৯০০ টাকার ‘ডোপ টেস্ট’ ফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৪০০০!



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ডোপ টেস্টে গলাকাটা ফি নেওয়া হচ্ছে/ছবি:বার্তা২৪.কম

ডোপ টেস্টে গলাকাটা ফি নেওয়া হচ্ছে/ছবি:বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার বাসিন্দা ইশতিয়াক আহমেদ। জানুয়ারির শুরুতে তিনি একটি সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে যোগদানের আগে তাকে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। গেল সপ্তাহে তা করাতে গিয়েছিলেন রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পেতে তাকে গুণতে হয় চার হাজার টাকা। অথচ স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ডোপ টেস্টের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ ফি ৯০০ টাকা। অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে চার গুণেরও বেশি!

শুধু পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নয়, রাজশাহীর সব বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ডোপ টেস্টের জন্য গলাকাটা ফি আদায় করা হচ্ছে। কেউ-ই তোয়াক্কা করছে না সরকার নির্ধারিত ফি। প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ব্যয়ে ডোপ টেস্ট করাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থী ও বিদেশগামীসহ অন্যরা।

তবে এ নিয়ে বিভাগীয় ও জেলা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো মাথাব্যাথা নেই। আর অভিযোগ পাননি তাই ব্যবস্থা নেননি বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

কেউ-ই তোয়াক্কা করছে না সরকার নির্ধারিত ফি

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর সব শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে প্রার্থীর ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক করা হয়। সেসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রও জারি করা হয়। পরিপত্রে বলা হয়- ‘সব শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় বিদ্যমান অন্যান্য ব্যবস্থার সঙ্গে ডোপ টেস্ট অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

এর পরই ডোপ টেস্টের সরকারি একটি ফি নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু রায়হান মিঞা স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র জারি করা হয়।

সেখানে উল্লেখ করা হয়- সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে বাছাইকৃত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সঙ্গে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ডোপ টেস্ট ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ফি হবে ৯০০ টাকা। নন-স্পেসিফিক পরীক্ষা যেমন- বেঞ্জোডায়াজেপিন, এমফেটামাইনস, অপিয়েটস ও কেননাবিনেয়েডস- এই চারটির প্রতিটির ফি ১৫০ টাকা এবং অ্যালকোহল পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা।

গত ৩০, ৩১ ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে চার হাজার টাকা ফি নিয়ে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে থাকেন। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার আদায় করছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ পর্যন্ত। আর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নিচ্ছে চার হাজার টাকা। অন্য ক্লিনিকগুলোতেও একই হারে ফি আদায় করা হচ্ছে।

তাদের দাবি- সরকারিভাবে ডোপ টেস্ট ফি বিষয়ে তাদেরকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকেও কিছু জানানো হয়নি। ফলে তারা নিজেদের মতো করে ফি আদায় করছে।

রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক ফরিদ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘ডোপ টেস্ট রেট নির্ধারণ করা হয়েছে শুনেছিলাম। তবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। সরকার যদি নির্ধারণ করে থাকে এবং সে বিষয়ে আমাদের অবগত করা হয় তবে অবশ্যই আমরা মেনে চলবো। ডেঙ্গু টেস্টের সময় আমরা সরকারি নিয়ম মেনে ফি নিয়েছি। এটা নিতেও আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’

ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দেখুন ডোপ টেস্ট নিয়ে কেউ কোনো খোঁজ এখনও নেয়নি। স্বাস্থ্য অধিদফতরও কিছু বলেনি। আমরা যেটা নিলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো হয়, সেটাই নিচ্ছি। তবে সরকারি নির্ধারিত ফি সম্পর্কে জেনেছি।’

রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক হাসান আল মারুফ বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে বেশি নেয়াটা অবশ্যই অপরাধ। তবে আমরা এখনও এনিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা সেখানে অভিযান চালাবো।’

রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, ‘দ্রুত আমরা রাজশাহীর বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দেব। এরপরেও যদি তারা ৯০০ টাকা বেশি ফি আদায় করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

তবে ডোপ টেস্ট ফি নির্ধারণ এবং তা না মেনে চলার বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচাক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্যের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাকে বিস্তারিত জানতে হবে। তারপর কথা বলবো।’

   

২৪ ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা কুসিক মেয়রের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে (কুসিক) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানি পশুর সব ধরনের বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা.তাহসীন বাহার সূচনা। এছাড়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কম-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মেয়র সূচনা।

