চসিক নির্বাচন

সুর পাল্টে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে বসছে আ’লীগ

  • মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। সৃষ্টি হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে অনড় বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ডে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন সে শঙ্কা থেকে স্থগিত করা বর্ধিত সভা আবারো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নগর আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, রোববার (৮ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে কেসিডে রোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার ডাক দেয়া হয়েছে। যা ৭ মার্চ রাতে স্থগিত হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সুর পাল্টে বর্ধিত সভায় বসছে আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

সূত্রটি আরও জানায়, দলের মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি বর্ধিত সভায় অংশ নেবেন বিদ্রোহী প্রার্থীরাও। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ শীর্ষ নেতারা।

রাতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, রোববার (৮ মার্চ) বিকেল তিনটায় বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে দলের সকল প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা অংশ নিবে। তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতারাও অংশ নেবে।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের আলোচনার কারণে সুর পাল্টে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হচ্ছে। যাতে তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। সে বিষয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আবারো বসতে হচ্ছে। আশা করি সকল বিদ্রোহী প্রার্থীরা কালকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেবে।

প্রসঙ্গত, ৪১ ওয়ার্ড অন্তত ৪৯ জন বিদ্রোহী থাকলেও তাদের মধ্য থেকে ২২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা কোনভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। গত ৫ মার্চ বর্ধিত সভার আয়োজন করে নগর আওয়ামী লীগ। প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেও বিদ্রোহীদের কারও মন গলাতে পারেননি নেতারা। বরং বিদ্রোহীরা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাহার করে কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান। ৮ মার্চের মধ্যে যদি প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে তাহলে দল কঠোর সিদ্ধান্তে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নেতারা। তবুও অনড় বিদ্রোহীরা।