করোনায় থমকে গেছে পদ্মা সেতুসহ সরকারের মেগা প্রকল্প



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ সরকারের মেগা প্রকল্প

পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ সরকারের মেগা প্রকল্প

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে বিশ্বের সকল দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। আর এ থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশও। কারণ বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্পের সরঞ্জামসমূহ সবই আসে চীন থেকে। করোনার প্রভাবে দেশের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আর তাতে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ সরকারের মেগা প্রকল্পের কার্যক্রমে। ১ লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি তৈরি পোশাক, চামড়া খাত, নিত্যপণ্য এবং ফলের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা আমদানি-রফতানি। আর তাতে কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। চলমান এই অবস্থা নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছে এফবিসিসিআই। সারাদেশের ২৫টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতামতের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রায় ২ মাস ধরে করোনাভাইরাসের কারণে আমদানি বন্ধ থাকায় চীন থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তার বিকল্প উৎস জরুরি ভিত্তিতে খুঁজে বের করার সুপারিশ জানিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, বিকল্প সূত্র থেকে এলসি খোলার মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সমন্বয় বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের বাইরের মিশনগুলোতে আউট সোর্সিং সেল খুলে স্বল্প ও দীর্ঘকালীন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে আগামী দিনে যাতে আর কখনো ভোগান্তিতে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারিভাবে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চিঠিতে বলা হয়, চীনের সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বর্তমান সরকার কর্তৃক চলমান ১ লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ফলে এসব প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দু’টোই বৃদ্ধি পাবার কারণে দেশের অর্থনীতির উপর বাড়তি চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা করছে। চীন থেকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও ইকুইপমেন্ট আসতে না থাকলে অবকাঠামো উন্নয়নের এসব প্রকল্পের কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তাই কর্ণফুলী টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প সম্পন্ন করতে দেরি হওয়ার কারণে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি পাবে।

সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেশের ব্যবসায় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান অংশীদার হলো চীন।২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের মোট বাণিজ্য প্রায় ১৪.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ ১৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৮৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের মত। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য ছিল ১১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানি বাণিজ্য ছিল ৬৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর যে আমদানি করে তার প্রায় ৩৫ শতাংশ চীনের সঙ্গে। শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক দ্রব্য, ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট, ইলেকট্রনিক্সসহ সকল ধরনের তৈরি পণ্যই চীন থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। দেশের প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাতের ফেব্রিক্স ও সিনথেটিক ইয়ার্নের প্রধানতম উৎস্য হচ্ছে চীন। পোশাক খাতে বিশেষ করে ওভেন খাতের কাঁচামাল যোগানের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ এবং নীট খাতে ১৫-২০ শতাংশের উৎস হচ্ছে চীন। এছাড়া অন্যান্য অনেক শিল্প খাতের প্রধান কাঁচামালের উৎস হচ্ছে চীন।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্রবন্দর, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালসড়ক), চট্টগ্রামের দোহাজারী-রামু-গুমদুম পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের জন্য কর্ডলাইন, পদ্মা সেতু থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল সুড়ং পথ, চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল নির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন, ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির (ডিপিডিসি) আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ-ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন।

এফবিসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, সরবরাহ ব্যবস্থায় ও সেবাখাতে প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর ব্যাখ্যায় বলা হয় সরবরাহ ব্যবস্থায় কাঁচামালের সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবে। এর ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও প্রভাব দেখা দিবে। কাঁচামালের সংকটের কারণে রফতানি খাতেও বিরাট প্রভাব পড়বে। উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার অর্থই হচ্ছে সেবা খাতেও সংকট দেখা দিবে। দেশের আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিবে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থায় এবং সরকারের রাজস্ব আহরণে প্রভাব পড়বে।

   

ফেনীতে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে তরুণদের ধর্মঘট ও পদযাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের আহ্বানে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটে একাত্মতা প্রকাশ করে জলবায়ুর ন্যায্য দাবিতে ধর্মঘট ও পদযাত্রা করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস ফেনী ইউনিট।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) ফেনীর ফুলগাজী মুহুরী নদীর পাড়ে জলবায়ু কর্মীরা ধর্মঘটে অংশ নেন। এ সময় সমবেত জলবায়ু যোদ্ধারা নানা দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের দাবি প্রদর্শন করেন।

