শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারত করলেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি হেলিকপ্টারযোগে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপর প্রথমে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও পরে হজরত শাহপরান (রহ.)- এর মাজার জিয়ারত করেন তিনি।

বিকেল ৩টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

এদিকে দীর্ঘ এক যুগ পর শাবিপ্রবির তৃতীয় সমাবর্তন ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে নতুন মোড়কে। সিলেট নগরজুড়ে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত কয়েকদিনের মতো আজ বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।

   

পরকীয়ায় আসক্ত স্বামী, স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মান্দায় পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রোকেয়া (২০) নামের এক গৃহবধূ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার প্রসাদপুর ইউপি’র গোটগাড়ি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন, ইনায়েতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা রফিকুল ইসলাম, মা নার্গিস বেগম ও জ্যাঠাতো বোন রিমা খাতুন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীসহ বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১ বছর আগে একই উপজেলার পার-এনায়েতপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইউসুফ আলীর (২৩) সঙ্গে ২ লাখ ২০ টাকা দেনমোহরে রোকেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর চাকরির সুবাধে তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকতো। সেখানে থাকাবস্থায় ভুক্তভোগী রোকেয়ার স্বামী ইউসুফ আলী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত রোকেয়াকে যৌতুকের জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে ইউসুফ আলী তার চাচাতো ভগ্নীপতি আতিকুর রহমান ও বোন মীমের প্ররোচনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ রোকেয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বকভাবে ১০০ টাকা মূল্যের দু’টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গত ৫ মাস পূর্বে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বর্তমানে সে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছে।

বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার বসার জন্য বলা হলেও তারা কোন কর্ণপাত না করায় প্রতিকার চেয়ে ব্র্যাকের আইন সহায়তা কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তারা। এছাড়াও স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার করাসহ পরকীয়ায় আসক্ত জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

;

প্রার্থী অপহরণ, ফেঁসে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসনেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। সেখানে ঘটনার সতত্য মিলেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে কমিশন সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। কমিশন পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এর আগে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ার‌ম্যান প্রার্থী দোলায়ার হোসেনকে একটি কালো গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মেরে প্রার্থীর বাড়ির পাশে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব ও তার সমর্থকদের দায়ী করেন। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

অপহরণ ও মারধরের ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে স্বপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

;

এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু টানেলে টোল আদায় ৮১ লাখ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটিতে গত এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে ৩৩ হাজার ৭৭৩টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৮০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫০ টাকা। তবে এই যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশই পর্যটকবাহী। পর্যটকবাহী এই গাড়িগুলো ঈদের দিন থেকে চলাচল করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাপিক) তানভীর রিফা জানান, ঈদের আগে ও পরে এক সপ্তাহে টানেল দিয়ে যান চলাচল ও টোল আদায়ের তথ্য এটি। এদিকে ঈদযাত্রায় টানেল ব্যবহার নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।

ঢাকা থেকে আসা বাসযাত্রী নাজমুল ইসলাম বলেন, কোনো যানজট ছাড়াই চট্টগ্রামের এক প্রান্ত থেকে মাত্র তিন মিনিটে অন্য প্রান্তে চলে এসেছি, ঢাকা থেকে সাত ঘণ্টার মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছে যাব।

আরিফুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী জানান, টানেল হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে এসে আবার পটিয়া সড়ক দিয়ে যেতে হয়, এতে ভোগান্তি বেশি। তাই আনোয়ারা থেকে বাঁশখালী-পেকুয়া হয়ে কক্সবাজারের সড়ক হলে ভোগান্তি ছাড়া দ্রুত সময়ে কক্সবাজার টেকনাফে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই টানেল উদ্বোধনের পর দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচলের সংবাদ প্রচার করা হয়। এতে বছরে ০.১৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করবে বলে সেতু মন্ত্রণালয় জানায়। তবে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সড়কের কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং টানেল নিয়ে বিকল্প নতুন সড়ক না হওয়ায় যানবাহন চলাচল বাড়ছে না। এতে করে টানেলের কাঙ্খিত আয়ও পূরণ হচ্ছে না বলে জানা যায়।

;

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী

  • Font increase
  • Font Decrease

৩৩০ জন বিজিপি সদস্যকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পর আবারও কয়েক ধাপে নতুন করে ২শ' এর অধিক মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এবং সেনা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও তারা বাংলাদেশের আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আশ্রয় নিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ১৬ সীমান্তরক্ষী ও সেনা সদস্য। গত তিন দিনেই ৩২ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সেনা সদস্য অনুপ্রবেশ করেছেন এপারে।

এরমধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি অনুপ্রবেশ করেন। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৪জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। এসব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আজ সকাল দশটার দিকে ঘুমধুমের রেজু আমতলী সীমান্ত দিয়ে ২ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। বর্তমানে ঘুমধুম বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আছাড়তলী সীমান্ত দিয়ে ১০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে অনুপ্রবেশ করেন। পরে টেকনাফের ঝিমংখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি পালিয়ে আসেন।

এর আগেও ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারা সকলেই বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ১৫ দিন পর কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাট দিয়ে সাগরপথে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

;