চট্টগ্রামে মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে আগ্রহ ডেনমার্কের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাছির উদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন, ছবি: সংগৃহীত

নাছির উদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে সহযোগিতা করবে ডেনমার্ক সরকার। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জেকব কাহল জেপসেন, ফায়ার এক্সপ্রেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হেনরিক নাবাই,
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমদ, সচিব আবু শাহেদ
চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে হেনরিক অগ্নি নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

সরু রাস্তায় ও বহুতল ভবনে আগুন লাগলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে তা দ্রুত নেভানোর সক্ষমতা এ তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়।


চট্টগ্রাম নগরীতে এ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ডেনমার্ক সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সিটি মেয়রকে জানান। এ ব্যাপারে তিনি সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনসহ বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সিটি মেয়র নাছির উদ্দীনকে জানান।

এ সময় সিটি মেয়র ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ডেনমার্ক সরকার এদেশের উন্নয়নে সরাসরি অংশ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশে পরিবহন, পানি পরিবহন, কৃষি, মৎস্য, গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়েছে। এজন্য ডেনমার্কের বাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর ও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। সাগর, নদী ও পাহাড় পর্বত বেষ্টিত এ শহর। জীবন-জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ছুটে আসে এ শহরে। এজন্য নিম্ন আয়ের মানুষ বস্তি ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে থাকে। বর্তমানে এ শহরের লোক সংখ্যা ৭০ লাখ। ঘন বসতির কারণে শুষ্ক মৌসুমে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সরু রাস্তায় ও বহুতল ভবনে আগুন লাগলে যাতে দ্রুত নেভানো যায়, সেজন্য ভ্রাম্যমাণ মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।

মেয়র এ বিষয়ে ডেনমার্কের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে সিটি মেয়র তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন।

 

   

চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা: অবরুদ্ধ এতিম ৩ ভাই-বোনের পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে ইট ও ত্রিপলের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে একটি বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তিন এতিম ভাইবোনের একটি পরিবার।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের পদ্ম পুকুরপাড় বাড়িতে গিয়ে রাস্তায় ইট ও ত্রিপল দিয়ে প্রতিবন্ধকতার ঘটনার সত্যতা দেখা যায়।

বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, প্রায় ৩৫ বছর ধরে বাড়ির সকলে প্রায় সাড়ে ৪ ফুটের একটি পথ ব্যবহার করে আসছে। প্রায় এক বছর আগে প্রবাস ফেরত হারুনুর রশিদ ও তার ভাই আমির হোসেন বাচ্চু ওই পথটি বন্ধ করে দেয়। পথ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে দুই ভাই অন্যদেরকে মামলা-হামলার হুমকি দেয়।

জানা গেছে, পদ্ম পুকুরপাড় বাড়ির মৃত মোখলেছুর রহমানের ৬ ছেলে। পর্যায়ক্রমে সকলেই পৃথক বসতঘর নির্মাণ করেন। তারাসহ ওই বাড়ির অন্যান্য পরিবারগুলোর জন্য পূর্বপুরুষের সময়কাল থেকে একটি পথ ছিল। এটি যৌথ পথ হিসেবে সবাই ব্যবহার করতো। মোখলেছুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে নাছির উদ্দিন মারা যান। নাছিরের সংসারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি তার ছেলে রবিন বিদেশ যায়। রবিন ও তার বোন ফারজানা আক্তারের স্বামী যৌথভাবে বাড়িতে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করেন। ওই ভবনটি নির্মাণ নিয়ে রবিনের চাচা হারুন ও বাচ্চু বাধা দেয়। এরপরও রবিনদের বসতঘরের ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এরমধ্যেই জমি পাওনা দাবি করে হারুন ও বাচ্চু প্রতিহিংসা বসত তাদের সদর দরজার সামনের পথে ইট ও ত্রিপল দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এনিয়ে রবিন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত সদর উপজেলা সহকারী কমিশানারকে (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সহকারী কমিশনার ঘটনাটি তদন্তের জন্য দত্তপাড়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।


মৃত নাছির উদ্দিনের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন, শহীদ উদ্দিন ও ছোট ভাই সালাহউদ্দিন মানিক জানায়, নাছিরের মৃত্যুতে তার ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে। এতে ভাতিজা-ভাতিজিদের দেখভাল করা তাদের দায়িত্ব। সাড়ে ৪ ফুটে পথটি প্রায় ৩০ বছর ধরে বাড়ির সবাই ব্যবহার করে আসছে। এরমধ্যে তাদের দুই ভাই বাচ্চু ও হারুন পথটি বন্ধ করে দিয়ে অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। বাড়ি থেকে সবার বের হওয়ার পথ রয়েছে। এখন শুধু রবিনরাই পথ পাচ্ছে না। তারা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। পথটি নিয়ে আদালতে মিস মামলা দায়ের করলে সেটি স্থানীয় ইউপি ভূমি অফিস তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের রেকর্ডিং পথ নয় বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বাড়ির ভেতরে যৌথ চলাচলের পথ সাধারণত রেকর্ড হয় না।

