পরিবহন খাতের নৈরাজ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হয় ১.৮ শতাংশ

  • ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: পরিবহন খাতের নৈরাজ্যের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি)। কারণ পাবিলক বাসগুলোর বেপোরোয়ার গতিতে ঘটছে দুর্ঘটনা। অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। শেষ পর্যন্ত ক্ষতিটা হচ্ছে দেশের অর্থনীতিরই।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরই দেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি যে হারে হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না। কারণ পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও যানজট। সড়ক দুর্ঘটনা, পরিবহন খাতের নৈরাজ্যে দেশ প্রতিঅর্থবছরে গড়ে এক দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি কম হয়। যদি সড়ক দুর্ঘটনা ওপরিবহন খাতের নৈরাজ্য বন্ধ করা যায় তাহলে যে হারে জিডিপি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আরও অন্ততএক দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তো।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজবার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনার রেশ বছরের পর বছর ভুক্তভোগীর পরিবারে থেকেযায়। কখনও ভিকটিমের পরিবার হয়ে পড়েন সহায় সম্বলহীন, কখনও ভিকটিম শারীরিকভাবেকার্যক্রমে অক্ষম হয়ে পড়েন। আবার কখনও মানষিক ট্রমার কারণে কাজে মনোনিবেশ করতেপারেন না অনেকে। ফলে তার কার্যক্ষমতা থেকে যে ফল পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হয়দেশ। ফলে ওই ব্যক্তির মাধ্যমে দেশে জিডিপি বাড়ার যে সম্ভাবনা থাকে তা নষ্ট হয়ে যায়। সেদিকথেকে প্রতিবছর গড়ে অতিরিক্ত এক দশমিক ৮ শতাংশ হারে জিডিপি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।’

শুধু তাই নয় বুয়েটের এই ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, যানজট ও পরিবহন নৈরাজ্যের কারণেদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়ায় বছরে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথমছয় মাসে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সড়ক দুর্ঘটনায়।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে একজন চালকের দিনে অন্তত ১১ ঘণ্টা বিশ্রামনেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের একজন গাড়িচালককে দিনে ১২ ঘণ্টা কখনওকখনও ১৬ ঘণ্টা টানা গাড়ি চালাতে হয়। ফলে চালক শারীরিক ও মানসিক অবসাদে ভোগেন। আর এসব কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা, জীবন হারান অনেকে।