অনুশীলনমূলক বই বন্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী-অভিভাবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্র​স্তাবিত ‘শিক্ষা আইন-২০১৯’ এ শিক্ষা-সহায়ক অনুশীলনমূলক বইকে ‘নোট-গাইড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধের যে কথা এসেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। অনুশীলন বই বন্ধ হয়ে যেতে পারে- এমন সম্ভাবনায় বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ক্লাসে পাঠদানের ঘাটতি, শিক্ষক স্বল্পতা, সন্তানদের সহায়তা করায় অনেক অভিভাবকের সীমাবদ্ধতা- এসব কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে অনুশীলনমূলক বই। বইগুলোর প্রকাশকরাও বলছেন, একতরফাভাবে এসব বই বন্ধের উদ্যোগ নিলে তা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি করা ছাড়াও সার্বিক প্রকাশনা শিল্পের বিপর্যয় ডেকে আনবে।

তারা বলছেন, অনুশীলনমূলক বই সংক্রান্ত কার্যক্রমে ১০টি শিল্পের ৪ লাখ ৬২ হাজার পরিবার যুক্ত। এটি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ সব মিলিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মধ্যে ফেলবে।

শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মতে, নানা কারণেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে অনুশীলনমূলক বইগুলো। দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী এসব বই পড়ছে। বিভিন্ন কারণে অনেকক্ষেত্রেই এখন শ্রেণিতে যথাযথভাবে পাঠদান হয় না। ক্লাসের বার্ষিক কর্মঘণ্টা কম। এর পাশাপাশি সব শিক্ষককে সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারার কারণে শিক্ষাখাতে বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনেই দেখা গেছে, সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি চালুর এক দশক পরও দেশের প্রায় ৪২ শতাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকই এখনো সঠিকভাবে এই পদ্ধতিতে প্রশ্ন করতে পারেন না। তারা বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেন বা অন্য বিদ্যালয়ের সহায়তায় সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় দেশে বর্তমানে মোটাদাগে দুই ধরনের সমস্যা রয়েছে। শহরের নামকরা শিক্ষায়তনে ঠিকমতো ক্লাস হয় না। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে এক একটি শ্রেণিকক্ষে ৮০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকে। একজন শিক্ষকের পক্ষে এত বেশি শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে, যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পাঠদান করা সম্ভব নয়।

অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি আছে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েরই ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে অনুশীলন বই। এ সহায়ক বই-ই প্রথাগতভাবে নোট-গাইড হিসেবে পরিচিত।

অভিভাবকদের কেউ কেউ তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রচার মাধ্যম থেকে অনুশীলনমূলক বই বন্ধে আইন হতে পারে বিষয়টি সম্প্রতি জেনেছেন রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই ছোট চাকরি করি। তিন সন্তানের জন্য যথেষ্ট গৃহশিক্ষক রাখার সামর্থ্য আমার নেই। নিজেরাও পড়ানোর মতো তেমন সময় করতে পারি না। সেক্ষেত্রে এই বইগুলো অনেকটা গৃহশিক্ষকের কাজ করত। অনুশীলনমূলক বই না থাকলে আমাদের মতো পরিবারগুলো খুব সমস্যায় পড়বে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধানমন্ডি এলাকার একজন অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকরাই যেখানে সৃজনশীলের প্রশ্ন করতে হিমশিম খান সেখানে আমরা কীভাবে সন্তানকে পড়াব?’ অভিজ্ঞ শিক্ষকরা মনে করেন, অনুশীলনমূলক বই বন্ধ করা হলে শিক্ষার মানে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ সবার পক্ষে এক বা একাধিক গৃহশিক্ষক রাখা সম্ভব নয়। অনেক বাবা-মা নিজেদের ব্যস্ততা বা শিক্ষাগত সীমাবদ্ধতার কারণেও সন্তানদের পড়াতে সক্ষম নন। নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা অসংখ্য। আর গ্রাম পর্যায়ে এ অবস্থা আরও শোচনীয়। সুতরাং অনুশীলন বই নিষিদ্ধের বিষয়টি অগুণতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণকে বিপন্ন করে তুলবে।

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়া গত সপ্তাহে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। ‘নোট-গাইড’ বন্ধের প্রস্তাবের পাশাপাশি এ আইনে শিক্ষকদের সবধরনের কোচিং-টিউশন নিষিদ্ধ এবং শর্তসাপেক্ষে বাণিজ্যিক কোচিংকে বৈধতাদান করা হয়েছে।

এদিকে অনুশীলন বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এলে তা সার্বিক প্রকাশনা শিল্পের জন্যই মহাসংকট সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কবিতা, গল্প ও উপন্যাসসহ সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় সবাই অনুশীলনমূলক গ্রন্থ প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত। দেশের সৃজনশীল প্রকাশনার বাজার খুবই সীমিত উল্লেখ করে একজন প্রকাশক বলেন, অনুশীলনমূলক বই বন্ধ হলে অনেক সৃজনশীল গ্রন্থের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়বে।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, এসব গ্রন্থ প্রকাশ ও বিক্রির সঙ্গে অন্তত ৮টি পেশার ২৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ জড়িত। এই খাতে সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। এসব গ্রন্থের প্রকাশনা বন্ধ করা হলে সরকার একদিকে শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে, আরেকদিকে অসংখ্য কর্মহীন মানুষের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

