গাইবান্ধায় করোনার প্রভাবে দরিদ্র কর্মহীন পরিবারদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ১৫ হাজার ৮২৮ পরিবার এই কর্মসূচির সুবিধা গ্রহণ করবে।
রোববার (৫ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন।
বিজ্ঞাপন
এতে জেলার ৮১টি ইউনিয়নে ১৯৪ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিকেজি চাল ১০ টাকা দরে কিনবেন সুবিধাভোগীরা।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রত্যেক পরিবার ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে।
শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে সীমান্তবর্তী পূজা মণ্ডপে ১৬ স্তরের নিরাপত্তায় থাকবে বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে বিজিবির ভোমরা ক্যাম্পে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে মতবিনিময় শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবেন বিজিবি সদস্যরা। ২ অক্টোবর থেকে বিজিবি টহলদলকে ২টি টাস্কফোর্সে বিভক্ত করে পূজামন্ডপসমূহ ও তার আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার মধ্যে ৪০টি পূজামন্ডপ রয়েছে, বিজিবি ১৬ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে এবং বিজিবির ২ শতাধিক সদস্যরা এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের দায়ে দুনীর্তি/অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী পেশাজীবিসহ ২৮ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল পরিচালনাসহ গোয়েন্দা নজরদারি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবির এধরণের কার্যক্রমের ফলে ইতোমধ্যে সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা এবং জনমনে ব্যাপক আস্থার সঞ্চার এবং পূজা উদযাপনে উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি করেছে।
এ সময় পূজা উদযাপন উপলক্ষে যেকোন প্রকার আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে, তাদের কোন পরিচয় বিবেচনা করা হবে না বলে জানান অধিনায়ক আশরাফুল হক।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগস্টের ৫, ৬ ও ৭ তারিখে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এপিবিএন সদর দফতরে শহীদ মীর মুগ্ধের স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল, মীর মুগ্ধ ভবন ও এপিবিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রবেশ তোরণ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগেই পালিয়ে গেছেন। আগস্টের ৫, ৬ ও ৭ তারিখে। এখন পালানো কঠিন হয়ে গেছে। বর্ডার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রাজধানীসহ সারা দেশে যেসব মামলা হচ্ছে তার মধ্য অনেককে ভুয়াভাবে আসামি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখন কোন মামলা পুলিশ বাদী হয়ে করছে না। এই মামলাগুলো করছে সাধারণ জনগণ। তারা (জনগণ) ১০ জনের নাম দিচ্ছেন, হয়ে যাচ্ছে ১০০ জনের নামে মামলা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। তারা কোথায় আছেন, তারা কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের তথ্য দিন। আমাদের দায়িত্ব তাদের গ্রেফতার করা। আপনাদের দায়িত্ব আমাদের তথ্য দেওয়া। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে, আপনারাও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন। পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের চিকিৎসা সরকার করবে। প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে, কোন কিছুতে কার্পণ্য করা হবে না বলেও জানান তিনি।
নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় চার ব্যবসায়ীকে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নওগাঁর সহকারী পরিচালক মো. রুবেল আহমেদ।
এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণসহ সকল দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক রাখতে দুপুরে শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ, বেশি দামে দ্রব্যমূল্যে বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় কাঁচা বাজারের আল আমিন সবজি ঘরকে ২ হাজার টাকা, এছাহক আলী সবজি ঘরকে ২ হাজার টাকা, মুরগি বাজারের হোসাইন পোল্ট্রি ফার্মকে ১ হাজার টাকা ও প্রিয়াংকা আতব ভান্ডারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ডিমের দামসহ বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাজার তদারকির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।অভিযানের সময় নওগাঁ সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার, ডিবি অফিস, জেলা রেকর্ড রুম,ডিসি, এসপির বাসভবনের নিচ তলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এছাড়াও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও বাসাবাড়ির উঠানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলার সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নিন্মাঞ্চলীয় এলাকা গুলোতে নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সদর উপজেলার বাসিন্দা কাজল জানান, গত কয়েক দিন যাবত নোয়াখালীতে রোদ্র উজ্জল আবহাওয়া থাকায় জলাবদ্ধতা কমে আসে। গত ২৪ ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা আবার বেড়েছে। মূলত গত দেড় মাস ধরে নোয়াখালীতে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রোদ হলে জলাবদ্ধতা কমে, বৃষ্টি হলে আবার জলাবদ্ধতা বাড়ে।
বেগমগঞ্জের বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, নোয়াখালীর পানি নিষ্কাশিত হওয়ার প্রধান খাল, বিল,জলাশয়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরো অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়। এজন্য বন্যার পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, সদর উপজেলায় এখনো পানিবন্দি রয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৮১৫টি পরিবার। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি পানিবন্দি রয়েছে বেগমগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলায় ১ লাখ ২৫হাজার ৩১৫ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সর্বনিন্ম পানিবন্দি রয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলায়। এখানে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যক্ষেক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও ২/১ দিন হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
নোযাখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। এর মধ্যে পানি নিষ্কাশনে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।