সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন বছরে শেখ হাসিনার সরকার



লুৎফে আলি মহব্বত, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একের পর এক চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ১১ বছর অতিক্রম করে ২০২০ সালে প্রবেশ করেছে। বিগত বছরগুলোতে যুদ্ধাপরাধের বিচার, জঙ্গিবাদ নির্মূল, সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তার রোধ ইত্যাদি জাতীয় ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সঙ্গে দলে শৃঙ্খলা আনয়ন এবং বিতর্কিত, অনুপ্রবেশকারী, পথভ্রষ্টদের হটিয়ে দেওয়ার অতি জরুরি কাজও করতে হয়েছে। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন রোধ, সড়কে নিরাপত্তা আনা, ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে সরকারকে। এসব সাফল্যের পাশাপাশি চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু হয়েছে সরকারের নতুন বছর ২০২০ সাল।

১/১১-এর ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। চারিদিকে তখন অগ্নি সন্ত্রাস, সীমাহীন নৈরাজ্য, জ্বালাও-পোড়াও, জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীদের হুঙ্কার, মাদকের ছোবল আর অস্ত্র ও সন্ত্রাসের ঝনঝন শব্দ। শাসন ও প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান অচলাবস্থাকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হয়েছে সরকারকে। ফিরিয়ে আনতে হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক ও নিরাপদ সামাজিক জীবন এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা।

তারপরও মাঝে মাঝে মাথা তুলেছে জঙ্গিবাদ, বন্যার মতো মাদকের ঢল নেমেছে। সেগুলোকেও সামাল দিতে সর্বক্ষণ কাজ করতে হয়েছে। প্রায়শই অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটেছে নারী নির্যাতন, শিক্ষাঙ্গনে হত্যা, সড়কে রক্তপাতের মধ্য দিয়ে। ফেনির নুসরাত ও বুয়েটের আবরার হত্যা, সড়কে যন্ত্রদানবের কবলে নিহত শিক্ষার্থীদের আর্তনাদ ও জনরোষ থামাতে হয়েছে সরকারকে।

ফলে সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি অগ্রাধিকারের বিষয়কে। এর মধ্যে রয়েছে, মাদক-অস্ত্র-জঙ্গিবাদ রোধ, নারীর প্রতি সহিংসতা দমিয়ে আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ বিধান, দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন নিশ্চিত করা, সড়কে, সমাজে, শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বজায় রাখা, দারিদ্র্য কমানো ও কর্মসংস্থান বাড়ানো, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরিকল্পিত নগরায়ন কাঠামো তৈরি করা।

বস্তুতপক্ষে, চ্যালেঞ্জগুলো চলমান এবং একদিনে মোকাবেলার মতো নয়। বছরের পর বছর পরিকল্পনা ধরে ক্রমে ক্রমে এগিয়েই এসবকে চিরউচ্ছেদ করা সম্ভব। এরই মাঝে সরকার ২০০৯-২০১৯ সালের সময় সীমায় আর্থ, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে চলেছে এবং যেসবের স্পষ্ট সাফল্যও পরিলক্ষিত হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের বড় সাফল্য হলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা, যা ১৯৯৬-৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সর্বপ্রথম প্রবর্তন করেন। ২০১৯-২০ সময়কালে ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা সামাজিক উন্নয়নে বরাদ্দ হওয়ায় ৮৭ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভাতা পাচ্ছেন। তাদের ডাটাবেইজ তৈরি করে সরাসরি ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠানোর সহজ ও বিড়ম্বনাহীন ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ২০১৯ সালেই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় ১৪৫টি প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে।

একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পের অধীনে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১ লাখ ৫ হাজার ৭২৩টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠনের মাধ্যমে ৪৭ লাখ অবহেলিত পরিবারকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পল্লী সঞ্চয় ব্যাঙ্কের ১০০টি শাখা উদ্বোধন করে প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১০৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা উণ সহায়তা দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হয়েছে। প্রায় ৩ কোটি মানুষকে ১০ টাকা কেজিতে চাল সরবরাহ করা হয়েছে।

জাতীয় যুব নীতি গ্রহণ করে ৩৬৩১ টি যুব সংগঠনকে নিবন্ধন করা হয়েছে। দক্ষ মানব সম্পদ বাড়াতে ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৪৪ জন যুবককে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আত্মকর্মসংস্থান বাড়াতে প্রায় আড়াই লাখ যুবককে সোয়া ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সরকার ১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পাশাপাশি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে।

২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে কাজ করে সরকার জাতীয় প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৮.১৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। মাথাপিছু আয় হয়েছে দুই হাজার ডলার। রফতানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্বাস্থ্যসেবা বিকাশের লক্ষ্যে সরকার ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি ৪৫ প্রকার ঔষধ বিনামূল্যে গরিব মানুষকে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। ২৩ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ১৪ হাজার নার্স নিযুক্ত হয়েছেন। ৫৯টি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রসারে ৩শ’ ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। অটিজম আক্রান্ত শিশুদের সুরক্ষায় ২২টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশীয় চাহিদার ৯৮% শতাংশ ঔষধ দেশে উৎপন্ন হচ্ছে এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর ১০ মাস।

কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন। দেশে বছরে ৪ কোটি ৪৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে। ৪০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার কৃষি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বিগত ১১ বছরে। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ভিত্তিতে ৩টি নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। ৫৮৪টি উচ্চফলনশীল জাত ও ৪৪২টি উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। মাত্র ১০ টাকায় ব্যাঙ্ক হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়ায় কৃষকদের ১ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮টি ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা সম্ভব হয়েছে। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থান এবং মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।

শিল্পায়নেও বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। পোশাক শিল্পে প্রণোদনা ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা হয়েছে। নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে। পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩৭টি মামলায় ১০৩জন আসামির সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৪জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকাশ ও নিজ নিজ ধর্ম পালনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকার আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। মসজিদ, মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা প্রসার করা হয়েছে। ৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প চলছে। ৭৭ হাজার মসজিদ ভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মস্থান ও শিক্ষার জন্য নানা প্রকল্প চলছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা, রেল, সড়ক, নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধিতে নানা প্রকল্প চলছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলীতে টানেল, কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ বিস্তারসহ নানা কার্যক্রম চলছে। দেশে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজ করা হয়েছে।

সাফল্যের হাত ধরে নতুন বছরে পদার্পণ করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সামনে রয়েছে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে রয়েছে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সাহস ও প্রত্যয়, যা শেখ হাসিনাকে বিশ্ব-নেতৃত্বের অনন্য নেতায় পরিণত করেছে। ২০২০ সালে নতুন বছরের আগমনের সঙ্গে শুরু হচ্ছে বহুকাঙ্ক্ষিত ‘মুজিব বর্ষ’। সামনেই রয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছর। ফলে নতুন এই বছর সরকারের কাছে এসেছে প্রণোদনা ও উদ্দীপনার আবহে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে সফলতার পথে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে চলার আহ্বান। 

   

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫০) এবং অপরজন হলেন ছানোয়ার হোসেন (৪৫)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবজি বিক্রেতাদের বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহ আলম বলেন, সকালে মানিকগঞ্জের জাগীর সবজি আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে কাটিগ্রাম এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুস সামাদের ছেলে ছানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় যাচ্ছিলো।

যাত্রাপথে তাদের বহন করা ভ্যানটিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় ভ্যান চালক রাস্তার পাশে পড়ে গেলেও ওই দুই সবজি বিক্রেতা মারা যায় বলে জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এক জনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে এবং একজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;