২৫ মার্চ: সেই কালো রাত, এই আতঙ্কের রাত



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
১৯৭২ সালের ২৫শে মার্চের কালো রাতের গণহত্যা, ছবি: সংগৃহীত

১৯৭২ সালের ২৫শে মার্চের কালো রাতের গণহত্যা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতটি ছিল ভয়াবহতম একটি রাত। মানবেতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় সেই কালো রাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মেতেছিল জান্তব উল্লাসে। ঢাকা শহর হয়েছিল ধ্বংসস্তূপ। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ রাতটি এসেছে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক নিয়ে।

১৯৭১ সালের পর এতোগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও এমন আতঙ্কের রাত আর আসেনি ২৫শে মার্চে। করোনা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই ভীতি, আতঙ্ককে।

'অপারেশন সার্চলাইট' নামে কুখ্যাত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে বাঙালির জাতীয়তাবাদী, স্বাধিকার আন্দোলনকে সশস্ত্র হামলার দ্বারা দমন করতে চেয়েছিল নরপশুরা।

এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের আদেশে পরিচালিত, যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত 'অপারেশন ব্লিটজ'-এর পরবর্তী সামরিক আক্রমণ।

২৫শে মার্চের পাকিস্তানি সামরিক অপারেশনের আসল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।

কিন্তু অকুতোভয় বাঙালিরা পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এবং সূচনা ঘটায় স্বাধীনতা যুদ্ধের। ২৫শে মার্চের গণহত্যা বাঙালিদের ক্রুদ্ধ ও প্রতিবাদমুখর করে তোলে। আপামর বাঙালি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় এবং বাঙালিরা দখলদারি পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

২৫শে মার্চের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির রাজনৈতিক সংগ্রামের ধারাবাহিক পর্যায়গুলো। বছরের পর বছর তীব্র গণআন্দোলন শেষে  ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর বাঙালিরা স্বাভাবিকভাবেই আশা করেছিল যে ক্ষমতার পালাবদল হবে এবং আওয়ামী লীগ ৬ দফা অনুসারে সরকার গঠন করবে। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ এ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান পিপিপি'র জুলফিকার আলি ভুট্টোর প্ররোচনা ও চাপে জাতীয় সংসদের কার্যাবলী মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে দেন।

পিপিপি'র জুলফিকার আলি ভুট্টো এও বলেন যে, তিনি বাঙালিদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে চান। এই স্থগিতকরণের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে একটি গণসমাবেশের আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে সমুজ্জ্বল সেই জনসমাবেশ এতই সফল ছিল যে, পাকিস্তান সরকার সেনাছাউনি ও পূর্বপাকিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠানে সীমিত হয়ে পড়ে আর পুরো দেশ চলে যায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতির অধীনে।

এমনই পরিস্থিতিতে  জেনারেল ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর  সাথে বৈঠকের উদ্দেশ্যে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা আসেন এবং এরপর ভূট্টো তার সাথে যোগ দেন। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা না হস্তান্তরের উদ্দেশ্য নানা তালবাহানা শুরু করে আলোচনার নামে। পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর ভয় ছিল যে ক্ষমতা জনরায় অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুকে  হস্তান্তরিত করা হলে পাকিস্তান পিপলস পার্টির কর্তৃত্ব হ্রাস পাবে। এজন্য পাকিস্তানী জেনারেলরা পিপিপি'র ভুট্টোকে গোপনে সমর্থন যোগাতে থাকে এবং শেষ দিকে বাঙালিকে ন্যায্য রাজনৈতিক ক্ষমতার বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পুরো বাঙালি জাতির উপর সেনা আক্রমণ চালায়।

ইতিহাসের বিবরণ অনুযায়ী, ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর এক বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবনার ভিত্তিতে মার্চের শুরুতে ১৪তম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি অপারেশনের মূল পরিকল্পনা তৈরি করেন। এদের পেছনে ছিলেন জেনারেল গুল হাসান। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েতা হতে ১৬তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন এবং খরিয়ান থেকে ১৯তম ডিভিশনকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার আদেশ দেয়া হয়।

পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা পূর্ব পাকিস্তানের জিওসি লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস অ্যাডমিরাল এস এম আহসান পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের উপর সামরিক হামলার বিরোধী ছিলেন বলে অপারেশনের পূর্বেই তাদেরকে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেয়া হয়। সেখানে বেলুচিস্তানের কসাই নামে নিন্দিত জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও জিওসি করে পাঠানো হয়।

মার্চের ১৭ তারিখ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সিওএস জেনারেল হামিদ টেলিফোন করে জেনারেল রাজাকে অপারেশনের পরিকল্পনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৮ মার্চ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের জিওসি কার্যালয়ে বসে জেনারেল রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি অপারেশনের পরিকল্পনা তৈরি করেন। পরিকল্পনাটি জেনারেল ফরমান নিজ হাতে হালকা নীল রঙের একটি অফিস প্যাডের ৫ পাতা জুড়ে লিড পেন্সিল দিয়ে লিখে নেন।

এটা ধারণা করা হয় যে বাঙালি সেনারা অপারেশনের শুরুর সময় বিদ্রোহ করবে, তাই পরিকল্পনাকারীরা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে আলাপকালে বাঙালি সৈন্যদের অপারেশনের পূর্বেই নিরস্ত্র করার এবং বাঙালি রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রস্তাব দেন। পরিকল্পনাটি ২০ মার্চে আবার জেনারেল হামিদ এবং লে. জেনারেল টিক্কা পর্যালোচনা করেন।

অবশেষে অপারেশন শুরু হয় ঢাকায় ২৫ মার্চ রাতের শেষ প্রহরে এবং অন্যান্য গ্যারিসনকে ফোন কলের মাধ্যমে তাদের জিরো আওয়ারে (অপারেশন শুরুর পূর্বনির্ধারিত সময়) তাদের কার্যক্রম শুরু করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। ঢাকার সৈন্যদের কমান্ডে ছিলেন রাও ফরমান আলি এবং অন্যান্য সব স্থানের সৈন্যদের কমান্ডে ছিলেন জেনারেল খাদেম হোসেন রাজা। জেনারেল টিক্কা এবং তার কর্মকর্তারা ৩১তম কমান্ড সেন্টারের সব কিছু তদারকি করা এবং ১৪তম ডিভিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত ছিলেন।

২৫শে মার্চে গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে নিরস্ত্র মানুষের উপর সামরিক আক্রমণের জন্য কুখ্যাত এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার জ্বলন্ত সাক্ষী। ২৫শে মার্চের ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মধ্যেও ফিনিক্স পাখির মতো বাঙালি জাতির উত্থান ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হানাদারদের পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জনের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ও ঐতিহাসিক গৌরবের।

দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ‘জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্দা উঠলো দেশে প্রথমবারের মতো জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’র। দুই দিনব্যাপী এই সামিট ও এক্সপো শুরু হলো রাজধানীর কুড়িলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। শুক্রবার সকালে আয়োজনটির উদ্বোধন করা হয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রা ও স্মার্ট যুগের অপার সম্ভাবনাকে সুদৃঢ় করার প্রচেষ্টায় এগিয়ে এসেছে বিশ্বব্যাপী তরুণদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেসিআই বাংলাদেশের আয়োজনে ও এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই-এর সহযোগিতায় আজ (শুক্রবার) ও আগামীকাল (শনিবার) চলবে এই ‘জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ আয়োজন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে শুরু হয় দর্শনার্থীদের প্রবেশ। তারপর উদ্বোধন করা হয় সামিট ও এক্সপোর।