মেয়র সূচনা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা টানা ৩-৪ দিন কাজ করেন। তাই কুমিল্লাবাসী ঈদের দুই দিনের মধ্যে কোরবানি শেষ করলে ভালো হয়।

মেয়র আরও বলেন, ঈদের দিন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে স্থায়ী ও আউটসোর্সিং মিলে প্রায় ৪ শতাধিক শ্রমিক কাজ করবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৩৮ টি গাড়ী থাকবে। অন্যদিকে নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ২৪ হাজার ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে নগরবাসী তাদের কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করতে পারবেন।

সি‌টি মেয়র আ‌রও বলেন, ঈ‌দের দিন দুপুর ৩ টা থেকে প্রতি ওয়ার্ড ভিত্তিক বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য গাড়ি যাবে ।গাড়ির নাম্বার, চালক এবং সহযোগীদের নাম ও ফোন নাম্বার ইতিমধ্যেই নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে । তারপরও যদি সন্ধ্যার মধ্যে কোন বর্জ্য অপসারন না হয়। সেক্ষেত্রে একটি হটলাইন নাম্বার দেয়া হয়েছে। আমি আশা করছি, নগরবাসী সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ঈদুল আজহা উদযাপন করবে।

;

ময়মনসিংহে নিখোঁজের ৩ দিন পর নারীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে সদর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর মিনারা আক্তার (৩৫) নামে এক বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মিনারা জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধলা এলাকার আনিসুর রহমানের স্ত্রী ও জেলা ফুলবাড়িয়ার রাধাকানাই ইউনিয়নের রমজান আলীর মেয়ে।

রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরের সদর উপজেলার চুরখাই এলাকার আব্দুল লতিফের বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াসিম কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে উপজেলার চুরখাই আব্দুল লতিফের বাসা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে একটি ঘরের ভিতর খাটের উপর থেকে লেপ দিয়ে প্যাচানো বিবস্ত্র ও গলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেে মর্গে পাঠানো হয়। বাড়ির মালিক আব্দুল লতিফ ওই বাড়িতে বসবাস করে না। তবে, তার ছেলে রাজিব এই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার পর থেকে রাজিব পলাতক রয়েছে।

নিহতের স্বামী আনিসুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার সকাল ৮ টায় আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যাওয়ার সময় আমার মোবাইলটি সাথে করে নিয়ে যায়। এরপর ওই দিন বেলা ১১ টা থেকে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং তখন থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধ্যান মেলেনি। দুপুরে খবর পাই যে, চুরখাই এলাকায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন খবরে মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে মিনারাকে দ্বিতীয় বিয়ে করি। তবে, এই স্ত্রীর ঘরে কোন সন্তান ছিল না। আমার স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই স্ত্রী এক বাড়িতেই থাকত। তবে, সংসার আলাদা ছিল। এমন ঘটনা কি কারণে তা আমার জানা নেই।

এসআই ওয়াসিম কুমার বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ত্রিশালের আনিসুর রহমান নামে একজন ওই নারীকে তার স্ত্রী বলে দাবি করছেন। তবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি। ধারণা করা হচ্ছে, তিন চারদিন আগে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাথে বাসার মালিকের ছেলে রাজিবকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

;

ফেনীতে আধুনিক তাঁবুতে হবে ঈদের জামাত, ৫ ঘন্টায় বর্জ্য অপসারণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত হয়েছে ফেনীর ঐতিহাসিক মিজান ময়দান। ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে মুসল্লিদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক নিরাপত্তা ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে এ ময়দানকে। মিজান ময়দানে বসানো হয়েছে তাপ ও পানি নিরোধক আধুনিক তাঁবু। এ ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জেলার প্রধান ঈদ জামাত।

এদিকে ঈদের দিন পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। এ ছাড়া ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ৪০ হাজার কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ব্যাগ দেয়ার পাশাপাশি পশু কোরবানির স্থানও নির্ধারণ করে দিয়েছে পৌরসভা। বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ঈদের প্রধান ঈদ ময়দান ও বর্জ্য অপসারণের বিষয় তদারকি করে মিজান ময়দান পরিদর্শন করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এসময় তারা ফেনীবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্জ্য অপসারণে পৌরসভাকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহে পাঁচ শতাধিক বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগানো হয়েছে। ঈদকে আনন্দময় করে তুলতে দুই দিন ধরে আলোকসজ্জার পাশাপাশি মুসুল্লিদের জন্য খেজুর ও খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়দান প্রস্তুতির কাজ করছে আপন ইভেন্টস নামে অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান।

