সিলেটে ফেরারি হয়েছে বিএনপি নেতারা



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এখনো ৬ দিন বাকি। এরই মধ্যে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় ফেরারি হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শতাধিক নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে পুলিশ আটক করেছে মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে। পুলিশ জানিয়েছে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে তার হাওয়াপাড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে। এসএমপির উপপুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনে (২০ জুলাই) অবস্থান নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গুলজারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ এস আই ফয়েজ আহমদ শামীম বাদী হয়ে ২২ জুলাই রাতে বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামি হয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির আহমদ, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসির হোসাইন, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরুসহ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারা।

এর আগে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুম্মান রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ওই পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সর্বশেষ মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন, একান্ত সহযোগী জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) নগরীতে একাই প্রচারণায় নামেন আরিফ। তার সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের পদবিধারী নেতাদের দেখা যায়নি। নগরীর বারুতখানা এলাকায় প্রচারণার সময় আরিফুল হক চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, গত কয়েক রাত ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরানের ১৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থকদের বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে পুলিশ।

এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরানের কার্যালয়ে আগুন দেয়ার অভিযোগে ফরিদ আহমদ নামে এক কর্মী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আলী আহমদ অভিযোগ করে জানান, পুলিশ নেতাকর্মীদের বাসা বাড়িতে ঘুমাতে দিচ্ছে না। তারা দিনের বেলা কাজ করলেও রাতে অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে হয়রানি করছে না তারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ।

   

নোয়াখালীতে পাওয়ার ট্রিলারের চাপায় শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পাওয়ার টিলারে চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।  

নিহত মো.রিফাত (৬) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের রেজোয়ানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার বাঁধের হাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁধের হাট এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলো পাওয়ার টিলার । এ সময় রাস্তায় শিশুটি চলন্ত পাওয়ার টিলারে উঠতে চেষ্টা করে। ওই সময় পাওয়ার টিলারের নিচে শিশুটি চাপা পড়ে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।  

ওসি কাউছার আলম ভূঁইয়া আরও বলেন,নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাওয়ার ট্রিলারটি জব্দ করে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;

লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ থেকে টানা ৫ দিন বন্ধের কবলে পড়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। 

এদিকে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দুই পার বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক।

বন্দর সূত্রে জানায়, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। নিরাপত্তার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার সাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা  টা থেকে ২০ মে ভোটগণণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মেডিকেল ভিসা ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবে। এ সময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে ১৮ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এব্ং ২২ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি।

এত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক। অন্যদিকে ঢুকতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ট্যুরিস্ট, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার পাসপোর্টধারীরা। তবে মেডিকেল ভিসার পাসপোর্টধারী ও ভারতীয় ভোটার- এমন নাগরিকদের যাতায়াতে কোন বাধা নেই।

পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালক জমির উদ্দীন জানান, ৫ দিন বন্ধের কারণে বন্দরে আটকা পড়েছি। এতে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর আমদানি,রফতানি সমিতির সাধারণ সমবপাদক জিয়াউর রহমান জানান, ভারতে নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে ৫দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে তাদের অনেক পণ্যবাহী ট্রাক ওপারে আটকা পড়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রী টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞায় ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতাযাত বন্ধ আছে। তবে মেডিকেল ভিসা চালু আছে। আগামী ২১ মে থেকে সব ধরনের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক এবং ২৩ মে থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হবে।

;

আমে বাজার সয়লাব, কতটুকু নিরাপদ?



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মধুর মাস। জৈষ্ঠ মাসের আজ চারদিন। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ফল। দেশীয় ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলেরও সমাহার। তবে ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমেই রয়েছে দেশীয় ফলের কদর। আর এই কদর থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব ফলে ফরমালিন মিশিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিন রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফলের দোকানেই বিদেশি ফলের পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছে দেশীয় ফল। দেশীয় আমের মধ্যে বাজার দখল করে নিয়েছে সাতক্ষীরা গোবিন্দভোগ। এ আমের পাশাপশি রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। দেশীয় আমের সাথেই রয়েছে ভারত থেকে সংগ্রহ করা আম। যে আমগুলো রাজবাড়ীর বাজারে এসেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগে।

এতো আগে বাজারে ভারতীয় আম আসায় ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে- বাজারে সয়লাব আমগুলো কতটুকু নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাদের ভাষ্য- যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসা ফল না কেনায় শ্রেয়। এতে অপরিপক্ব কিংবা ফরমালিন মিশ্রিত থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই বেশি।

