পদ্মা সেতুতে বসল ২৭তম স্প্যান, দৃশ্যমান ৪.০৫ কিলোমিটার
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়লেও প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৮ মার্চ) সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে ২৭তম স্প্যান।
স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৪.০৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এখন ৪১টি স্প্যানের মধ্যে আর বাকি থাকলো ১৪টি স্প্যান।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২৭ তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়।
সূত্র আরও জানায়, পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুতে বসলো ২৬তম স্প্যান
এছাড়া পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
এদিকে দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দৃশ্যমান হলো ৪.০৫ কিলোমিটার। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে মূল সেতু নির্মাণ কাজ ৮৬.৫০% ভাগ।
এ বছরের জুলাই মাস নাগাদ সকল স্প্যান বসানো শেষ হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল করবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ পিলার প্রস্তুত হওয়ার ফলে চলতি বছর প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩২ এবং ৩৩ নাম্বার পিলারের উপর বসেছে ২১তম স্প্যান এবং ২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তের ৫ এবং ৬ নম্বর পিলারের উপর বসেছে ২২তম স্প্যান, ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে বসেছে ২৩তম স্প্যান, ১১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৪তম স্প্যান, ২১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৫তম স্প্যান এবং ১০ মার্চ বসেছে ২৬তম স্প্যান। এছাড়া আগামী মাসে বসছে ২৮তম স্প্যান।