সরকার নোট-গাইডের বিকল্প খুঁজছে বলে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নোট গাইড কেন চলে তা আমরা জানতে চাই। সেটা চিহ্নিত করার পরে আমরা পরবর্তী অ্যাকশনে যেতে পারি। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, নোট-গাইডের বিকল্প আমরা চাই।’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে রাজধানী মতিঝিলের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক মো. ফজলুল হক বলেন, অনুশীলনমূলক বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এ পরিস্থিতির পেছনে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত কারণ আছে। সেসব সমস্যার সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সুচিন্তিত, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। ‘গাইড-নোট’ মার্কা সেটে দিয়ে অনুশীলন বই বন্ধ করে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের হাত থেকে শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়ার সামিল।’

   

ভরসার খালে নোনা পানি, নিরুপায় কৃষক



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেও সরষে ফুলে ভরে ছিল মাঠ। এরই মধ্যে ঘরে উঠেছে সূর্যমুখী এবং আলু। এখন তরমুজ চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাড়ছে রোদের প্রখরতা। মাটি হারাচ্ছে জোঁ। ফলে সকাল সন্ধ্যে দুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে সেখানে। যদিও ওই জামির পাশেই খুলনার কয়রা উপজেলার তেরআউলিয়া খালে ঢেউ খেলছে নোনা পানি।

ওই খালের উপর ভরসা করেই এ এলাকার কয়েক‘শ একর জমি চাষাবাদ হয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে বর্ষার শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই খালে থাকে মিষ্টি পানি। তবে বর্তমানে ইজারাদার ওই খালে কৌশলে ঢুকিয়েছে নোনা পানি। ফলে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের পরিশ্রমে গড়া লালিত স্বপ্ন।

যদিও এসব খালে নোনাপানি ওঠানো নিষেধ। কিন্তু ইজারাগ্রহীতারা গোপনে স্লুইস গেটের কপাট খুলে নোনাপানি তোলে। ফলে ওই সব খালের পানির ভরসা করে যারা চাষাবাদ করে। তখন তাদের কপালের ভাঁজ বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছর ওই এলাকার কৃষকেরা তেরআউলিয়া খালের উপর ভরসা করে বীজ বুনে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই ইজারাদারের কৌশলের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় কৃষকদের। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা দূর থেকে পাতা পাইপলাইন থেকে উচ্চমূল্যে পানি আনে। বেড়ে যায় চাষাবাদের খরচ। লাভের খাতা ছোট হয়ে তৈরি হয় লোকসানের খাতা।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ৩৯টি খাল নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই খালগুলোতে নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে এবং মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ওই এলাকর ৭ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বছরে ৩শ’ ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কয়রা উপজেলার চুন্ডিপুর গ্রামের এই তেরআউলিয়া খালের একপাশ দিয়ে চলে গেছে চলাচলের রাস্তা। আর অন্য পাশে সুবিশাল ক্ষেত। এই খালটি উপজেলার মসজিদকুড় গ্রাম থেকে শুরু হয়ে চন্ডিপুর, দশবাড়িয়া, কিনুকাঠী, খেপনা গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘোষখালী খাল হয়ে শিবসা নদীতে মিশেছে।

ওই গ্রামের কৃষক আফসার আলী গাজী জানান, আমাগে খেতের পাশেই খাল। খালে পানি ভরা। কিন্তু সে পানিতে চাষাবাদ হয় না। খেতের জন্য পানি আনতে হয় ৩ রশি দূরে সেচ পাম্প থেকে। অনেক খরচ। কিন্তু করবো। খালের পানি এতো নোনা যে, ওই পানি একটু গাছের গায়ে লাগলে কচি গাছ মরে যায়।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইসহাক আলী সরদার জানান, আমি আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন চাষের পর সবজি আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জমির পাশে তেরআউলিয়া নামের এ খালে মিঠাপানি ছিল। বর্তমানে নোনাপানি উঠিয়ে মাছ চাষ করছেন খালের ইজারাদার। ফলে খালের আশপাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষাবাদে পানির স্কংট দেখা দিয়েছে। শুধু এ খাল নয়, আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এমন শতাধিক বন্ধ খাল মাছচাষিদের কাছে প্রতি ৩ বছর পরপর ইজারা প্রশাসন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ এলাকার প্রায় সব বিলের মধ্যে ছোট-বড় খাল রয়েছে। এসব খাল বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানিতে টৈটম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি সেচ কাজে লাগাতে পারলে চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু সেই সময় ইজারাদাররা গোপনে নোনাপানি তোলে।

চুন্ডিপুর গ্রামের ওই তেরআউলিয়া খালের ইজারাদার মো. মইনুদ্দিন মিস্ত্রি জানান, এই খালটি স্লইজ গেটের কাছে। অন্যদিকে ওই স্লুইজ গেটের পাটা বা গেটটি নষ্ট। সেজন্য কিছু নোনা পানি উঠেছে। কদিন আগে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে আর নোনা পানি উঠবে না।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ সমস্যায় জন্য অনেক কৃষক আমাদের কাছে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেই।

কয়রা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে খাল, জলাশয়, খাস জমি ইজারা দেয়া হয়। তবে সেখানে নোনাপানি তোলা যাবে না। যদি কেউ গোপনে নোনাপানি তুলে কৃষকের ক্ষতি করে, তাহলে ওই ইজারা বাতিল করা হবে।

;

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

;

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;