ইয়ুথনেট ফেনী জেলার সমন্বয়কারী ফাহিম মুনতাসীর তন্নীর সভাপতিত্বে ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথনেট কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মোহাইমিনুল ইসলাম জিপাত, ফেনী জেলা ইয়ুথনেট এর সহ-সমন্বয়কারী মাহামুদুল হাসান ও সাদিয়া বিন্তে নসর প্রমুখ।

ইয়ুথনেট কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মোহাইমিনুল ইসলাম জিপাত বলেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন জীবাশ্ম জ্বালানিতে আর বিনিয়োগ না করে তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, কপ সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠায় দূষণকারী দেশগুলো থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। জলবায়ু এবং জ্বালানি সংকট শুধু একটি দুর্যোগই নয়; এটা আমাদের জন্য একটি বড় সতর্ক বার্তাও।

ইয়ুথনেট ফেনী জেলার সমন্বয়কারী ফাহিম মুনতাসীর তন্নী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে আমাদের নির্ভরতা কমানো যে কত জরুরি, সেটা বোঝার জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। আমাদের টেকসই এবং ন্যায়সংগত নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে রূপান্তর করার জন্য অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করার এখনই সময়।

এছাড়াও বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট নিয়ে এক বিবৃতিতে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন এক জটিল সময় পার করছে, জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই একে ‘বিশ্ব মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট’ হিসেবে ঘোষণাও করেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানির জলবায়ুবিধ্বংসী কার্যকলাপের দায় নিতে হবে।

উল্লেখ্য,কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০১৮ সালের আগস্টে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর দ্য ক্লাইমেট’ লিখিত একটি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতি শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে এ আন্দোলন নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে কথা বলতে শুরু করেন। এর নাম করণ করেন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

;

মুজিবনগরে ট্রলি উল্টে চালক নিহত, আহত ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় ট্রলি উল্টে লিটন আলী (৩৮) নামের এক চালক নিহত হয়েছেন। এসময় পাওয়ার ট্রিলারে থাকা আরও ৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত লিটন আলী মুজিবনগরের বাবরপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেরপুর-মোহনপুর সড়ক দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে কাজ যাচ্ছিল একটি ট্রলি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সামনে থেকে আসা একটি মাটি বহনকারী ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাওয়ার ট্রিলার চালক লিটন আলীর মৃত্যু হয়।

আহত হয় ট্রলির যাত্রী নির্মাণ শ্রমিক সুমন (২০), ইদ্রিস (৪৫), দেলোয়ার (২৬), নজরুল (৬৫) ও আহসান (২০)। স্থানীয়রা তাদেরকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

মুজিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উজ্জল কুমার দত্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি: বিআরটিএ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপি সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে বিআরটিএর আয়োজনে ‘সড়ক নিরাপত্তামূলক আলোচনা সভায়’ এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ'র নেয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়। এটাকে যদি শতকরায় হিসাব করি তাহলে মোট জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষতি হয়। এটা তো শুধু আর্থিক হিসাবের কথা বললাম। এছাড়াও দুর্ঘটনায় কোন পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তি মারা গেলে তো ঐ পরিবারই শেষ।

ই ড্রাইভিং লাইসেন্সই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে হার্ডকপি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, “ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে হার্ড কপির জন্য কেউ মরিয়া যেন না হয়। এটা ওয়েল সার্কুলেটেড। ই ড্রাইভিং লাইসেন্সই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স। এটা মোবাইলে প্রদর্শন করে গাড়ি চালনা করা যাবে। কেউ যদি মনে করেন পুলিশ এটা মানছে না, ই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোর পরও পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাহলে নির্দিষ্ট করে সেই পুলিশের নাম ফোন নাম্বার লিখে আমাদেরকে জানালে আমরা কিন্তু পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, যদি কোন পুলিশ সদস্য এটা না জানে সেটা আইনের লোক হিসেবে তার ব্যর্থতা। সেটার জন্য ওই পুলিশ সদস্য দায়ী থাকবে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের সমস্যা আছে তারিখ দেওয়া বন্ধ করে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর মতো করে সার্ভিস দেয়ার জন্য বিআরটিএ কর্মকর্তাদের আহ্বান করছি।

