লকডাউনেও সাভারে রড-সিমেন্টের দোকান খোলা



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রড আনলোড করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

রড আনলোড করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোরের আলো ফোটার আগেই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে সাভারের রড সিমেন্টের দোকানগুলো। অঘোষিত লকডাউনের মধ্যেই চুটিয়ে ব্যবসা করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম থেকে টনকে টন রড আসছে। সেই রড মেপে ক্রেতাদের কাছে তুলে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

কেবল রডই নয়, ইট, সিমেন্ট, টিন, লোহালক্কর এমনকি টাইলসসহ বহু পণ্যের দোকানও খোলা রয়েছে সাভারে।

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে রেডিও কলোনি সংলগ্ন এলাকাগুলোতে সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালের চিত্র ছিল এটি। 

রড আনলোড করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনীর টহল, পুলিশের তৎপরতা সর্বোপরি সরকারি নিষেধাজ্ঞা, সবকিছু উপেক্ষা করেই এক রকম বিনা বাধায় রমরমা ব্যবসা করে আসছেন একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা।

প্রকাশ্যে রড, সিমেন্ট, টাইলস বিক্রি করলেও অঘোষিত লকডাউনের অজুহাতে এসব পণ্যের দামও রাখছেন বাড়তি।

"বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর" মত প্রশাসনের "কঠোর অবস্থানের" কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

ট্রাক থেকে পিকআপ ভ্যানে রড ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, লকডাউন যেন আমাদের ওপরই এককভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনে আমরা যারা ঘরে রয়েছি, তাদের খোঁজ খবর কেউ নেয় না। অথচ যারা নিয়ম ভঙ্গ করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, তাদের বিষয়ে প্রশাসন একেবারে নিরব।

সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপন জারি করে চাল, ডাল, কাঁচামালের মতো জরুরি নিত্য পণ্যের দোকান সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার আদেশ দেয়। সমালোচনার মুখে সেই সময়সীমা আরো দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলেও লকডাউনের এ পরিস্থিতিতে রড সিমেন্টের ব্যবসা কি করে চলে?

প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

 ভ্যানে রড নেয়া হচ্ছে খুচরা ক্রেতার কাছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

আমরা ঘরবন্দী জীবন যাপন করছি, আর অন্যরা চুটিয়ে ব্যবসা করবে, তা তো হতে পারে না। বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই বলছিলেন শিমুলতলার বাসিন্দা আবদুস সবুর।

সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ডগরমোড়া জালেশ্বর এলাকায় মেসার্স রাকিবুল স্টিল নামের লৌহজাত পণ্যের দোকানটির ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো।

ওজন স্কেলে লৌহজাত পণ্য মাপা হচ্ছে। সেই পণ্য ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে খুচরা ক্রেতাদের কাছে। এ লকডাউনের মধ্যেও দোকান খোলা রেখেছেন? অন্যদের দেখাদেখি আমরা খোলা রেখেছি। সামনে গেলে দেখবেন বড় বড় সব দোকান খোলা। বেশ অকপটেই কথাগুলো বলছিলেন দোকানটির কর্ণধার মইনুল হক রতন।

মান্নান স্টিলে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন ব্যস্ততা। চট্টগ্রাম থেকে আসা ট্রাক থেকে টনকে টন লৌহজাত পণ্য খালাস করা হচ্ছে। অন্যদিকে তা পিকআপ ভ্যান ও ভ্যান গাড়িতে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে।

আবুল কালাম নামে একজন শ্রমিক জানান, এ পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ তাদের বাধা দিতে আসেননি। ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় তাদের ব্যস্ততা।

সকালে বিভিন্ন দোকানে দেখা গেছে এমন চিত্র। সাভার অন্ধ সংস্থা মার্কেট এলাকা থেকে টিন নিতে আসা ভ্যানচালক জানান, মহাজন তাকে পাঠিয়েছেন মাল নিতে। গ্রামে-গঞ্জেও দোকান খোলা রেখে ও নিয়মিত পণ্য বিক্রি চলছে বলে জানান তিনি।

চলছে টিন কেনা বেচা, ছবি: বার্তা২৪.কম

একই অবস্থা দেখা গেল টাইলসের দোকানগুলোতেও। সেখানেও একটি পিকআপ ভ্যানে শ্রমিকরা টাইলস ডেলিভারি দিচ্ছিলেন।

মোবারক হোসেন নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে সরকার প্রধান যেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও যেতে নিষেধ করেছেন, বাসায় নামাজ পড়তে অনুরোধ করছেন। সেখানে এ সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা রেখে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে?

মহামারি নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। যা দুই দফায় বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে সরকারি এ নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না সাভারে একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। করোনাভাইরাস সংকটের মুখে সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যবসা বণিজ্য ও দোকানপাট খোলা রেখে তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছেন বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।

দোকান থেকে টিন ডেলিভারি নিচ্ছেন দুই চালক, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, প্রশাসন খেটে খাওয়া মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দেবে? না কি এদের পেছনে তদারকিতে সময় দেবে? মানুষ যেখানে শঙ্কিত। সরকার যেখানে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, সামাজিক বিচ্ছিন্নতাও ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে কি করে তারা দোকানপাট খোলা রাখতে পারেন, তা আমাদের মাথায় ঢোকে না।

আসলে এসব ব্যবসায়ীর চিন্তাটাই হলো আরো বেশি টাকা কামানো। দেশ, সমাজের কি হলো সে চিন্তা-ভাবনা কখনই তারা করেন না। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে রড সিমেন্টের মত দোকান খোলা রেখেছেন।

আফসোস ঝরে ওই কর্মকর্তা কণ্ঠে।

   

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাজশাহীতে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

;

চট্টগ্রামে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মোছাম্মৎ সাফা নামের ছয় মাস বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের ধারণা, অতি গরমে শিশুটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি নাম মো. নিজাম উদ্দীনের মেয়ে।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়ে। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেয়ার পর তার শরীর ঠাণ্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাক্তার সাবরিনা আকতার বলেন, হিট স্ট্রোকে মারা গেছে কিনা সেটা পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত করলে তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা যাবে আসলে কি হয়েছিল শিশুটির। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে সে মারা যায়।

প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অতি দুর্বলতা, বমির উদ্রেক, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকে হিট স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি অতি জরুরি অবস্থা। যাকে বলা হয় মেডিকেল ইমার্জেন্সি।

 

;

বরিশালে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে অভিযান, ১৩ গাড়িকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের যাত্রায় বরিশাল জেলার মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন নিশ্চিত করতে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে বরিশালের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নিরবচ্ছিন্ন ভাংগা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল জেলার গৌরনদী, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে করতে মোবাইল কোর্ট অভিযানের অংশ হিসেবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তারা স্পিডোমিটার দিয়ে গাড়ির গতিসীমা পরীক্ষা করেন। দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে মহাসড়কে গতিসীমা মেনে চলতে সতর্ক করা হয়।

এ সময় রুটপারমিট বিহীন গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর বিধান মোতাবেক ১৩টি মামলায় ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন বরিশালের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;