একই সূত্র জানায়, পৌরসভার নির্ধারিত ১০৯টি স্থানে পশু জবাই করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মাইকিংও করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য দুই হাজার ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে ১২টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলের জন্য একজন সুপারভাইজার ও একটি করে ট্রাক্টর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি ভ্রাম্যমাণ দল ও পানির গাড়ি নিয়োজিত থাকবে। স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা এসব দলের কাজ তদারকি করবেন।

ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ঈদের দিন বৃষ্টির পূর্বাভাসের বিষয়টি মাথায় রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পর্যায়ে এ তাঁবুটি স্থাপন করা হয়েছে। ঈদ জামাতের জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষ। মুসল্লিরা সুন্দর পরিবেশে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবে।

বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, পৌরবাসীর সহযোগিতায় গত বছর কোরবানির ছয় ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ বছর কোরবানির বর্জ্য পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন বেলা একটা থেকে প্রায় দুই শতাধিক কর্মী ১২টি দলে ভাগ হয়ে মাঠে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারিত হবে। কর্মীদের মধ্যে যে দল যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। শুধু শহরের প্রধান সড়ক নয়, অলিগলি থেকেও বর্জ্য অপসারণ করে পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পৌরসভা থেকে ব্যাগ দেয়া হয়েছে, বর্জ্যগুলো ব্যাগে রাখলে পৌরসভার কর্মীরা গিয়ে নিয়ে আসবে।

এদিকে ফেনী ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া জামে মসজিদে ৭টা, সার্কিট হাউস জামে মসজিদ, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ, শান্তি কোম্পানি জামে মসজিদ, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ, ফেনী রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদ, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ, হাজারীপাড়া জামে মসজিদ, বিরিঞ্চি কেন্দ্রীয় ছুফিয়া ঈদগাহ, মমিন জাহান জামে মসজিদ, মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদ, জেলা কারাগার জামে মসজিদে সাড়ে ৭টা, তাকিয়া বাড়ি মসজিদ, লমি হাজারী বাড়ি জামে মসজিদ, দক্ষিণ চাঁড়িপুর ঈদগাহ, মধ্য চাঁড়িপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ঈদগাহে ৮টা, জিএ একাডেমি ঈদগাহ ও পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ফেনী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ বলেন, জেলার প্রধান ঈদ জামাত ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জামাতের জন্য

;

সিলেটে কখন কোথায় ঈদ জামাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও পালিত হবে। প্রতিবারের মতো এবারও সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে শাহী ঈদগাহ ময়দানে। ঈদুল আজহা জামাত এবার ৩ হাজারের অধিক ঈদগাহ-মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

শাহী ঈদগাহ ময়দান: সিলেটে সবচেয়ে বড় ঈদের প্রধান জামাত শাহী ঈদগাহ ময়দানে। এখানে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। নামাজের আগে বয়ান পেশ করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোশতাক আহমদ খান ও ইমামতি করবেন একই মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি আবু হোরায়রা নোমান। এখানে ঈদের জামাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ লাখো মুসল্লি অংশ নেবেন।

হযরত শাহ জালাল (রহ.) জামে মসজিদ(দরগাহ): দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন হযরত শাহজালাল (রহ.) জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব দেওয়ান হুযায়ফা হোসাইন চৌধুরী।

হযরত শাহপরান (রহ.) জামে মসজিদ: হযরত শাহপরান (রহ.) জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

কালেক্টরেট জামে মসজিদ: সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। নামাজের আগে বয়ান পেশ করবেন এবং নামাজে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা শাহ আলম।

সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ: আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। জামাতের পূর্বে আলোচনা পেশ করবেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম-আল মাদানী। জামাতে ইমামতি ও খুতবা পেশ করবেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী। এই জামাতে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।

কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ: সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় ও তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলায়মান এবং তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফিজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।

আম্বরখানা জামে মসজিদ: আম্বরখানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে বয়ান করবেন মাওলানা মুফতি জিয়াউর রহমান। নামাজে ইমামতি করবেন হযরত মাওলানা মুফতি ছালেহ আহমদ।

সিলেট জজ কোর্ট জামে মসজিদ: সিলেট জজ কোর্ট জামে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।

সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠ: সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।

সিলাম শাহী ঈদগাহ: দক্ষিণ সুরমার সিলাম শাহী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত ৭টায় ও ২য় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

নবাবী মসজিদ কালীঘাট: নগরীর কালীঘাট নবাবী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

;