প্রধান অতিথি থেকে ‘জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ইভেন্টের পরিচালক ও জেসিআই বাংলাদেশের ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির বলেন, দেশে ২২ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করার জন্য তৈরি হচ্ছে। দেশে তরুণদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জেসিআই সেই তরুণ জনগোষ্ঠীকে নিয়েই কাজ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে যে ম্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে জেসিআই সমানভাবে সহযোগিতা করতে চায়।

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার জনাব আনীর চৌধুরী। তিনি তার উপস্থাপনায় সরকার ডিজিটালাইজেশন থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পনের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, যেখানে ২০০৮ সালে সরকারের ডিজিটাল সেবা ছিল প্রায় শূন্য। সেখান থেকে ২০২৩ সালে এসে সেখানে ২ হাজারের বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে ডিজিটালি। ২০২৩ সালে এসে ইন্টারনেট পেনিট্রেশনের হার খুবই উচ্চমাত্রায়।

আনীর চৌধুরী তার উপস্থাপনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি মূল বিষয়কে তুলে ধরেন। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি। তিনি দেশের বিভিন্ন উদ্যোগের উদাহরণ দিয়ে দেখান কীভাবে এগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান দিচ্ছেন তরুণরা। আর সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সবই হাতের মুঠোয়। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের চাকরির বাজার পরিবর্তন হচ্ছে। সেটির জন্য নতুন নতুন দক্ষতা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জেসিআইয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে এমন আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা জেসিআইয়ের তরুণদের একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে উদ্যোক্তা তুলে আনার আয়োজন করার আহ্বান জানান তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, প্রযুক্তি খুবই দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন। এখন যেমন বিশ্বে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এটি এখন এমন সব কাজ করছে যা বিশ্বকে একটা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। এসব নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। টেকনোলজির আরেকটা বড় ধরনের অগ্রগতি হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। যেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কাজ করছে। এখন বাংলাদেশ সামনের দিনের প্রযুক্তি নিয়ে কী, কীভাবে কাজ করতে পারে সেটা নিয়ে সরকার একটা নীতিমালা করে দিতে পারে। বেসরকারি বিভিন্ন খাতকে এসব নিয়ে কাজ করতে সুযোগ করে দিতে পারে।

তিনি বলেন, বেসিস প্রেসিডেন্ট বাজেটে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের বিষয়টি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সেটাতে আমিও একমত। আসলে বাজেটে যেটা হয়েছে সেটা ভুল বোঝাবুঝি। সেটা তারা হয়তো বোঝেননি। আমরা সেটা চূড়ান্ত বাজেটে থাকবে না। হয়তো সেটা শতভাগ করতে পারব না। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি, বাজেটে যেসব সমস্যার কথা উঠেছে সেগুলো আমরা সলভ করব।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ঘোষণা করার পর স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে প্রথম সামিট করছে জেসিআই।

তিনি বলেন, ব্যবসা করবেন শুধু মুনাফার জন্য নয়, সমস্যার সমাধান নিতে আসতে হবে। এটি করতে পারলে করবেন দেখবেন সারা বিশ্বে আপনি মর্যাদা পাবেন। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ এমন দশটা স্টার্টআপ পাবে যারা কয়েক মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ হবে। মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ হতে বিকাশের লেগেছে ১২ বছর, নগদের ৩ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে মেধাবী সাহসী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবেই দেশ থেকে নেতৃত্বদানকারী স্টার্টআপ উঠে আসবে।

এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেন সেটা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। কিন্তু এখন এসে কেউ আর সেটি নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না। কারণ, এখনকার ট্রান্সফরমেশন দেখে এটা আমরা নির্দিধায় বলতে পারি স্মার্ট বাংলাদেশ এখন সময়ের ব্যাপার।

এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, এটুআই সবসময় সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যখন জেসিআই এমন একটি সুযোগ তৈরি করল স্মার্ট বাংলাদেশকে জানানোর জন্য সামিটের সেখানে এটুআই খুব আগ্রহী হয়ে অংশ নেয়ার কথা জানায়। স্মার্ট বাংলাতেশ গড়ে তুলতে হলে বহুমুখী উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে। এখনকার উদ্যোক্তাদের জন্য কোনো জিনিসে ভয় পাওয়া যাবে না। তবেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, জেসিআইয়ের জুনিয়ার চেম্বারের তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে চাই। ইয়াং উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছি। তাদের কীভাবে বিনিয়োগ দেওয়া যেতে পারে সে বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। সবাইকে এখন বিষয়টিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এছাড়া বক্তব্য দেন, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৩ এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ভূঁইয়া , বিজিএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল্লাহ আজীম, এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের (স্বপ্ন) বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় জেসিআই বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট অ্যান্ড ফাউন্ডেশন কমিটির আহ্বায়ক তাহসিন আজিম সেজানের ধন্যবাদ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তিনি জানান, ‘এক্সপো আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নামী ব্র্যান্ডগুলো তাদের ভবিষ্যত স্মার্টসল্যুশন প্রদর্শন করার সুযোগ পাচ্ছে। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মোট ১১টি বিশেষ অধিবেশন বা সেশন থাকছে, উক্ত সেশনগুলোতে দেশ এবং দেশের বাইরের বিশেষজ্ঞ ও বক্তারা উপস্থিত থাকবেন।’

জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’র প্রধান লক্ষ্য বিশেষজ্ঞ আলোচনার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরা। আমন্ত্রিত অতিথি ও প্যানেলিস্টরা তাদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ এর সম্ভাবনাময় প্রতিটি দিক তুলে ধরবেন। এছাড়া স্মার্ট এক্সপোতে রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য চমকপ্রদ সকল প্রযুক্তির প্রদর্শন। ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সেসবের ফিউচারিসস্টিকস আয়োজন।

আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংগঠন বেসিস, পোশাক শিল্পের সংগঠন বিজিএমইএ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ডেইলি স্টার, এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপি।

স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর স্বপ্ন, পাওয়ার্ড বাই হুয়াওয়ে এবং প্লাটিনাম স্পন্সর বন্ডস্টাইন। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ইশো, লিঙ্কথ্রি, ওয়েজলি, জিও, মাস্টারকার্ড, এমটিবি, ওয়ালটন, সানাফি কনস্ট্রাকশন, সিনগুলারিটি। অনুষ্ঠানে এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার চরকি, টেলিকম পার্টনার গ্রামীণফোন, ইউনিভার্সিটি পার্টনার উত্তরা ইউনিভার্সিটি, রিসার্চ পার্টনার ক্রিয়েভিশন, সেশন পার্টনার ফাইবার অ্যাট হোম, পিকাবু, ইনোভেশন ইন্টারন্যাশনাল, ফুড পার্টনার প্রিমিয়ার, পোলার। ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে বাক্কো, ই-ক্যাব ও আইএসপিএবি।

জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এর সকল আপডেট জানাতে একটি ওয়েবসাইট উন্মোচন হয়েছে। সাইটটির ঠিকানা www.jcisummit.com

;

জমিসহ ভবন দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
জমিসহ ভবন দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

জমিসহ ভবন দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালতলা বাজারের তিনতলা ভিত্তির একটি দোকান দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার উত্তর শালমারা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার (৯ জুন) সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সোনাইকুড়ি গ্রামের রবীন্দ্রনাথ রায়।

স্থানীয়রা জানান, রবীন্দ্রনাথ রায় ২০২০ সালে পৈত্তিক সম্পত্তিতে ৩ শতাংশ জমির উপর ৬টি কক্ষ বিশিষ্ট তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

শুক্রবার ভোরে সিরাজুল ইসলাম ৬-৭জন শ্রমিক নিয়ে ২ ঘণ্টার মধ্যে ভবনের ছাঁদে টিন দিয়ে দখল করে। স্থানীয়রা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে ভবনের কাজ করে আসছেন। এর মধ্যে সিরাজুল কোনদিন তিনতলা ভবন নির্মাণ কাজের বাধা দেয়নি।

