কপালে ছিল তাই, কুয়ালালামপুর যাই!

  • এসএম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাফেল ড্রয়ের চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী হন বার্তা২৪.কম-এর কুষ্টিয়া স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এসএম জামাল

র‌্যাফেল ড্রয়ের চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী হন বার্তা২৪.কম-এর কুষ্টিয়া স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এসএম জামাল

দিনটা ১২ ফেব্রুয়ারি। প্রথম মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম-এর ‘জঙ্গলে জোলাভাতি’। আনন্দ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে ভোরে সবাই হাজির প্রিয় কর্মস্থল বার্তা২৪.কম-এর অফিস প্রাঙ্গণে (গুলশান)। কারণ একটাই, সকালের ফাঁকা ঢাকাকে ফিকে করে দিয়ে পৌঁছাতে হবে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে পার্কে পৌঁছে গেল বাস। সেখানেই সারিবদ্ধভাবে সকলকে দাঁড়িয়ে গোলাপ আর রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর পায়ে হেঁটে চলে গেলাম টাইগার রেস্টুরেন্টের দিকে। সেখানে গিয়ে দেখি এলাহি কাণ্ড। বিশাল সামিয়ানা প্যান্ডেলের নিচে থরে থরে সাজানো চেয়ার টেবিল। আর এক পাশে দেখা গেল বাবুর্চিদের রান্নার ব্যস্ততা। কিছু সময় পর নিয়ম মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে প্লেট হাতে খিচুড়ি নিলাম। টাইগার রেস্টুরেন্টে বসেই খিচুড়ির স্বাদ গ্রহণ করলাম পরম তৃপ্তির ঢেকুর তুলে।

বিজ্ঞাপন
ফ্যামিলি ডেতে বার্তা২৪.কম-এর পরিবার

এরপর চুলার ধোঁয়া ওড়ার পিঠা খেতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম আমরা সবাই। পরবর্তী নির্দেশনা ছিল সাফারি পার্কে ভ্রমণ। সেখানকার নির্ধারিত তিনটা এসি বাসে চড়ে আমাদের নিয়ে গেল পার্কের জঙ্গলে। যেখানে দেখা মিলল বানর, হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, সিংহ ও বাঘের। সহজেই খুব কাছ থেকে তাদের দেখলাম। এছাড়া পার্কে প্রজাপতি, রঙিন মাছের মেলা, মেকাউ পাখির দর্শনও দেখেছি। দেখেছি আরও উটপাখি।

সবকিছু দেখে আবার ফিরে আসলাম প্যান্ডেলে। দুপুরে সেই জোলাভাতির আয়োজনে পেটপুরে আহার সারলাম। তারপর চলল শিশুদের বল নিক্ষেপ। প্রিয় ভাবি ও আপুদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা শেষে শুরু হয় বল নিক্ষেপ। সে মুহূর্তেই আগমন আমাদের প্রিয় বার্তা২৪.কম-এর এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন স্যারের। তিনি আসাতেই সকলের মাঝে একটি ভিন্নরকম ভালোবাসা উচ্চারিত হলো। যেন তিনিই আমাদের প্রাণ। তা কেবল প্রমাণিত হলো তিনি আসার পর।

বিজ্ঞাপন
র‌্যাফেল ড্রয়ের টিকিট তোলা হয়

সব শেষে এবার লটারির র‌্যাফেল ড্র-এর পালা। কখনো আমি লটারিতে পুরস্কার পায়নি। তবুও ২০০ টাকা করে সাতটি টিকিট কিনতে হয়েছিল আমাকে। ভাগ্য আমার হবে কি হবে না তা জানি না। এরপর টিকিটের পেছনে কয়েকজন প্রিয়জনের আলাদা আলাদা নাম লিখে বাক্সে ছেড়ে দিলাম।

র‌্যাফেল ড্রয়ে চতুর্থ নম্বর বিজয়ী ঘোষণায় মাইকে আমার নাম উচ্চারিত হলো। পেয়ে গেলাম ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা এয়ার টিকিট। ভাগ্য যে আমার পিছু ছুটবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি। নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠেছিলাম। লটারিতে এপান্তর থেকে তেপান্তর যাওয়া আসার পুরো ব্যবস্থা করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন স্যারের প্রতি।