রাসিক-জেলা পরিষদ ‘দ্বন্দ্বে’ ঝুলে গেছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের ভিত্তিফলক

দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের ভিত্তিফলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিত্তিফলক স্থাপন করা হয়েছে পাঁচ মাস আগেই। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মিলেছে ৫ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দও। তবুও শুরু করা যায়নি রাজশাহীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের সর্ববৃহৎ ম্যুরাল নির্মাণকাজ। কারণ ম্যুরালটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি বরাদ্দ দিচ্ছে না রাজশাহী জেলা পরিষদ। ফলে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আগামী ১৭ মার্চে ম্যুরালটির উদ্বোধন।

নির্মাণ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন- সিটি করপোরেশন এবং জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দু’পক্ষের মধ্যে ‘বিরোধ’ এর জেরে ঝুলে গেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণকাজ।

জমি বরাদ্দ নিয়ে এমন সংকটের মুখে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে ডিও লেটার দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা পরিষদের কাছে মতামত তলব করেছে। এরই মধ্যে নিজেদের মতামত মন্ত্রণালয়কে জানিয়েও দিয়েছে জেলা পরিষদ।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীদের অভিযোগ- ম্যুরালের ভিত্তিফলক উদ্বোধনের সময় খোদ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। অথচ এখন তিনি জমি বরাদ্দ দিতে বেঁকে বসেছেন। মূলত সেখানে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণ করতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে জমি দিচ্ছে না জেলা পরিষদ।

তবে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের দাবি- ম্যুরাল নির্মাণে সিটি করপোরেশনের দাবিকৃত ১৯ শতাংশ জমি বরাদ্দ দিয়েছে জেলা পরিষদ। কিন্তু নতুন নকশা করে তারা এখন ৪২ শতাংশ জমি চাইছে। যা দিতে গেলে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে জমি দিতে হবে। সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত পরিকল্পনার কারণে সংকটের সৃষ্টি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে দক্ষিণপাশে জেলা পরিষদের জমিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ৫০ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধুর এই ম্যুরালটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ। যা নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে পাঁচ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নির্মাণকাজ শেষে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে উদ্বোধন করা হবে বলে জানানো হয়।

ম্যুরালটির ভিত্তিফলক স্থাপনের পর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেছিলেন, ‘নির্মাণ কাজ শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭মার্চে ম্যুরালটির উদ্বোধন করব আমরা। এই কাজটি করতে পেরে নিজেকে অনেকখানি হালকা মনে হচ্ছে আমার।’

তবে জমি বরাদ্দ নিয়ে জটিলতা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগে থমকে গেছে ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ। ফলে পূরণ হচ্ছে না সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের আশাও। এজন্য অবশ্য সিটি করপোরেশনের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন অনেকে।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জায়গার নিষ্পত্তি না করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের মতো স্পর্শকাতর প্রকল্পে হাত দেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি সিটি করপোরেশনের । এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই সবকিছুই নির্বিঘ্ন করার দায়িত্ব ছিল তাদের। ফলক উন্মোচনের পর এখন জায়গা নিয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তার দায়ভার সিটি করপোরেশন কী এড়াতে পারবে? এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

তবে ম্যুরাল নির্মাণে পরামর্শক হিসেবে থাকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। ম্যুরালের শিল্পমান বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এসএম জাহিদ হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর অবয়বসহ পুরো নকশায় বেদিও রাখা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সংগ্রামী ইতিহাসও ফুটিয়ে তোলা হবে। ফলে চূড়ান্ত নকশা অনুযায়ী বৃহৎ পরিসরে জায়গার প্রয়োজন। এজন্য জমি বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।’

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, রাজশাহীতে আমরাই প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করেছি। সিটি করপোরেশন আরেকটি ম্যুরাল নির্মাণ করতে চাইলে কেউ বাধা দেবে না। কিন্তু তারা ৪২ শতাংশ জমি চাইছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত ২৪ ডিসেম্বর মিটিং করেছিলাম। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে জায়গাটুকু তারা আগে থেকেই ব্যবহার করছিল সেখানেই ম্যুরাল করলে কোন সমস্যা নেই। বাড়তি জায়গা দিতে হলে আমাদের নিজস্ব স্থাপনার ক্ষতি হবে।’

