৩ বছরে নাফ ট্যুরিজম পার্ক গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি পার্কের মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করেন বেজা চেয়ারম্যান

প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি পার্কের মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করেন বেজা চেয়ারম্যান

  • Font increase
  • Font Decrease

নাফ ট্যুরিজম পার্ক, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও মহেষখালী ইকো ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। সাগরতীরে সুউচ্চ ভবন না করে ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখে ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনটি পার্কের মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করেন বেজা চেয়ারম্যান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটি কেবলমাত্র বিদেশিদের জন্যই নির্মাণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নভাবে গড়ে তুলতে হবে। এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যাতে অন্যান্য দেশের পর্যটকেরা এর প্রতি আকর্ষিত হয় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসে।

নাফ ট্যুরিজম পার্কের নির্মাণ কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি ট্যুরিজম পার্কে নানারকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়েও তাগাদা দিয়েছেন তিনি।

সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্ল্যান তৈরির পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন যে, আগামী ২৪ মাসের মধ্যেই এখানে পর্যটকরা পরিভ্রমণ করতে পারবেন এবং পার্কটিকে সম্পূর্ণ রূপ দিতে নয় বছর সময় লাগবে।

বেজা কক্সবাজার জেলায় ৩টি ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এতে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এ খাত থেকে বছরে প্রায় অতিরিক্ত ২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া বাংলাদেশে ট্যুরিজমের বর্তমান অবস্থান তিন ডিজিট (১২০তম) থেকে দুই ডিজিটে আসবে বলে মনে করছে বেজা।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনটি পার্কের মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করা হয়

নাফ ট্যুরিজম পার্ক বাংলাদেশে প্রথম দ্বীপ ভিত্তিক পর্যটন অঞ্চল, যা দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ মহাপরিকল্পনা শুধু দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশেই ভূমিকা রাখবে না, সাথে সাথে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে অধিকতর অবদান রাখবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে দ্বীপভিত্তিক পর্যটন শিল্পের পরিকল্পিত উন্নয়ন ও বিকাশ মূল লক্ষ্য।

নাফ ট্যুরিজম পার্কের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে বিদ্যমান জলাশয় সংরক্ষণ, ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণ, টেকসই উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, বৃষ্টির পানির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পর্যটক ও পরিবেশ বান্ধব সু্বিধাদি নিশ্চিতকরণ, বিদ্যমান জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার বিষয়াদি নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ামক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

এছাড়াও সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্থানীয় পর্যায়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পরিবেশগত ভারসাম্য পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনা করে নাফ ট্যুরিজম পার্ক এর বিশদ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে যা দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের পাশাপাশি বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি, স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবন-মানের উন্নয়নসহ আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে আশা করছে বেজা।

নদীবেষ্টিত নাফ ট্যুরিজম পার্কের আয়তন ২শ’ ৯১ একর (দ্বীপ- ২৭১ একর ও মূল ভূখন্ড- ২০ একর) যা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নে অবস্থিত। এর উত্তর-দক্ষিণ সীমানায় নাফ নদী, পূর্ব সীমানায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং পশ্চিমে নাফ নদীর অপর প্রান্তে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন অবস্থিত। নাফ ট্যুরিজম পার্কের মূল বৈশিষ্ট্য এর ভৌগলিক অবস্থান, চারপাশে নদীবেষ্টিত দ্বীপ যা নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। নাফ ট্যুরিজম পার্ক এলাকার বিদ্যমান ভূমি ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে ৪৩ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন এলাকা, ৪২ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান, ৯ শতাংশ ম্যানগ্রোভ বন এবং ৩ শতাংশ জলাশয়।

সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, বাংলাদেশে প্রথম পর্যটন নির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখবে না, সাথে সাথে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে জীব-বৈচিত্র্য, দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে পর্যটকবান্ধব মহাপরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ এবং কক্সবাজার ও এই অঞ্চলের পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে একটি সামগ্রিক যোগসূত্র স্থাপন করা।

এ মহাপরিকল্পনায় সমুদ্রসৈকত সংরক্ষণ, বিদ্যমান জলাশয় সংরক্ষণ, ঝাউবন সংরক্ষণ, টেকসই উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, বৃষ্টির পানি ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, দেশীয় ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ, পর্যটক ও পরিবেশবান্ধব সুবিধাদি নিশ্চিতকরণ, পথচারী ও বাইসাইকেলবান্ধব সুবিধাদি নিশ্চিতকরণ, বিদ্যমান জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার বিষয়াদি বিবেচনা করা হয়েছে।

