সাত মাসেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি সিলেটে যুবলীগের কমিটি
দীর্ঘদিন পর গত বছরের জুলাইয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন প্রত্যক্ষ ভোটে শুধু জেলা ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৭ মাস। তবুও আলোর মুখ দেখেনি জেলা ও মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটি। জেলা-মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে চলছে যুবলীগের কার্যক্রম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়াতে সংগঠনের পরিচয় সংকটে ভুগছেন। অবশ্য দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, শীঘ্রই জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে।
জানা গেছে, গত বছরের ২৭ জুলাই সিলেট মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মুশফিক জায়গীরদার নির্বাচিত হন। এরপর ২৯ জুলাই কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন ভিপি শামীম আহমদ। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য শামীম আহমদ।
যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৪ সালের জুলাইয়ে আলম খান মুক্তিকে আহ্বায়ক করে সিলেট মহানগর যুবলীগের ৬১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ছিলো ৩ মাস। তবে সেই কমিটি প্রায় ৬ বছর দায়িত্ব পালন করে। একইভাবে সিলেট জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছিল ২০০৩ সালে। ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত কার্যক্রম চালায় যুবলীগের সেই কমিটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের এক নেতা বলেন, অতীতে ৩ মাসের কমিটি ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছে। ৩ বছরের কমিটি ১৬ বছরও দায়িত্ব পালন করেছে। নানান অজুহাতে অতীতে বিভিন্ন সময় যুবলীগের কমিটি সঠিক সময়ে হয়নি। এতে বঞ্চিত হয়েছে যুবলীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা। বেরিয়ে আসেনি নতুন নেতৃত্বেও। তিনি বলেন, এবারও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে সময় ক্ষেপন করছেন বর্তমান দায়িত্বশীলরা।
এদিকে যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, শীঘ্রই সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে খসড়া কমিটি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পেলেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়া হবে। যোগ্য ও ত্যাগী ছাত্রলীগের নেতাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা হবে।
সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি বলেন, সিলেট মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আমরা প্রস্তুত করেছি। কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলেই আমরা কমিটি জমা দিবো। কমিটিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১০১ জন বা ১১১ জনকে রাখা হবে।
সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শামীম আহমদ বলেন, আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে প্রস্তুত। তবে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলে কমিটি জমা দিতে। তিনি বলেন, ১১১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। কমিটিতে ত্যাগী ও সাহসী যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতাদেরও রাখা হবে।