ঢাকা-হ্যানয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব আরোপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করা গেলে এটি একটি বড় বাজারে পরিণত হবে।
বাংলাদেশে ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বোরবার (২৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গত ১১ বছর আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাঁর সরকার সেই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.১৫ শতাংশে উন্নীত করেছি এবং দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিন্ন ইতিহাস রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দুদেশের জনগণেই নিজ নিজ দেশকে স্বাধীন করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছে।’
ভিয়েতনামিদের সাহসী হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেদেশের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন করছে এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ‘মুজিব বর্ষ’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশের, বিশেষত উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এটি বাংলাদেশের একটি বড় সাফল্য এবং এই বিশাল অর্জন দেখে আমি খুব খুশি। বাংলাদেশের রুপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ উল্লেখ করে ভিয়েত চিয়েন বলেন, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের ভিশনে মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশেন মধ্যে সুসম্পর্ক সম্পর্ক বজায় রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা ভাইয়ের মতো এবং আমি আমার সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, যদিও দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং সহযোগিতা রয়েছে, তবুও এই সহযোগিতা আরও জোরদারের সুযোগ রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং তার সরকার ও কার্যালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ভিয়েত চিয়েন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন করেঅভিভূত হয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস