ধলেশ্বরীতে জেগে ওঠা চরের মাটি অবাধে বিক্রি



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলছে মাটি উত্তোলন/ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলছে মাটি উত্তোলন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রশাসন ব্যতিব্যস্ত তখন টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধলেশ্বরী নদীতে জেগে ওঠা চরের মাটিতে অবাধে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। থানা ঘাট হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা সংলগ্ন সরাতৈল, বিয়ারামারুয়া ও কুর্শাবেনুর ধলেশ্বরী নদীর চরের মাটি অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করছে তারা। বালু ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদীতে জেগে ওঠা চরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।

মাটি বিক্রির স্লিপ

সোমবার (৬ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সরাতৈল গ্রামের প্রভাবশালী জুহুরুল মন্ডল, আনোয়ার মন্ডল ও চান মিয়া ধলেশ্বরী নদীতে জেগে ওঠা চরের মাটি বেকু (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে কেটে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করছে। গ্রামের অসহায় মানুষের জমি জোরপূর্বক নিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তা বানিয়েছে। দিন-রাত শত শত ট্রাকযোগে এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় উত্তরবঙ্গে যাওয়া গ্যাস লাইন পাইপের ওপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে ট্রাক চলাচল করছে। এতে হুমকিতে রয়েছে গ্যাস পাইপ লাইন।

প্রতিদিন শতশত ট্রাক ভর্তি মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

জানা গেছে, মেসার্স মন্ডল বাড়ী বালুর ঘাট নাম দিয়ে সারতৈল বিয়ারামারুয়া ও কুর্শাবেনুর ধলেশ্বরী নদীর চরের মাটি দীর্ঘদিন যাবত কেটে বিক্রি করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন সেটি বন্ধে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। জেগে ওঠা চরে স্থানীয়রা বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ কলার আবাদ শুরু করেছে। সেই আবাদ করা ফসল নষ্ট করে জমির মাটি কাটা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে দেশে পণ্যবাহী ব্যতীত সকল যানবাহন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে বালুবাহী ট্রাকগুলো মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে।

সরাতৈল গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী হাসনা বেওয়া বলেন, জোরপূর্বক প্রভাবশালীরা বাড়ির ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তা বানিয়েছে। এতে ট্রাকের শব্দে ও ধুলায় রাতে ঘুম আসে না। বাধ্য হয়ে অন্য এলাকায় গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

ঘাট থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে যাচ্ছে

ইমরান নামে আরেকজন বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এলাকাবাসী চলাচলের জন্য মহাসড়ক পর্যন্ত মাটির রাস্তা তৈরি করেছিল ২০১৪ সালে। প্রভাব খাটিয়ে ধলেশ্বরী নদীতে জেগে ওঠা চরের মাটি কেটে বিক্রি করছে। অথচ এই মাটির রাস্তার নিচ দিয়ে উত্তরবঙ্গে গ্যাস সরবরাহের জন্য গ্যাস লাইনের পাইপ রয়েছে।

মেসার্স মন্ডল বাড়ী বালুর ঘাটের মালিক জহুরুল মন্ডল বলেন, স্থানীয় এমপি, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনকে অবহিত করেই ঘাট চালাতে হয়। মৌখিক অনুমতি নিয়ে ধলেশ্বরীর চর কেটে বিক্রি করছি। আপনারা সংবাদ লিখে করে কী করবেন। সবাই ঘাট থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আইয়ুবুর রহমান বলেন, থানা সংলগ্ন হলেও ঘাট নিয়ে আমাদের কোনো কাজ নেই। আমরা শুধু মহাসড়ক দেখাশুনা করি। ঘাট নিয়ে ভাবার সময় নেই।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানান, ঘাট মালিকরা যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা। ঘাট পরিচালনার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

চরে আবাদ করা ফসল কেটে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে


 

বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরত বিবিএ’র সহকারী প্রকৌশলী এসানুল কবির পাভেল বলেন, নদীর মাটি উত্তোলনের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব তাদের নয়। এক্ষেত্রে অনুমতি দেয়ার বিষয়টিও তাদের নয়। যদি কেউ নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে থাকেন তাহলে সেটি দেখবেন উপজেলা প্রশাসন।

অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা নীপা।

মাটি উত্তোলনের অনুমতি দেয়ার কথা অস্বীকার করে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী বলেন, সুবিধাবাদীরা এখন তার নাম হাট বাজারে বিক্রি করা শুরু করেছে। এ কারণে বালু ব্যবসায়ীরা সুবিধা আদায়ে তার অনুমতি দেয়ার কথা বলছেন। তবে এ ধরনের কোনো কাজের জন্য জেলা বা উপজেলা প্রশাসনকে সুপারিশ করেননি বলেও জানান তিনি। 

   

নওগাঁর মান্দায় ৮ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মান্দায় অগ্নিকাণ্ডে আটটি বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮টি পরিবার।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- বাবু কবিরাজ, রমজান আলী, গুলজান বিবি,মিঠুন কবিরাজ, , সেলিম কবিরাজ, নুরজাহান বেওয়া, রশিদুল ইসলাম ও ছহির উদ্দিনের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।

এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই রমজান আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে তা আশপাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে যায় আটটি বসতবাড়ি।

মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শফিউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

;

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল’

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল’

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ১৫৪টি দেশের মধ্যে ১০০টি দেশেরই নেই কোনো পরিকল্পনা, সেখানে বিশ্বে সবাই বলে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। বিপুল পরিমাণ এই অর্থযোগান দিতে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪- এর দ্বিতীয় দিনে ‘অ্যাডভানসমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যানস অব বাংলাদেশ’ সেশনে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ, স্বল্পোন্নত দেশ, অনুন্নত দেশ এবং ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলত। কিন্তু বর্তমানে উন্নত দেশগুলোকেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। সুতরাং, জলবায়ু পরিবর্তন এটা একটা বৈশ্বিক বিষয়, শুধু বাংলাদেশের একার নয়। ছোট দেশ হয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত বাংলাদেশ যেভাবে সফলতার সাথে মোকাবেলা করছে, সে হিসেবে বিশ্বের সবাই বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখে।

তবে, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ সরকারের একার পক্ষে জোগান দেওয়া অসম্ভব। তাই জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনে আর্থিক ঋণ সহায়তা নিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য যে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করে ঋণ সহায়তায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এ অংশগ্রহণকারী সকল দেশের সাথে আমরা আমাদের দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় যেভাবে কাজ করেছি, যে কার্যক্রমগুলো করেছি সে অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি। পাশাপাশি সামনে আজারবাইজানের বাকুতে যে কপ সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে পিলার হিসেবে উপস্থাপন করাই ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ এর উদ্দেশ্য।

এছাড়াও মন্ত্রী তার বক্তব্যে জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব তুলে ধরেন।

‘অ্যাডভানসমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যানস অব বাংলাদেশ’ সেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। মালিক ফিদা এ খান, নির্বাহী পরিচালক, সিইজিআইএস; এ কে এম সোহেল, অতিরিক্ত সচিব, ইআরডি, এবং চেয়ার, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স সেল; কেনেল DELUSCA, Ph.D., ITAP সদস্য, সবুজ জলবায়ু তহবিল; ড. এম. আসাদুজ্জামান একজন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ উপস্থাপন করেন।

;

রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবসকে সামনে রেখে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে নিহতদের পরিবার, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনের শহীদ বেদিতে এ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক নেতারা নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্থায়ী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ট্রেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু প্রমুখ।

 

;

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবরের একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ৪৩/বি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- নাসিমা আক্তার (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, নিহত নাসিমা আক্তার পেশায় একজন গৃহকর্মী। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। নিহত নাসিমার সাথে বিভিন্ন সময় তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

;