রবীন্দ্রনাথের ছেলে জয়চাঁদ রায় বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভবন নির্মাণের কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে ৬টি কক্ষের পিলার নির্মাণ করেছি। কোনদিন আমাদের ভবন নির্মাণে কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু শুক্রবার খুব ভোরে কয়েজজন সন্ত্রাসীসহ শ্রমিক নিয়ে সিরাজুল ইসলাম পিলারের উপর টিন দিয়ে দখলের চেষ্টা করে। আমরা বাধা দিলে আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

দখলের ব্যাপারে সিরাজুল ইসলামের ছেলে আহম্মদ বলেন, আমরা বালিয়াকান্দির চামটা মৌজার ৫০৯ নম্বর দাগে জমি পাবো। সেই দাগের জমি বুঝে নিতেই আমরা স্থাপনা নির্মাণ করেছি।

তাহলে কেন ভবন নির্মাণের সময় বাধা দেননি এমন প্রশ্ন করলে তিনি এর কোন উত্তর দিতে পারেনি।

বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বালিয়াকান্দি থানায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ জমি পেলে সেটি বুঝে নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে।

;

রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাঙামাটি জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে একই দিনে চারটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চারটি মামলায় আসামি করা হয়েছে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ঠিকাদার, ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুদক রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন নিজেই উক্ত চারটি মামলা দায়ের করেছেন।

দুদক সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বরকলের ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত কামিনী চাকমার জমির উপর মৎস্য বাধঁ ও পাঁকা সেচ ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৩ টাকা, বরকল উপজেলাধীন সুবলং বাজারে পানীয় জলের ব্যবস্থাকরণসহ গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা, বরকল উপজেলাধীন সুবলং ইউনিয়নে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাঁকা সিড়ি নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়া মৎস্য বাঁধ হইতে হারুন টিলা এলাকার আহাদ এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামক ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৩ টাকা পরস্পর যোগসাজসে অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে উপরোক্ত টাকাগুলো আত্মসাৎ করে দণ্ড বিধির ৪০৯/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার গুলোর এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন।

আসামিরা হলেন- রাঙামাাটি জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, উপসহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা,ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, রাঙমাটি জেলা পরিষদের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সিলেট এলজিইডিতে কর্মরত) কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অমলেন্দু চাকমা’র স্বত্তাধিকারী অমলেন্দু চাকমা, মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী চিংহেন রাখাইন, মেসার্স সম্মৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মিলন তালুকদার।

মামলার বিষয়টি মুঠোফোনে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন দুদক রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক।

দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ৭৫ কার্যদিবস সময়কালে উপরোক্ত মামলাগুলোর সার্বিক বিষয়টি তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমাকে তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে চার মামলাতেই জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলীর নাম রয়েছে। বরকলের স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাংচিং এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী চিংহেন রাখাইনকে আসামি করা হয়েছে দুই মামলায়। ইউপি চেয়ারম্যান মামুন, ঠিকাদার অমলেন্দু চাকমা ও মিলন তালুকদারের নাম একটি করে মামলায় রাখা হয়েছে।

;

চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার (৯ জুন) সকালে ফতুল্লায় এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- মো. সালাম মন্ডল (৫৫), বুলবুলি বেগম (৪০), সোনিয়া আক্তার (২৭), টুটুল (২৫), মেহেজাবিন (৭)।

তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা সোহাগ জানান, সকাল ৮টার দিকে আগুন লাগে। আমরা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। তাদের চিকিৎসা চলছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো তরিকুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের মধ্যে মো. সালাম মন্ডলের ৭০ শতাংশ, বুলবুলির ২৫ শতাংশ, সোনিয়ার ৪২ শতাংশ, টুটুলের ৬০ শতাংশ ও শিশু মেহজাবিনের ৩৫ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থা প্রায় আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

 

;