'সকল হাসপাতাল সিসিটিভির আওতায় আনা হবে'
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, 'উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ বাংলাদেশের সকল হাসপাতালকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো হাসপাতালকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের থেকে এই সিসিটিভিগুলো মনিটরিং করা হবে।'
তিনি আরও যুক্ত করে বলেন, 'আমরা ডাক্তার, নার্স, ঔষধ, যন্ত্রপাতিসহ সকল সুবিধা দিচ্ছি হাসপাতালগুলোতে। এখন আমাদের এগুলো শক্তভাবে মনিটরিং করে জনগণকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।'
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের বিভিন্ন উপজেলায় ১০৩টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আগত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা সাড়ে ৪ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছে এবং মুজিববর্ষে আরো ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এখন সকল উপজেলায় ডাক্তার থাকবে। আপনারা যারা সংসদ সদস্য আছেন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর ডাক্তার, যন্ত্রপাতি, অ্যাম্বুলেন্সে নজরদারি রাখবেন। সবসময় খোঁজখবর নিলে সাধারণ জনগণ ভালো সেবা পাবেন।'
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের কথা বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অর্জন অনেক। সব বড়বড় হাসপাতালে বেডের সংখ্যা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সামনের দিনে আমরা বাংলাদেশের ক্যান্সার হাসপাতাল ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট এবং সর্ববৃহৎ হাসপাতাল গড়ে তুলবো ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য।'
অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেসব উপজেলায় আমরা অ্যাম্বুলেন্সগুলো দিচ্ছি। এগুলো যেন দীর্ঘ দিন চলে। তার জন্য নিয়মিত মেইনটেনেন্স করবেন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তাছাড়া এই অ্যাম্বুলেন্স শুধুমাত্র রোগীর জন্য ব্যবহৃত হবে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।'
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, 'মন্ত্রীদের ডাক্তার ট্রান্সফারের বিষয়ে তদবির না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করেন। তদবির বন্ধ হলে উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তাররা থাকতে বাধ্য। স্বাস্থ্যসেবায় অনেক উন্নতি হয়েছে যার প্রমাণ এখন কমেছে শিশু মৃত্যুর হার।'
এম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদউল্লাহসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।