 'বি' ক্যাটাগরি তিনটি কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপিত হচ্ছে।

আগামী ১০ জানুয়ারি কাউন্ট ডাউন ক্লকগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র শতবর্ষ পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামী ১৭ মার্চ। এ উপলক্ষ এই বছরটিকে 'মুজিব বর্ষ' ঘোষণা দিয়েছেন সরকার। জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী কর্মসূচী হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

চারটি কাউন্ট ডাউন ক্লকের জন্য চসিকের ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৮ টাকা। চসিক এ ব্যয় বহন করছে। জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বছরব্যাপী কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির জনক এর কর্মময় জীবন ও রাজনৈতিক জীবনকে তুলে ধরার জন্য চসিকের এই প্রয়াস।এছাড়াও আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরা এবং মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় রাখতে নগরীর বাটালী হিলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, পাহাড়তলী শেখ রাসেল পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু সড়কের বড়পুল গোল-চত্বরের ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

বিজ্ঞাপন

মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, মুজিব বর্ষের বছরব্যাপী কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানমালা জাঁকজমকপূর্ণ আকর্ষণীয় ও অনাড়ম্বরপূর্ণ হবে। এর জন্য চসিক যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সিটি মেয়র আরো বলেন, ২০২০ সালে ১৭ এপ্রিল পূর্ণ হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের রজত বছর। আর ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছর। এ কথা বলা মোটেও অযৌক্তিক হবে না যে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই মুদ্রার এপিট-ওপিঠ। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে যেমন বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করা যায় না। তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিলে অর্থহীন হয়ে পড়বে বাংলাদেশও।

চসিক মেয়র মুজিব বর্ষকে ঘিরে মশক মুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগর, বঙ্গবন্ধুর নিবেদনে অমর একুশে বই মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই কর্মসূচির আওতায় নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগে বিভক্ত করে প্রতিটি ভাগে রাস্তা, ফুটপাত, গলি উপগলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার, মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং মশার স্থান ধ্বংস করণে কেমিক্যাল স্প্রে, বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতিমাসে ২ বার বিশেষ পরিষ্কার করণ, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা, চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ হাসপাতাল, অফিস ও শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি পরিষ্কার করণ, গৃহস্থালির বর্জাদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার বিষয়ে 'পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করুন', 'চট্টগ্রাম শহরকে সুস্থ রাখুন' সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন, নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করণ, মনিটরিং ও রিপোর্টিং কার্যক্রম জোরদার, নগরীকে সবুজায়ন কার্যক্রম ইত্যাদি রয়েছে। মুজিব বর্ষের এই কার্যক্রম সরাসরি তদারকিতে রয়েছেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।