বিনা'র নতুন মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম

ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সফল বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট উদ্ভিদ প্রজননবিদ ও কৃষিবিদ ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।

সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২০মার্চ) থেকে ড. মির্জাকে বিনা'র মহাপরিচালক পদে নিযুক্ত করে। তিনি বিনা’র পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, তিনি বিনা’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এসময় তিনি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৃত্তি নিয়ে ফিলিপাইনের লস ব্যানস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মলিকুলার জেনেটিক্স অ্যান্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন। পরে তিনি বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এনএটিপি প্রকল্পের বৃত্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে মলিকুলার জেনেটিক্স বিষয়ে পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ম শ্রেণিতে এসএসসি, নটরডেম কলেজ থেকে ১ম শ্রেণিতে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি জেনেটিক্স ও প্লান্ট ব্রিডিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিজ্ঞাপন

ড. মির্জা বিনায় কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন গবেষণায় উপকূলীয় অঞ্চলের জন্যে লবণাক্ততা সহিষ্ণু বিনাধান-৮, বিনাধান-১০, বন্যা কবলিত এলাকায় জন্যে জলমগ্নতা সহিষ্ণু বিনাধান-১১ ও বিনাধান-১২, সার ও পানি সাশ্রয়ী উচ্চ ফলনশীল জাত বিনাধান-১৭ (গ্রীন সুপার রাইস) সহ অন্যান্য ফসলের মোট ২২টি উন্নত জাতের ফসল উদ্ভাবন করেছেন।

এসব উন্নত জাতের ফসল উদ্ভাবনের ফলে তার অসামান্য অবদানের জন্যে ড. মির্জা গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের ফাউ- আইএইএ অস্ট্রিয়া হতে আউটস্ট্যান্ডিং এচিভমেন্ট এওয়ার্ড, বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার কর্তৃক সুপ্রিম সিড স্বর্ণপদক, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বিল অ্যান্ড মেরিন্ডা গেটসের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে লবণ ও বন্যা সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবনে অনন্য অবদান রাখায় ভারতের নয়াদিল্লীতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্টসহ মোট সাতটি পদকে ভূষিত হন।