ডোপ টেস্ট সহজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়ি চালকদের লাইসেন্স পেতে ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে। আপনাদের প্রস্তাবে ডোপ টেস্ট ডিজিটাল করার প্রস্তাব এসেছে। ডোপ টেস্ট নিয়ে প্রথমে আমরা কিছু সমস্যার মুখোমুখী হয়েছিলাম। এখন সেই সমস্যা নেই বললেই চলে। আমরা কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে একাধিক মিটিং করে একটা অ্যাপস প্রস্তুত করেছি। এটা এখনো চালু হয়নি। চালু হলে বারবার অফিসে যেতে হবে না।

অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, চালকরা স্বেচ্ছায় একটা পিঁপড়েও মারতে চায় না। কিন্তু, নানা পারিপার্শ্বিক কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সড়কে যান চলাচল ব্যতীত পাট কাঠি শুকানো, বা অন্য যে কোন কাজে ব্যবহার করা বেআইনি। এজন্য সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। জেলা উপজেলায় সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোকে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমাদের বিভিন্ন অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম চালু আছে। লিফলেট বিতরণ বিজ্ঞাপন প্রকাশসহ নানাভাবে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া নানা ধরনের ট্রেনিং চালু আছে, সেটা আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। গতকাল শুক্রবারও সারা দেশের ৬৪টি জেলায় আমরা ওভারস্পিড নিয়ন্ত্রণে ৪০৫টি মামলায় ১০ লাখের বেশি টাকা জরিমানা করেছি। এই অভিযান প্রতিদিনই চলমান থাকবে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি পেলেই ডাম্পিং করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গাড়ির রোড পারমিট অবশ্যই আপ টু ডেট থাকতে হবে। সেটার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা বসে করব। কোনভাবেই সড়কে রুট পারমিট বিহীন ফিটনেস বিহীন গাড়ি নিয়ে নামা যাবে না। এক্ষেত্রে চালকদের যত ধরনের সহযোগিতা দরকার আপনারা আপনাদের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আমাদের কাছে পেশ করবেন, আমরা সংবেদনশীল ভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা আপনাদেরকে করব। কিন্তু কেউ যদি ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে সড়কে নামেন, তাহলে আমরা ধরতে পারলেই সোজা ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়ে দেব।

এর আগে চালক ও মালিকপক্ষের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদিকুর রহমান হিরু। মহাখালী বাস টার্মিনালের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক।

অন্যান্যদের মধ্যে ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আবুল মোমেন, বিআরটিএর রোড সেইফটি বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএর রোড সেইফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহবুব-ই-রব্বানী বক্তব্য রাখেন।

;

সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যার করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যার করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যার করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আপনার সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যা লক্ষ্য করলে করণীয় কী’ শীর্ষক একটি ফ্রি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) আর্লি ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ইডিআই) বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইডিআই বাংলাদেশ আধুনিক বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিকাশজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের ভাষা ও আচরণগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করে থাকে। সেমিনারটি প্রারম্ভিক শৈশবে শিশুর বিভিন্ন বিকাশের ধাপ এবং কীভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিহ্নিত করা যায় সে সম্পর্কে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।

ডিটা চ্যাপম্যান, ইডিআই বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ও আর্লি ইন্টারভেনশনিস্ট, সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন।

তিনি, একজন বোর্ড সার্টিফাইড বিহেভিয়ার এনালিস্ট, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সেক্টরের সাথে জড়িত আছেন এবং মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং নেপালে একই ধরনের উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সেমিনারে ডিটা শিশুদের ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোন নিয়ে কথা বলেন। পিতামাতা, থেরাপিস্ট, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদদের কোন বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন যা ডেভেলপমেন্ট 'রেড ফ্ল্যাগ' হিসেবে কাজ করে এবং কেন প্রারম্ভিক শৈশব সময়েই পদক্ষেপ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি শিশুর বিকাশে 'রেড ফ্ল্যাগ' লক্ষ্য করলে পিতামাতা এবং থেরাপিস্টরা কি ধরনের কৌশল ব্যবহার করতে পারেন এবং প্রাথমিকভাবে কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন।

এ ধরনের সেমিনার অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা।

;