পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে ইঞ্জিনচালিত দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে। নিখোঁজ রয়েছেন নববধূসহ আরও ছয়জন। উদ্ধারকর্মীদের ধারণা- তাদের সবাই মারা গেছেন।
শনিবার (৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রীরামপুরে নৌকাডুবির ঘটনাস্থলের খুব কাছাকাছি স্থান থেকে চতুর্থ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাম রতন আলী (৩২)। তিনি নিখোঁজ নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণির দুলাভাই। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে একই স্থান থেকে এখলাস হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। পবা উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আসলাম আলীর ছেলে।
শনিবার ভোরে ঘটনাস্থলের প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূরে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর সীমান্ত থেকে মনি বেগম (৪২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবি টহল দল। তিনি কনে সুইটির ফুপু। এছাড়া শুক্রবার (৬ মার্চ) রাতে ঘটনার পরপরই মরিয়ম খাতুন (৮) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। হিসেব মতে- আরও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সবাইকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
হতাহতদের পরিবার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের রুমন আলীর (২৬) সঙ্গে এপারের ডাঙেরহাট গ্রামের সুইটি খাতুনের (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুইটি শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার কনেপক্ষ বরের বাড়ি থেকে নবদম্পতিকে আনতে যায়। সন্ধ্যার কিছুসময় আগে তারা বরের বাড়ি থেকে বের হয়ে দুটি নৌকা করে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে নগরীর শ্রীরামপুরের বিপরীতে নদীর মাঝামাঝি স্থানে নৌকা দুটি ডুবে যায়।
এ ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।