বিদ্যুতের গ্রাহকরা ট্রিপ শুনতে চায় না: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আরইবি জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

আরইবি জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘গ্রাহকরা মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ চায়, ট্রিপ বা শাট ডাউনের কথা শুনতে চায় না। তাই গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে হবে।’

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষকে বিদ্যুৎ বিভাগ সেবা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা বেশি কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষ জনসম্পদ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। জুনের মধ্যে গ্রিড এলাকায় এবং ডিসেম্বরের মধ্যে অফগ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। এসব উদ্যোগের সঙ্গে আরইবি’র জেনারেল ম্যানেজারদের সম্পৃক্ত থেকে নিজেদের সর্বোচ্চ অবদান রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আরইবি’র গ্রাহকরা গড়ে ৯৮ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যা দ্রুততার সঙ্গে ১ হাজার কিলোওয়াট-ঘণ্টায় উন্নীত করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার যত দ্রুত বাড়বে সামগ্রিক উন্নয়নও তত দ্রুত হবে।’

দু’দিনব্যাপী এই জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনে মুজিববর্ষে বিদ্যুতের লক্ষ্য, শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও চ্যালেঞ্জ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, সেবা সহজীকরণ, এপিএ লক্ষ্যমাত্রা, বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়, শুদ্ধাচার, সেচ কার্যক্রম আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে।

বিতরণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান আরইবি। বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৮২ লাখ। যার মধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ। আরইবি ৮০টি সমিতির মধ্যে ১৮ টি সমিতি সচ্ছল ।

আরইবি ৮০ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ১০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করেছে। বিতরণ অঞ্চলে ৪৬২ উপজেলার মধ্যে ৪১০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। অবশিষ্ট উপজেলায় জুনের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।

   

ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এসংক্রান্ত সুপারিশসহ বিলের উপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮মে) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিল উপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।

সংসদে উপস্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলে উল্লিখিত, এর সর্বত্র উল্লিখিত ‘সচিব’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ শব্দসমূহ এবং ‘সচিবের’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার’ শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরো যুগোপযোগী ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী প্রদানের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ইহার মাধ্যমে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বরখাস্তকালীন সময়ে ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোনো আইনগত জটিলতা থাকিবে না।

এতে আরো বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণা বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে। গ্রাম আদালত পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত ও কার্যকর হবে। এছাড়া বিলে ‘ইউনিয়ন পরিষদ সচিব’ নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

;

দাগনভূঞায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. আরাফাত (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) রাত নয়টার দিকে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর (৫ নম্বর ওয়ার্ড) এর আজিজ উল্যাহ হাফেজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৮মে) বুধবার বিকালে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত আরাফাত একই এলাকার আমির উদ্দিন মোল্লা বাড়ির মো. লোকমান হোসেনের ছেলে। সে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করত। তিন ভাইয়ের মধ্যে নিহত আরাফাত সবার ছোট।

স্থানীয়রা জানান, ওইদিন রাত নয়টার দিকে আরাফাত তার ভাইসহ ওই গ্রামের আজিজ উল্যাহ হাফেজের বাড়ি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক মোটরের সুইস দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন স্বপন আরাফাতের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আরাফাত নামে এক যুবকের মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

;

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের মতো বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্তকে আত্মহননমূলক রাজনীতি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তারা দেশের সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন- কোনো নির্বাচনেই যদি অংশ নিতে না পারেন, তবে আর কেন বিএনপির রাজনীতি করবেন।

উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হলেও বিএনপি কেন ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করছে- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এগুলো তাদের লোক-দেখানো কর্মসূচি। কখন যে তারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে দূতাবাসগুলোতে চলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়, কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা নিয়ে মন্তব্য চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপজুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। আর আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে হিরো আলমকে বা কোনো মেয়র পদপ্রার্থীকে কেউ ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়, আর তাদের ওখানে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না- এ নিয়ে তারা কি বলবেন সেটিই আমার প্রশ্ন।

;

সরকারের চলতি মেয়াদে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর টার্গেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার চলতি মেয়াদে আগামী ৫ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর কুটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার ৮৭ জন কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জনে উন্নীত হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জনশক্তি রপ্তানীতে অসখ্য দালালচক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। এসব দালাল চক্র দমনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সতর্ক রয়েছে। বিদেশগামী কর্মীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে দেশের সব বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ চলছে। ভিসা দালাল ও মানবপাচার সংক্রান্ত কোনো গুরুতর অভিযোগ এ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।

এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স কমিটি (ভিটিএ) অভিযান পরিচালনা করছে। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অপরাধে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্ট, মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যক্তি ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দণ্ড প্রদান করছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, কোন দেশে কত জন বৈধ কর্মী কাজ করছেন তার কোনো ডাটা বেইজ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এটা তৈরিতে কাজ চলছে। তিনি আরো জানান, বিদেশগমন ও আগমনকালে কর্মীদের সাময়িক অবস্থানের জন্য ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য মাহবুব উর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রবাসে মৃত প্রতিটি কর্মীর পরিবারকে ৩ লাখ টাকা হারে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রবাসে মৃত ৬ হাজার ১৮৮ জন কর্মীর পরিবারকে ১৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৮ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রবাসে কোনো কর্মী মারা গেলে বিমান বন্দরেই তার স্বজনের হাতে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৪ হাজার ১৪৩ জনকে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অসুস্থ কর্মী দেশে আনা, হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার্থে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ২০১২-১৩ অর্থ-বছরে ৪২৩ জন আহত ও অসুস্থ কর্মীকে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া ও ওয়ারিশদের নিকট বিতরণ; ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে এক হাজার ৪৬১ জন প্রবাসী কর্মীর অনুকূলে ৯৪ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ৮১৬ টাকা আদায় করে তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।

;