করোনা পূর্বাভাসের টুলস তৈরির দাবি ৪ বাংলাদেশি গবেষকের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এরপর ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাদেশেও রয়েছে এ মহামারি প্রভাব। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জন এবং মৃত্যু পাঁচজন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন।

এদিকে, করোনা সংক্রমণে কোন এলাকায় কী পরিমাণ আক্রান্ত রোগী হতে পারে তার একটি ওয়েব সিমুলেশন পূর্বাভাসের টুলস তৈরি করেছেন বলে দাবি করেছেন দেশের চার গবেষক।

বিজ্ঞাপন

তাদের দাবি, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মরতরা খুব সহজেই কম্পিউটারের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কী পরিমাণ মানুষ করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে তা জানা যাবে।

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) অধ্যাপক ড. আবুল কাশেমের নেতৃত্বে এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্যরা হলেন- ডুয়েটের আরেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতোকত্তর দুই শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী খাঁন ও সাব্বির পারভেজ।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ফজলে রাব্বি খাঁন বার্তা ২৪.কম-কে বলেন, ‘আক্রান্তের পরিমাণ এতদিন খাতা কলমে হিসেব করে বা অংক কষে বের করতে হতো। কিন্তু এখন আমরা এটাকে একটি ওয়েব মডিউলে নিয়ে এসেছি। এই ওয়েব মডিউল তৈরির ক্ষেত্রে সাসপেকটিভ এক্সপোজড ইনফেকটাস রিকভারির (এসইআইআর) নির্দেশিকা মেনে চলেছি। এর মাধ্যমে আমরা গাণিতিক পদ্ধতিতে একটি ফর্মূলা তৈরি করেছি।

গবেষণার একটি নমুনা

ফজলে রাব্বি বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য খাতের কর্মরতরা খুব সহজেই একটি এলাকা বা সমগ্র দেশে করোনাভাইরাসে কি পরিমাণ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে এবং কোন সময়ের মধ্যে কত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে সে বিষয়ে একটি সাম্যক ধারণা পাবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিইএইচও) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ধরনের একটি মডিউল ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগের পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

এই গবেষক বলেন, ‘এটা কেবলই একটি পূর্বাভাস, আমাদের পদ্ধতি ব্যবহারে যে তথ্য পাওয়া যাবে সেটার উপর ভিত্তি করে সরকার তার প্রস্তুতি নিতে পারবে। আমরা সরকারসহ স্বাস্থ্য খাতের কর্মরতদের এটি দিতে চাই। এই গাণিতিক রোগতত্ত্ব ব্যাবহারের মাধ্যমে সহজেই রোগের বিস্তার নির্ণয়, বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলা এবং আইসোলেশন বা সঙ্গরোধ ইত্যাদির বিষয়ে পলিসি নির্ধারণ করে দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’

আগ্রহী গবেষক বা কোনো সংস্থা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উক্ত সিমুলেশন টুলস ব্যবহারের সুযোগ অথবা সোর্স কোড প্রদান করবেন বলেও জানান গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই শিক্ষার্থী।