এটাই যেন শেষ অর্জন না হয়: আকবর
বিশ্বকাপ জয়ের অর্জন ধরে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চান অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ টিমকে আপনারা যেভাবে সাপোর্ট করে আসছেন, এই সাপোর্ট আগামীতে ধরে রাখবেন। আমাদের জন্য অনেক দোয়া করবেন। আমাদের এই অর্জন যেন শেষ না হয়ে যায়। আমরা আরো সাফল্য চাই। যেন অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশ্বজয়ী আকবর আলী। রংপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকাল থেকে আকবরকে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় থাকা হাজারো মানুষের ভিড়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে যায় আকবর আলী। নিজ জেলার মানুষদের কাছে বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আপনারা আমার জন্য আপনাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে এসেছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি ঋণী হয়ে গেছি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এজন্য এখনকার মতো আগামীতেও আপনাদের সাপোর্ট চাই।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান,বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির নেতারাসহ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থী ও ক্রীড়ানুরাগী সাধারণ জনগণ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় জন্মস্থান রংপুরে পৌঁছে গণ সংবর্ধনায় সবার সমর্থন ও ভালবাসা তার চলার পথকে আরো এগিয়ে নেবে বলে জানান আকবর আলী।
এর আগে ১২টা ২০ মিনিটে নীলফামারী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নভোএয়ার থেকে নামেন তিনি। তার সাথে ক্রিকেটার পঞ্চগড়ের শরিফুল ইসলাম ও কুড়িগ্রামের শাহীন আলমও নামেন। তাদের সাথে স্বজনরাও ছিলেন।
পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমানবন্দরের জেনারেল গেইট দিয়ে বের হন। এসময় ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন রংপুর সিটি মেয়রসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও উচ্ছ্বসিত জনগণ। এরপরে গাড়ি বহরে করে পুরো রংপুর মহানগর প্রদক্ষিণ করে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আনা হয় আকবর আলীকে। পরে সেখান থেকে তার নিজ এলাকা পশ্চিম জুম্মাপাড়ায় যান।
সেখান সন্ধ্যায় তাকে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে গণ সংবর্ধনা দিবেন। অনুষ্ঠানে আতশবাজি, মিউজিক্যাল সাউন্ড শো, আর লাল সবুজের পতাকায় বর্ণিল হয়ে উঠবে আকবরের শৈশব-কৈশোরের স্বর্ণালি দিন কাটানো পশ্চিম জুম্মাপাড়া। এখন পাড়া-পুরো মহল্লাজুড়ে একটাই নাম প্রকম্পিত হচ্ছে ‘আকবর দ্য গ্রেট’।