‘উদয়ন-পাহাড়িকা’ ট্রেনে নতুন কোচ, উদ্বোধন ২৬ জানুয়ারি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্ত২৪.কম, মৌলভীবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে আন্তনগর পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে নতুন কোচ। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা ট্রেনে যাত্রীর চাপ থাকলেও প্রথম শ্রেণির আসন ও এসি কোচ ছিল না। নতুন করে কোচ সংযোজনের মাধ্যমে আসন ও এসি কোচ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘদিন ধরে সিলেট-চট্টগ্রামের রুটের ট্রেন উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস জীর্ণ দশায় চলছিল। ট্রেন দুটির বেশিরভাগ আসনই শোভন শ্রেণির। এতে এই রুটে যাত্রীদের যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসও চলছে জীর্ণ দশায়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহান বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২৬ জানুয়ারি সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ১৪টি করে নতুন ইন্দোনেশিয়ান কোচ যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, জয়ন্তিকা ও কালনী এক্সপ্রেস নতুন কোচ পাচ্ছে। রেলপথ কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে রেলের কোচ দেওয়ার ক্ষেত্রে মূলত সিলেট রুটে প্রাধান্য থাকবে।

বিজ্ঞাপন

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস মাত্র একটি এসি চেয়ার, একটি নন এসি কেবিন, দুটি শোভন চেয়ার ও একটি ডাইনিং শোভন চেয়ার নিয়ে যাতায়াত করছে। বাকিগুলো শোভন শ্রেণির আসন নিয়ে যাতায়ত করছে।

এদিকে ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা, উপবন ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন এখনও বেহাল দশায় চলছে। ‘কালনী এক্সপ্রেস’ প্রথম শ্রেণির আন্তনগর ট্রেন হলেও নেই খাবার গাড়ি কিংবা কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ড.মো.আব্দুস শহীদ সিলেট রুটে নতুন কোচ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।

সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-সিলেট রুটে কালনী, জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে নতুন কোচ দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত সহজ করতে ট্রেনগুলোতে বগি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ডিও লেটার প্রদান করেন।

রেলের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সিলেট চট্টগ্রাম রুটে উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টা। আবার সিলেট থেকে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৫০মিনিটে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট থেকে সকাল সোয়া ১০ টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে। এছাড়া ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে সকাল ৯ টায় ছেড়ে সিলেটে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬ টায়।

ঢাকা সিলেট রুটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়ে দুপুর ১২টায় এবং সিলেট পৌঁছে রাত পৌনে ৮টায়। আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সিলেটে পৌঁছাত।

আবার জয়ন্তিকা সিলেট ছাড়ে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকায় আসে বিকেল ৪টা ২০মিনিটে। উপবন ট্রেন ঢাকা থেকে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে সিলেট পৌঁছে ভোর সাড়ে ৫টায়। ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে আসে রাত ১০টায় এবং ঢাকা পৌঁছায় ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে।