প্রাথমিকে বৃত্তি পেল ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থী
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। প্রাথমিক সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতে এবারও ৮২ হাজার ৪২২ জন এই বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৪২২ সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। বাকি ৭৮টি বৃত্তি রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে পূর্বে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়া হত। ২০১৫ সাল থেকে ৮২ হাজার ৫০০ ছাত্র ছাত্রী এ সুযোগ পাচ্ছে। এবার ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী, যা পূর্বে ছিল ২২ হাজার। সাধারণ কোটায় পাবে ৪৯ হাজার ৫০০ জন যা পূর্বে ছিল ৩৩ হাজার জন। যারা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাবে তাদেরকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা/থানার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বণ্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওয়ার্ড ভিত্তিক বিতরণ করা হয়। এবার মোট ৮ হাজার ২৪ টি ইউনিয়ন/ পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী ) হিসাবে ৪৮ হাজার ১৪৪ টি। এবং অবশিষ্ট ১৩৫৬ টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা/থানা হতে আরো ২টি (১ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী) করে ৫১১টি উপজেলা/থানায় ১০২২ টি সাধারণ এবং আরো অবশিষ্ট ৩৩৪ টি বৃত্তি হতে প্রতিটি জেলা হতে আরো ৪টি (২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী) করে ৬৪টি জেলায় ২৫৬ টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝরেপড়া রোধে, শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সকল শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। পূর্বে বিদ্যালয় থেকে প্রথম সারির কিছু সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের কোন সুযোগ ছিল না বিধায় তারা বঞ্চিত হত। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বর্তমানে প্রতিবছর ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।
জাকির হোসেন বলেন, বৃত্তি সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও ২০১৫ সাল থেকে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেয়া হলেও ২০১৫ থেকে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট WWW.dpe.gov.lbd -এ এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় হতে পাওয়া যাবে।