বরিস জনসনের করোনা আক্রান্তে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। তার আক্রান্ত হওয়ার খবরে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
শনিবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বরিস জনসনের দ্রুত আরোগ্য লাভের আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক চিঠিতে বলেন, যদিও আমরা সকলেই মহামারি করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এবং প্রাণহানির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তার জন্য আমরা আপনার দেশে লকডাউন, আইন প্রয়োগ এবং আর্থিক সহায়তা সহ সমস্ত সময়োপযোগী এবং গতিশীল নেতৃত্বের উদ্যোগগুলো নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছি। এই ভাইরাস থেকে যুক্তরাজ্যের মানুষ পরিত্রাণ পাবে আশা করি।
তিনি বলেন, এই ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে বুঝতে পেরে আমাদের সরকার এই সঙ্কটের শুরুতেই খুব গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। আমরা জানুয়ারি থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলো থেকে আগত লোকদের আলাদা রাখার পাশাপাশি বিমানবন্দরে সন্দেহভাজনদের স্ক্রিন করা শুরু করি। কোভিড-১৯ এর বিস্তার এবং এর চ্যালেঞ্জের বিভিন্ন মাত্রা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন টাস্কফোর্স সহ একটি উচ্চ-শক্তি সম্পন্ন জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা কিছু হাসপাতাল প্রস্তুত করেছি এবং আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি এবং সম্প্রদায়ের সংক্রমণ রোধে সংক্রমণ অঞ্চলগুলোকে লকডাউন করেছি এবং জনগণকে ঘরে বসে থাকার পরামর্শ দিয়েছি। আমরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘকালীন লালিত জন্মশতবর্ষ উদযাপন সম্পর্কিত সকল পাবলিক জমায়েত স্থগিত করেছি। ২৫ মার্চ থেকে ১০ দিনের জন্য ভাইরাসের বিস্তার রোধে জরুরি পরিষেবাগুলো বাদে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা আমাদের জনগণকে এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য দল ও সরকার উভয় পক্ষেই গণসচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছি। এ রোগে ৫টি দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ও ৪৮টি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করেছি।
সরকার এই চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠতে পারস্পরিক প্রচেষ্টায় এবং সফল হওয়ার সংকল্প নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে বিদ্যমান সহযোগিতার জন্য সর্বদা কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।