কথা হয় বালিয়াকান্দির মেছুয়া ঘাটার বাসিন্দা নজরুল মোল্লার সাথে। তিনি জানান, পরিবারের জন্য ফল কিনতে দোকানে এসেছিলেন। দোকানে  আম দেখে বেশ লোভ হয় তার। দোকানদারের কথার ওপর ভরসা করে তিনি চড়া দামে কিনে নেন সাতক্ষীরার আম। বাড়ীতে নিয়ে কেটে দেখেন আমের ভিতরের বীজটা অপরিপক্ব। আমের স্বাদ পানসে। কোন মিষ্টি নেই।  তখন তার মনে খটকা লাগে- আমের মধ্যে বীজটা অপরিপক্ব হলে আমের বাইরের দৃশ্য এতো চাকচিক্য কেন?

নজরুল মোল্লার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা বলি এক ফলের দোকানদারের সাথে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা আম সংগ্রহ করেন যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে। পাইকারির আড়ৎ থেকে তারা যেভাবে সংগ্রহ করেন সেভাবেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। যদি কিছু মিশিয়ে আমগুলো রঙিন করে তাহলে এর সকল দায়ভার আড়তদারদের।

এই সময়ে বাজারে থাকা আমগুলো কতটুকু নিরাপদ- এমন প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসলে সেটা না কেনায় ভালো। কারণ প্রথম দিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব ফল বাজারে আমদানি করে। কিছু দিন পর কিনলে সেটাতে ঝুঁকি কম থাকে। এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের ভূমিকা কি- এমন প্রশ্ন করলে এই কর্মকর্তা জানান, তারা নিয়মিত ক্রেতার সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকারের পর যোগাযোগ করা হয় কৃষি বিপণন দপ্তরের সাথে। রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আকমল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, রাজবাড়ীতে উল্লেখযোগ্য তেমন আম উৎপাদন হয় না। চাপাই এবং সাতক্ষীরার আমই রাজবাড়ীতে বেশি পাওয়া যায়। এখন বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে সেটা কতটুকু নিরাপদ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আপনি নিরাপদের প্রশ্নটা তুললেন সেহেতু বিষয়টি দেখে বলতে হবে। আমরা দ্রুতই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সাথে কথা বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বাজারে গিয়ে যাচাই করবো। এ বিষয়ে কৃষি বিপণী আইন-২০১৮ বিধিমালা-২০২১ একটি শক্তিশালী আইন রয়েছে। এই আইনের ধারা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাতকরণ করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন ৯ মে, গোবিন্দভোগ- ১১ মে, হিমসাগর- ২২ মে, ল্যাংড়া-২৯ মে এবং আম্রপালীর বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১০ জুন।

;

‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ তাপসকে উদ্দেশ করে খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসসিসি'র সাবেক মেয়র এবং ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাঈদ খোকন।

এ সময় একে অপরকে দোষারোপ না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন এ সব কথা বলেন।

‘মেয়র মো. হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে মো. সাঈদ খোকন বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু, আমাদের সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকজনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের ব্যর্থতাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা না করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, সামনে ডেঙ্গুর যে ভয়াবহতা আসছে, সেটিকে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে চাই। আমরা বরং একে অপরকে দোষারোপ না করি! দোষারোপের রাজনীতি না করে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমরা একটি সুন্দর, নিরাপদ ঢাকা চাই। আমাকে কর্তৃপক্ষ যখনই ডাকবে, আমি তখনই হাজির হয়ে যাবো।

বর্তমান ডিএসসিসি মেয়রকে উদ্দেশ করে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দুই, তিনদিন আগে বর্তমান কর্তৃপক্ষ বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে আমি কষ্ট পেয়েছি!

আমরা গত বছর (২০২৩) দেখেছি, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখের বেশি ছিল। সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭শ ৫ জন। পত্র-পত্রিকাতেও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল। বর্তমান ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সেটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের কোনো মিল নেই।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে ছিলাম। ২০১৯ সালে থেকে ডেঙ্গু বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও আমি ডেঙ্গু আক্রান্তের এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারিনি। কিন্তু আমি চেষ্টা না করে বিদেশে চলে যাইনি। আমি জনগণের সঙ্গে ছিলাম।

;