অভিজিৎ হত্যার পাঁচ বছর, মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অভিজিতের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

অভিজিতের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজ্ঞান মনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগার ড. অভিজিৎ রায় হত্যার পাঁচ বছর আজ। দিনটিতে মোমবাতি আর ফুল দিয়ে তাকে স্মরণ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। একই সময়ে কলকাতার বারাসাত স্টেশনের ১নং প্ল্যাটফর্ম চত্বরেও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটের সামনে, (যেখানে অভিজিৎকে হত্যা করা হয়) তার সহযোদ্ধারা তাকে স্মরণ করেন।

অভিজিৎ স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, অভিজিৎ রায়ের ছোট ভাই অনুজিৎ রায়, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত, আকরামুল হক, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অণিক রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, অ্যাক্টিভিস্ট বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।

মোমবাতি আর ফুল দিয়ে তাকে স্মরণ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা

এসময় ইমরান এইচ সরকার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘অভিজিৎ রায়কে পাঁচ বছর আগে ঠিক এই জায়গায় নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত তার হত্যার বিচার করা হয়নি। তার বাবা অজয় রায় ছেলের হত্যার বিচার দেখে যেতে পারেননি। আমরা জানি না যে কত দিন তার বিচারের দাবিতে আমাদের এভাবে দাঁড়াতে হবে।’

অভিজিৎ রায়ের ছোট ভাই অনুজিৎ রায় বলেন, ‘আসলে ভাই হারানোর বেদনা যে পায়নি, তাকে বলে বোঝানো যাবে না। দু:খজনক ঘটনা হলো আমি ভাই হারিয়েছি, মা হারিয়েছি এবং কিছুদিন আগে বাবাকেও হারালাম। প্রতি বছর এই সময়তে সাংবাদিকসহ অনেকে ফোন করে একই প্রশ্ন করে। তাদের একই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমিও যেন বিরক্তির মধ্যে রয়েছি। এতোদিন পরও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি।' তার আদর্শের মাধ্যমে তাকে মানুষ স্মরণ রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে টিএসসি এলাকায় তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বন্যাও গুরুতর আহত হন। পরে অভিজিত রায়ের বাবা অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিটিটিসি।

   

ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ

ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য সুপারিশ করেছে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় সিকদার রিপোর্ট ও ভিলা'র কনফারেন্স রুমে জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র তৃতীয় বৈঠক এই সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি আ, স, ম, ফিরোজ এমপি’র সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মোশতাক আহমেদ রুহী, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ আবদুর রশীদ এবং আশ্রাফুন নেছা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পাশাপাশি বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নীতিমালার আলোকে মুজিব কিল্লায় স্কুল ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করার জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে পুনরায় সুপারিশ করা হয়।

সেই সাথে কমিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি টুঙ্গিপাড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপারিশ করে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনে। এসময় ৩১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২৩৪ জনে।

শনিবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭০৭ জন।

পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

;

‘তথ্যের দরকার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একশবার যাবেন, বাধা নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেছেন, আপনার তো তথ্যের দরকার, একশবার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) গ্রাহকদের ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পঞ্চগড়ে ‘গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য দেওয়ার জন্য তিনজন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, আপনার তো তথ্যের দরকার, একশবার যাবেন। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিনজন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার জায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সন্তুষ্ট না করতে পারে আমরা চারজন ডেপুটি গভর্নর আছি আমরা আপনাকে উত্তর দেবো। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অবাধ বলতে কি? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোন কিছু দেবে? সাংবাদিককে দেবে যতোই বন্ধু হন?। তাহলে আপনি বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করি নাই। আপনি যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোন কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের উদ্দেশ দেশের মঙ্গল, আমাদেরও তাই। দেশটা সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাইতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম আরও বলেন, এবছর ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হবে। যারা অপ্রচার চালাচ্ছে তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের কাছে রোল মডেল। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পেছনে তাকানোর সময় নেই। মানুষের আয় বেড়েছে। অনেকে না জেনে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

;

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্টে নারী স্পিকারদের সম্মেলন লিঙ্গ সমতা আনয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম।

শুক্রবার (১৭ মে) অপরাহ্নে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অব উইমেন স্পীকার্স অব পার্লামেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিভিন্ন দেশের সংসদের স্পিকারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। স্পিকাররা একটি অভিন্ন প্লাটফর্মের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।

স্পিকার বলেন, বিগত সম্মেলন গুলোতে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। ১৫তম নারী স্পিকারদের সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারীদের সার্বিক উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো.এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। 

;