ছিন্নমূল মানুষের হাতে ত্রাণ দিচ্ছেন মেয়র আতিক

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছিন্নমূল মানুষের হাতে ত্রাণ দিচ্ছেন মেয়র আতিক

ছিন্নমূল মানুষের হাতে ত্রাণ দিচ্ছেন মেয়র আতিক

করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে সংস্থাটির উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজের সামনে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। এসময় ১৮০ জন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়। মেয়র আতিকুল ইসলামের সামাজিক সংগঠন ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’র পক্ষে থেকে এসব ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বেলা ১১টা থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়। বিতরণস্থল থেকে কিছুটা দূরে  দাঁড়ান মেয়র আতিকুল ইসলাম। দূর থেকে তার কর্মসূচি দেখেন। প্রথমে কর্মকর্তারাও কেউ বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। পরে কয়েকজন মানুষের নজরে এলে তিনি ছবি তুলতে সবাইকে নিরুৎসাহিত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে মেয়র বয়োবৃদ্ধ কয়েকজন নারীকে দেখে গাড়ি থেকে নামেন। তাদের কথা শোনেন। এসময় তিনি তাদেরকে ত্রাণসামগ্রী দেন।

পরে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধে কথা বলেন। এ সময় মেয়র বলেন, ৮ নম্বর সেক্টরে একটি বস্তি আছে। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি এখানে কেউ কখনো ত্রাণ সহায়তা দেয়নি। সে জন্যই আজ এখানে ত্রাণ দিচ্ছি। আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি এই কাজ অতো সহজ নয়। সামাজিক যে দূরত্ব আছে সেটা বজায় রাখা কঠিন হচ্ছে। তাই এটাকে ভিন্নভাবে দেওয়া যায় কিনা আমরা চিন্তাভাবনা করছি।

বিজ্ঞাপন

মেয়র বলেন, আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে যারা প্রান্তিক গোষ্ঠি, কখনো সহায়তা পায়নি- তাদেরকে দেওয়া। প্রকৃত ত্রাণ যাদের দরকার আমরা তাদেরকেই দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মেয়র বলেন, আমি সিটি করপোরেশনকে বলে দিয়েছি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৩ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকার মধ্যেই তারা প্যাকেট করছে। সব মিলিয়ে পুরো ডিএনসিসি এলাকায় ৩০ হাজার প্যাকেট করা হয়েছে। আজ থেকে সব এলাকায় এগুলো বিতরণ শুরু হবে। আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে যারা মহিলা কাউন্সিলর, নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মাধমে বিতরণ শুরু করেছি। তারা কিন্তু এখনো কিছু পাইনি। যারা আমাদের কাছে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলছে আমরা কিছুই পাইনি, আমাদের খাদ্য দরকার, আমরা তাদেরকেও পৌঁছে দিচ্ছি।