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা ম্যুরাল নির্মাণকাজের জন্য টেন্ডার ও নকশা বাছাই শেষ করেছি। তবে জেলা পরিষদ কেন এখন সংকট তৈরি করছে তা বোধগম্য নয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে অবগত রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসলেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।

   

এক এলইডি লাইটের দাম ২৮ হাজার, দুদকের জালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল), চট্টগ্রাম অফিসে রেলের যন্ত্রাংশ ক্রয়ে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক টিম বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য সিওএস এর দপ্তরে যায়। সেখান থেকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। যা অসঙ্গতিপূর্ণ বলছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। 

দুদুক জানায়, দুদক টিম ট্র‍্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলছে দুদক। মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যা প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কীসের উপর ভিত্তি করে ওইসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোন ডকুমেন্টস পায়নি দুদক।

দুদুক আরও জানায়, একই টিম পরে পাহাড়তলীতে অবস্থিত রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অবস্থিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরএ্যাণ্ডআই এর মেরামতকৃত কক্ষ পরিদর্শন করেন। ওয়াকিটকি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙঘন। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়, যেগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

;

নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগ পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ তাহসিন মাহমুদ (৪) উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামে পুকুরের গ্রামের মিজি বাড়ির হেদায়েত উল্যা মিয়াজীর ছেলে। সে তাহিরপুর নূরানী তালিমুল কুরআন হাফেজী মাদরাসা প্রথম জামায়াতের ছাত্র ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামে পুকুরের গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে দিকে শিশু ছেলেকে ঘরে রেখে পরিবারের কাজে ব্যাস্ত ছিল তার মা। ওই সময় মায়ের অগোচরে বাড়ির পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেকক্ষণ তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরবর্তীতে দুপুরের দিকে পুকুর থেকে তাহসিনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

;

তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন: মন্ত্রী বললেন ‘সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন: মন্ত্রী বললেন ‘সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ’

তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন: মন্ত্রী বললেন ‘সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ’

  • Font increase
  • Font Decrease

‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’-এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকেরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাফা নেতৃবৃন্দ আমার সঙ্গে যখন পরামর্শ করতে এলো, তখন আমি তাঁদের বললাম, ভোক্তারা তরমুজ খেতে চায়, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কিনতে পারছেন না। আপনারা উদ্যোগ নিন। এরপর তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।’

সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরো বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। আপনারা গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরো বেশি করে তুলে ধরুন। কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি ভাঙতে আমরা দেরি করব না।

মন্ত্রী বলেন, সরকার তো জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য যতটুকু পারছি কাজ করে যাচ্ছি।

বাফার সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকেরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে এবং বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তারা কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনে। যার ফলে পণ্যের দামের তফাৎ অনেক বেশি দেখি। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার। বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকেরা পায় না; মধ্যস্বত্বভোগীরা লভ্যাংশটা খেয়ে ফেলে, তাদের আটকাতে হবে। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।

রোজার শুরুতে বা আরো আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না-এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয় নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।

বাফা নেতৃবৃন্দ জানান, আজ দুপুর থেকে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসাবে বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষক সরাসরি তাঁর উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করছেন।

রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম চলছে। স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। ২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

তরমুজ কেনায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে এবং আজ প্রথমদিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।

;

স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কারণ অর্থনৈতিক মুক্তি: শিল্পমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। আর এ স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। আর এখন সময় এসেছে, এটিকে আরো ত্বরান্বিত করার।

যদিও করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলাসহ বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে পৃথিবীর অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা। তবুও বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী, সুযোগ্য, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এসব বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আমাদের অর্থনীতি আজ সঠিক পথেই আগাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মন্ত্রী রাজধানীর দিলকুশার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি'র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্প বিপ্লবে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বর্তমান সুউচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে ব্যাংকটির অবদান অনেক। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ও সিস্টেমেটিক ব্যাংক। হঠাৎ করে এতে ধস নামার কোনো সুযোগ নেই। মন্ত্রী এ সময় মহান স্বাধীনতার মাসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আ ব ম ফারুক, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ ড. মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি'র পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শহিদ সদস‌্যদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

;