রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দ্রুত ফুটবে আমের মুকুল



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঘের শুরুতে এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজেছিল রাজশাহীর জনপদ। তারপর থেকে চলছে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তা না কাটতেই মধ্যমাঘে ফের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে পদ্মাপাড়ের জনপদে জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। তবে কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সময়ের বৃষ্টি আমের মুকুলের জন্য উপকারী। এ বৃষ্টিতে দ্রুত ফুটবে আমের মুকুল।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর রাত থেকে রাজশাহীর আকাশে মেঘের আনাগোনা। ভোরে সূর্যের দেখা না মিললেও কিছুটা আলোকিত ছিল।

বৃষ্টিতে ভেজা কাক, ছবি: বার্তা২৪.কম

তবে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। চারিদিকে নেমে আসে অন্ধকার। সকাল পৌনে ৮টার দিকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, তারা ভোর ৬টায় ওয়েদার রিডিং নেন। তখন বেশ স্বাভাবিক ছিল তাপমাত্রা। কিন্তু বৃষ্টি শুরুর পর তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তবে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে তা জানাতে পারেননি রাজশাহী আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। তা জানাতে তাদের আরো সময় লাগবে বলে সকাল ৯টার দিকে বার্তা২৪.কমকে জানান আরেক উচ্চ পর্যবেক্ষক আনোয়ারা বেগম।

রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে, শীতের সকালে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। সকালে নগরীর আলুপট্টি মোড়ে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিককে।

তাদের একজন আমিনুর রহমান। ভোরে জেলার বানেশ্বর এলাকা থেকে বাই সাইকেলে করে শহরে কাজের সন্ধানে বের হন তিনি। ১২ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে নগরীতে প্রবেশের পরপরই বৃষ্টিতে আটকা পড়েন তিনি।

আমিনুর বলেন, সকালে মেঘ মেঘ ছিল, তবুও কাজ হবে ভেবে বাড়ি থেকে বের হলাম। কিন্তু শহরে ঢোকার পরপরই বৃষ্টিতে আটকা পড়েছি। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আজ কাজ নাও পেতে পারি। কাজ না পেলে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হবে।

রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ছবি: বার্তা২৪.কম

শুধু শ্রমিকরা নন, বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও। বৃষ্টিতে সাত বছর বয়সী শিশু সন্তান আকিবকে নিয়ে সাগরপাড়া মোড়ে নির্মাণাধীন ভবনের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন সাজেদা বেগম।

সকাল ৯টার দিকে তিনি বলেন, সকালে তাড়াহুড়ো করে ছাতা না নিয়েই বেরিয়ে পড়েছি। এখন বৃষ্টিতে ভিজছি। বাচ্চার সাড়ে ৮টায় স্কুল। ৯টা বাজলেও এখনো দাঁড়িয়ে আছি। বেশি ভিজলে শীতে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়বে। আজ আর স্কুলে যাওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে না।

এছাড়া নগরী ঘুরে রিকশাচালক, বাস-ট্রেনের জন্য স্টেশনগামী যাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়।

রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ছবি: বার্তা২৪.কম

তবে মধ্যমাঘের এ বৃষ্টি আমের মুকুলের জন্য উপকারী হবে বলছেন কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. আলীম উদ্দিন বলেন, এখন মুকুল ফোটার একদম উপযুক্ত সময়। ঠিক এমন সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় অঙ্কুরিত হতে থাকা মুকুল ঝটপট ফুটবে। এতে আমের ভালো ফলনের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দেবে।

   

খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের জয়জয়কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলায় ৩ টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়জয়কার।

বুধবার (৮ মে) রাত ৮ টার পর থেকে রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ গুলোর কন্ট্রোল রুম থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে রামগড়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, মানিকছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, লক্ষ্মীছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাথোয়াইঅং মারমা বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে, মাটিরাঙ্গায় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। খাগড়াছড়ির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কামরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৮ শ ৯৭ জন। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩৭ জন।  

;

মেহেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের মুজিবনগরের বল্লভপুর নামক স্থানে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবুজ হোসেন (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাত পৌনে দশটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী তোফিক উমর (২০) গুরুতর আহত হন।

নিহত সবুজ হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাকা গ্রামের পাখি শেখের ছেলে।

জানা গেছে, মুজিবনর উপজেলার বাগোয়ান গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযোগেবাড়ি ফিরছিলেন সবুজ ও তার বন্ধু তৌফিক উমর। মুজিবনগর-দর্শনা সড়কের বল্লভপুর নামক স্থানে পৌঁছুলে দ্রুত গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ আরোহীরা রাস্তার পাশের এক সাইনবোর্ডের সাথে সজোরে ধাক্কা খান। এতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই সবুজের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তৌফিক উমরকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন।

তৌফিকের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল করেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন চিকিৎসকরা।

দুর্ঘটনার বিষয়ে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল দত্ত বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

;

মণিরামপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন আমজাদ হোসেন লাভলু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষে ৬ হাজার ৫শ’ ৫৫ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২শ’ ৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭শ’ ১৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এবার মণিরামপুর উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে। মণিরামপুরে এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট নেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৬৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ ইলেকট্রিনিক্স ভোটিং মেশিনে ইভিএমে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩২২ জন এবং হিজড়া দু’জন ভোটার রয়েছেন।

;

নওগাঁয় ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তারা পুনরায় নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাত ১০টায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে পৃথক ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে, সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে বদলগাছী, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ তিন উপজেলায় তারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা নতুন করে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন।

বদলগাছী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা নিত্যানন্দ কুমার পাল বলেন- কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী মো. শামসুল আলম খান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট ২১ হাজার ৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ-পিরিচ প্রতীকের মো. আবুল খালেদ বুলু ১৫ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন বলেন- মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল গাফ্ফার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট ৬২ হাজার ৭৮৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল খালেক চৌধুরী ৫০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

অপরদিকে, ধামইরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা মো. আনিছার রহমান বলেন- আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. আজাহার আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৬ হাজার ৮৫৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. ওসমান আলী ১২ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নি কার্যালয় থেকে জানা যায়- জেলার বদলগাছী, পত্নীতলা ও ধামইরহাট এ উপজেলায় ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যেখানে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন। ১৯১ টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪০৭টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৬ জন এবং নারী ভোটার জন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২৯ জন।

;