‘খাওনের দায়িত্ব নিলে ঘরে থাকমু’



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘খাওনের দায়িত্ব নিলে ঘরে থাকমু’-রিকশাচালক/ছবি: বার্তা২৪.কম

‘খাওনের দায়িত্ব নিলে ঘরে থাকমু’-রিকশাচালক/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। সেই সঙ্গে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকা শহর প্রায় জনশূন্য। যন্ত্রের মতো কর্মচঞ্চল এই শহর স্থবির হয়ে পড়েছে এই কয়েকদিনে। সব ধরনের গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করায় সব থেকে বিপাকে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া রিকশাচালকরা। করোনা আতঙ্ক পাশ কাটিয়ে জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হলেও খালি পকেটেই ফিরতে হচ্ছে অধিকাংশ রিকশা চালককেই।

সোমবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে ঢাকার ধানমন্ডি, মোহাম্মাদপুরসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে রিকশা চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোন কোন দিন সারাদিন রিকশা চালিয়ে সন্ধ্যা বেলায় জমার টাকা দিয়ে খালি পকেটে বাড়ি ফিরার মতো ঘটনাও আছে।

ধানমন্ডি ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় সালাম নামে এক রিকশাচালকের সাথে। করোনার ঝুঁকিতেও কেন রিকশা নিয়ে বাইরে এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খেয়ে যদি বাঁচি তাহলেই না করোনায় মরব। একদিন রিকশা নিয়া বাইর না হইলে আমাগো পেটে ভাত যাওনের ব্যবস্থা নাই। এই অবস্থায় সারা দিন ঘুইরাও কোন দিন জমার ৩০০ টাকাও উঠে না। আবার একদিন তো জমার টাকা দিয়া খালি পকেটে বাড়ি ফিরছি। রাস্তাঘাট ফাঁকা,লোকজন নাই বললেই চলে। সারাদিন সারা শহর ঘুরতেছি এই কয় দিন কিন্তু জমা বাদে সর্বোচ্চ দুইশ টাকা ঘরে নিতে পারছি। দুইশতে কি বাজার সদাই হয় ভাই! বাইর না হইলে তো খাওনের অভাবে মরমু।

সারাদিন রিকশা চালিয়ে সন্ধ্যা বেলায় জমার টাকা দিয়ে খালি পকেটে বাড়ি ফিরার মতো ঘটনাও আছে

খাবার ব্যবস্থা থাকলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরের বাইরে বের হত না এসব দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা। এমনই মনে করেন মোহাম্মদপুর ও বসিলা এলাকার রিকশাচালাক হাসান। তিনি বলেন, আতঙ্ক নিয়াও চার দিন পর ঘরে থাইকা বাইর হইছি। আমার ঘরে চাল, ডাল তো দূরের কথা এক ফোটা পানিও নাই আইজ। অনেকেই গ্রামে চইলা গেছে কিন্তু আমরা আছি পরিবারের কথা চিন্তা কইরা। তারা যে গ্রামে কি খাইতাছে আর কি করতেছে সেইটা আমি জানি না। আমি তো আমার নিজের খাওনের জোগাড় করতে পারি না। আইজকা সকাল বেলা রিকশা নিয়া বাইর হইছি এখন বাজে বিকাল তিনটা।  ভাড়া মারছি ১৭০ টাকা। জমার টাকা হইতে আরো ১৩০ টাকা বাকি। এখন পর্যন্ত কিছু খাই নাই।

নগর ঘুরে বেশ কিছু এলাকায় ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে একেবারেই ছিন্নমূল পর্যায়ের মানুষদের শুকনো খাবার ও চাল, ডাল বিতরণ করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম এসব উদ্যোগ ছিন্নমূলদের অধিকাংশের কাছেই পৌঁছাচ্ছে না।

করোনার ঝুঁকি নিয়ে সড়কে রিকশাচালকরা

নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক মোহাম্মদপুর এলাকার এক নারী রিকশা চালক বলেন, আমাদের মতো মানুষদের হইছে বড় জ্বালা। আমরা হাত পাইতা কারো কাছে কিছু নিতেও পারি না আবার গতর ঘাটায়াও যখন কামাই করতে পারি না,  তখন আমাগো মতো অসহায় আর কেউ থাকে না। একটু ক্ষোভের সুরেই বললেন, এখন পর্যন্ত দেখি নাই এই কয়েক দিনে কোন রিকশা ওয়ালাকে এক কেজি চাল কেউ দিছে। কাজে না বাইর হয়া কি না খায়া মরব মানুষ!

করোনায় স্থবির পুরো বিশ্ব যার প্রভাব পরেছে প্রত্যেকটি দেশ ও দেশের সব স্তরের মানুষের উপর। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জনগোষ্ঠীর অর্থনীতির সবচেয়ে তলানীতে থাকা এসব খেটে খাওয়া মানুষের জীবন ও জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে প্রতিদিন। দিনে দিনে দূর্বিষহর মাত্রা যেন জীবনের উপর দিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী এই মানুষগুলো।

   

বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখ ও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত নারীর নাম আনজু খাতুন (৩১)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

নিহত আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনের চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;