প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে মদন বাবুর কুপির আলো



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
কুপি তৈরি করে জীবনের ষাট বছর পার করেছেন মদন বাবু/: বার্তা২৪.কম

কুপি তৈরি করে জীবনের ষাট বছর পার করেছেন মদন বাবু/: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মদনলাল আর বাবুলাল। সম্পর্কে তারা দুজন ভাই। পেশায় বাতির কারিগর। টিন দিয়ে কুপি তৈরি করেন তারা। আর এই কুপি বেচে সংসার চলে তাদের। কিন্তু দিনকে দিন আধুনিক প্রযুক্তির আড়ালে চাপা পড়েছে মদন বাবুর কুপির আলো। তাই দিনকে দিন দুই ভাইয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

হাড়ভাঙা শ্রম মদন বাবুর নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা বিরামহীন টিন হাতুড়ের খুট খাট আওয়াজ। এভাবে টিনের ল্যাম্প কুপি, কৌটা, মগ আর ক্যালেন্ডারের বিট তৈরি করে তারা। বিনিময়ে চাল-ডালের যে দু’টো পয়সা জুটে, তাই নিয়ে খুশি।

 একটা ঝুপড়ি ঘরে চলে কুপি তৈরির কাজ

কুপি তৈরি করে জীবনের ষাট বছর পার করেছেন তারা। পাকিস্তান আমলে শুরু তাদের কুপি তৈরির কাজ। অন্যের ঘরে বাতির আলো পৌঁছাতে গিয়ে কত কিছুই না দেখেছেন তারা। কিন্তু তাদের দিকে কেউই তাকায় নি। দেশ স্বাধীনের পর থেকে কুপির আলো পড়তির দিকে। এখন আধুনিক প্রযুক্তিতে মদন বাবুর সংসারে বাতির নিচে অন্ধকার।

রংপুর মহানগরীর কালিবাড়িতে একটা ঝুপড়ি ঘরে তাদের কুপি তৈরির কারখানা ছিলো। এখন প্রেসক্লাবের বিপরীতে পুরাতন ধর্মসভার কোলঘেঁষে একটা ছাপড়ায় সারাদিন খুটখাট করে কুপি তৈরি করেন দুই ভাই।

বয়সে দুই বছরের ছোট বড় এই দুই ভাইয়ের ঘাড়ে এখন একই চিন্তা। তাদের অভাব অনটনের ঘরে রয়েছে বিয়ের উপযুক্ত কন্যা। সাথে স্ত্রী-সন্তানদের একটু সুখের জন্য আহাজারি। এমন পরিস্থিতিতে জীবন প্রদীপ নিভু নিভু করলেও থেমে নেই মদন বাবুর ভালো থাকার যুদ্ধ।

জীবনের ষাট বছর বয়সেও হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন মদন বাবু

বার্তা২৪.কম-এর সাথে আলাপকালে মুচকি হেসে মদনলাল পাল শোনালেন জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা ত্যাগ'র একটি গানের সুর। 'তেল গেল ফুরাইয়া, বাতি যায় নিভিয়া, কি হবে আর কান্দিয়া'- এই সুর ধরে রোগা শরীরে কাশতে কাশতে তিনি বলেন, এখন তেল থাকলেও কুপি অচল। ঘরে ঘরে বাল্ব জ্বলে। মানুষ এখন আর ল্যাম্প (কুপি) কেনে না।

মদনলালের ভাষায়, 'এক সময় দিনে খুচরা-পাইকারি মিলে একশ’রও বেশি কুপি বিক্রি হতো। এখন মাসেও ১০টাও বিক্রি হয় না। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির আলোয় সবাই আলোকিত। অথচ সারাজীবন মাইনস্যের (মানুষের) টিনের বালতি, বাসন-কোসন জোড়াতালি দিবার যায়া নিজের জীবনটাই আর জোড়াতালি দেয়া হলো না।’

কোনোদিন আড়াইশ আবার কোনোদিন একশ টাকাও রোজগার হয় না

বড় ভাইয়ের কথার ফাঁকে কথা জুড়ে দেয় ছোট ভাই বাবুলাল পাল। বললেন, 'বড় ভাই মদনলালের নাকি আগের মতো কষ্ট নেই। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তিন ছেলের একজন শিক্ষক, বাকি দু’জন ব্যবসায়ী। কিন্তু যত বিপদ তার ওপর। থাকার মতো একশতক ভিটে মাটি রয়েছে। কোনোরকম আয় রোজগারে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ঘরে আরো দুই মেয়ে আছে। একমাত্র ছোট ছেলেটা এখন ক্লাস ফাইভে পড়ছে।' এসব কথা বলতে বলতে থমকে গেলেন বাবুলাল। যেন দুঃখের ভাঁড়ে তার দম খাটো হয়ে আসছে।

কিছুক্ষণ পর বাবুলাল পাল বললেন, দিন গেলেই বাড়ির খরচ কম করে হলেও তিনশ টাকা লাগে। কোনদিন আড়াইশ হয়, আবার একশ টাকাও রোজগার হয় না। অথচ বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি।

এসময় তারা দুই ভাই জানান, সময়ের সাথে সাথে অনেকেই পেশা বদল করেছেন। সবখানে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু অন্য কোনো কাজকর্ম জানা না থাকায় বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কোনোমতে সংসার চলছে।

   

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;

ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ছেলের হাতে মজিবুর রহমান পান্না (৫৫) নামে এক শিক্ষক খুন হয়েছে। এ ঘটনা ছেলে মারুফ আহমেদ রাব্বীকে (১৮) আটক করছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত সরকারের ছেলে এবং সে একই এলাকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

ভালুকা মডেল থানা ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, নিহত মজিবুর রহমান পান্না পরিবারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি কারণে কিছুদিন পূর্বে তালাক দেন। এর পর থেকেই পরিবারে কলহ বাঁধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া মারুফ আহমেদ রাব্বির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবুর রহমান পান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে রাব্বীকে আটক করেন।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর ছেলে রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ।

;