ভুক্তভোগী রবিনের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। বাসা থেকে বের হওয়ার কোনো পথ নেই। পেছনের দরজা ব্যবহার করে অন্যের জমি দিয়ে কোনোভাবে চলাচল করতে হচ্ছে। পথটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। হারুন ও বাচ্চু চাচা জোরপূর্বক পথটি বন্ধ করে দিয়েছে। পথটি উন্মুক্ত করে আমাদের চলাচল স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চাই।

অভিযুক্ত হারুনুর রশিদ বলেন, আমি পথ বন্ধ করিনি। জমিটি আমার। নাছিরের ছেলে রবিন পথের ওপরই ভবন নির্মাণ করেছে। পারিবারিকভাবে জমি বণ্টন করতে বললে রবিনসহ আমার অন্য ৩ ভাই রাজি হচ্ছে না। এজন্য রবিনদের ভবন নির্মাণে আমি বাধা দিই। তারা বাধা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ করেছে।

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারা আক্তার (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ‘উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আমার কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে- চলাচলের পথটি রেকর্ডভুক্ত কি না। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি। সেখানে তালিকাভুক্ত পথ নেই। তবে বাড়ির মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পথটি ব্যবহার করেছে। এটি সমঝোতার বিষয়। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমঝোতা করে পথটি উন্মুক্ত করা সম্ভব’।

;

রাঙামাটিতে ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত. আহত ৮



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কে ড্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিস্তারিত আসছে...

;

ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অপহরণ, কলেজছাত্রীসহ গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীতে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একটি কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজারকে অপহরণের পর মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাতের মামলায় কলেজছাত্রীসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা ও প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুর জেলা কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রশীদ জানান, দুই মাস আগে রংপুর সদর উপজেলার ইশ্বরপুর শালমাপা এলাকার আক্তারুল ইসলামের মেয়ে রোকেয়া কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মারিয়া চৌধুরী সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের রংপুর বিভাগীয় এরিয়া ম্যানেজার শামস আল আরেফিন হাদীর।

এরপর ম্যাসেঞ্জারে দুইজনের সখ্যতা গড়ে উঠে। মাসখানেক আগে পায়রা চত্বরে তার সাথে প্রথম দেখা হয় হাদির। এ সময় থেকে হাদিকে বড় ভাই হিসেবে সম্বোধন করে মারিয়া।

ওসি আরও জানান, সখ্যতার সূত্রে মারিয়া মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় হাদীকে রংপুর মহানগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা আইডিয়াল নার্সিং ইন্সটিটিউটের সামনে দেখা করার কথা বলে। ওই সময়ে হাদি তার সাথে দেখা করার জন্য অফিসিয়ার টয়োটা করোলা গাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মারিয়া তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ রানা, শিহাব শাহরিয়ার, তুষার ইসলামকে নিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে মারিয়া তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে দাবি করে তা বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করার হুমকি দেয়।

এসময় গাড়ি উঠেই হাদিকে ড্রাইভিং সিট থেকে অন্য সিটে দিয়ে তুষার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বদরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় হাদির কাছ থেকে মারিয়া ও তার সহযোগীরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে মারিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় তারা হাদির সাথে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, এনআইডি, পরিচয়পত্র ও ব্যক্তিগত ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইলের মাধ্যমে সিন্ডিকেটের অন্য জায়গায় প্রেরণ করে। হাদির ফোনের পাসওয়ার্ড জোরপূর্বক নিয়ে তার ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে।

শুধু তাই নয়, হাদির ব্যবহৃত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নম্বর অ্যাপস থেকে ৫০ হাজার টাকা হাদির বিকাশ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে। পথিমধ্যে টাকা বের করার জন্য সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহিড়ীর হাট এলাকায় গাড়ির গতি কমালে হাদি সেখান থেকে কৌশলে নেমে টহল পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মারিয়া ও তার চার সহযোগী তরুণকে গ্রেফতার করে।

এঘটনায় হাদি মামলা করলে বুধবার দুপুরে মারিয়াসহ পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

;

থানচিতে ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সীমান্ত সড়কের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে থানচি সীমান্ত সড়কের ৮ কিলো নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে চারটি ট্রাক থানচি সীমান্ত সড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় নির্মাণ কাজের জন্য ইট রেখে দুর্গম পথ অতিক্রম করে থানচি বাজারে আসছিল। পথে সীমান্ত সড়কের ৮ কিলোমিটার নামক স্থানে পৌঁছালে জঙ্গলের ভেতর থেকে সাতজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ট্রাক লক্ষ্য করে ৬-৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

গুলিতে একটি ট্রাকের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চালকেরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে থানচি বাজারে চলে আসে। এসময় সন্ত্রাসীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রাকের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেউ।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রাকে গুলি লাগার খবর পেয়েছি। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

;