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত যার আয়তন ১ হাজার ৪৭ একর। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পূর্বে শাহপরীর দ্বীপ অবস্থিত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কোলাহলের বাইরে ও বৈশিষ্ট্যগতভাবে নীল পানির কারণে স্থানটি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

সোনাদিয়াতে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজম পার্কটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সংস্কৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলাস্থ কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত, যা কক্সবাজার শহর থেকে সড়কপথে ২৪ কিলোমিটার এবং জলপথে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

সোনাদিয়ার নিরীক্ষা অঞ্চলের জমির পরিমাণ প্রায় ৮৯৬৭ একর যাতে নিবিড় ম্যানগ্রোভ বন ও প্রচুর জলাধার রয়েছে । এছাড়াও এখানে দৃশ্যমান রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, লাল কাঁকড়া, কচ্ছপ। সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কের মাস্টারপ্ল্যান প্রনয়ণে এই বিদ্যমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরিবর্তিত রেখে পর্যটক আকর্ষণের বিভিন্ন উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।

অবসর, বিনোদন, শিক্ষা, গবেষণা, সবুজ শিল্প বিকাশের সকল উপাদান এখানে নিয়ামক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। জীব-বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় গৌরব সংরক্ষণ ও সুরক্ষার মধ্য দিয়ে এ পার্কটিকে বিশ্বমানের পর্যটন ও জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনৈতিক গন্তব্যে পরিণত করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সোনাদিয়ায় দেশের প্রথম ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বেজা ‘মাহিন্দ্র কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স’ এবং ‘ডেভকন কনসালটেন্টস লিমিটেড’কে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিযুক্ত করেছে। কক্সবাজারের আওতাধীন সাবরং এবং নাফ ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট এবং কোরিয়ার দোহওয়া (ডিওএইচডব্লিউএ) কনসালটেন্ট লিমিটেডকে পরামর্শক সংস্থা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোনাদিয়ায় ৮ হাজার ৯৬৭ একর জমির উপর সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে। যার ৯০৯ একর জমিকে কাজে লাগানো হবে এবং বাকি অংশ অটুট থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি পার্কের মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, পিএমও সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী একমাসের মধ্যে এই মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

   

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ছিনতাইকারীর কবলে নারী, বাঁচাতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় যুবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার ৮নং সেক্টরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইফতেখার নামে ২৮ বছরের যুবক আহত হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত ইফতেখার উত্তরা ৬নং সেক্টর শিরিন ভিলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বন্ধু আরমান জানান, গত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল আরমান। এ সময় উত্তরা ৮নং সেক্টর বীমা কলোনির সামনে কয়েক জন ছিনতাইকারী এক নারীকে ঘিরে ধরে । ইফতার ছিনতাইকারীদের কবরে পড়া ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতেখারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইফতেখারকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ইফতেখারের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতরাতে উত্তরা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আইডিয়ালের শিক্ষার্থী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মুগদায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মাহিন আহমেদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মাহিন মতিঝিল আইডিয়ালের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।

মাহিন মুগদার বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হন। পরে মদিনাবাগ এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি ধাক্কা দেয় মাহিনকে। প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলেকে হারিয়ে বাবা মাসুম মিয়া স্তব্ধ। বাবা-মায়ের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে মুগদার বাতাস। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

মাহিনের মা জোছনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যায় বলল, সে চাচার বাসায় যাবে। আমি মানা করে বললাম, কাল সকালে যেও। মাহিন বলল, খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় চাচার বাসায় চলে যাবে। আর মাহিন ফিরল না।’

মাহিনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বড়ভাই মাহফুজও। স্বজনদের দাবি, ময়লার গাড়িটি খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন দুর্ঘটনায় মাহিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

বৃষ্টি চেয়ে কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায়



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও বৃষ্টির জন্য কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ মিনিটে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বিশেষ এ নামাজে ইমামতি করেন কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী।

স্থানীয় পীর ও মাসায়েখদের আয়োজনে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম, মোয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী, আইনজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তি সহ শত শত মুসল্লীরা এ নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে খুতবা পাঠসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।

কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী বলেন, ইসতিসকার নামাজ বা (বৃষ্টির নামাজ) হল একটি সুন্নাহ নামাজ (ইসলামি প্রার্থনা) আল্লাহর কাছে বৃষ্টির পানির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য।তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হলে নবিজির (সা.) অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া, অসহ্য গরম, মাঠে ফসল ফলানো কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষদের কথা চিন্তা করে আজকে আমাদের এ বিশেষ নামাজ। ইনশাআল্লাহ এ নামাজকে কেন্দ্র করে আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে রাখবেন। আমিন।

;