সাভারে ওসির চেষ্টায় অন্তিম ঠিকানা পেলেন নুরুন্নাহার



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওসির চেষ্টায় দাফন হয় নুরুন্নাহারের, ছবি: বার্তা২৪.কম

ওসির চেষ্টায় দাফন হয় নুরুন্নাহারের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও সাভারে দাফন করা যাচ্ছিল না সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগমকে (৬৫)।

চিকিৎসা শেষে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের জামসিং সোসাইটিতে বোনের বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। ছিলেন ক্যান্সারের রোগী। হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।

তারপর শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। নিঃসন্তান নূরুন্নাহারের স্বামী পেশায় চিকিৎসক। থাকেন বরিশালে। শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া নুরুন্নাহারকে কোভিড-১৯ রোগী বলে সন্দেহ করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গোটা এলাকার বাসিন্দারা। পরিবারটিকে এক রকম একঘরেই করে ফেলেন তারা।

এ পরিস্থিতিতে নুরুন্নাহারের মরদেহ বরিশালে বহন করে নিতে অস্বীকৃতি জানান অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও। স্থানীয়ভাবে দাফনের চেষ্টা করা হলেও এগিয়ে আসা দূরের কথা, প্রতিরোধ গড়ে তোলেন প্রতিবেশীরা।

ওসির চেষ্টায় দাফন হয় নুরুন্নাহারের, ছবি: বার্তা২৪.কম

বোনের মৃত্যুতে এমন পরিস্থিতির মুখে দীর্ঘদিন এক সাথে চলা প্রতিবেশীদের ভিন্ন চেহারা দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েন সেতারা বেগম।

অঘোষিত লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে বরিশাল থেকে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে সাভারে দাফনের সম্মতি দেন স্বামী মফিজুল ইসলাম।

তবে ওই নারীকে দাফনের উদ্যোগ নিতে গেলেই শুরু হয় বিপত্তি। ফজর নামাজের পর থেকে জোহরের ওয়াক্ত পেরিয়ে গেলেও স্থানীয়দের সঙ্গে পরিবারটির চলতে থাকে টানাপোড়েন।

পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকে হারিয়ে একদিকে শোকাতুর প্রিয় স্বজনরা। অন্যদিকে স্থানীয়দের বাধার মুখে দাফন করতে না পেরে ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

দীর্ঘ সময় এভাবে মরদেহটি পড়ে থাকায় শেষমেষ পরিবারটি শরণাপন্ন হয় সাভার মডেল থানায়।

ওসি এএফএম সায়দ, ছবি: বার্তা২৪.কম

সব শুনে মানবতার টানে এগিয়ে আসেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়দ। নিরাপত্তার কারণে প্রথমে নিজেই যাচাই করে নেন, ওই নারীর মৃত্যুর কারণ।

ছুটে যান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদার কাছে।

রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কাগজ দেখে নিশ্চিত হন, করোনাভাইরাস নয়, প্রকৃতপক্ষে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ভোগা ক্যান্সারেই।

তাৎক্ষণিক তিনি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক মর্যাদায় ও যথাযথ সম্মানের সঙ্গে ওই নারীকে দাফনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেনকে।

প্রয়োজনীয় ফোর্স নিয়ে এসআই লোকমান রওনা হন সাভারের জামসিং সোসাইটি এলাকায়।সেখানে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও এগিয়ে আসেননি স্থানীয়রা। কোনোক্রমেই স্থানীয় কবরস্থানে ওই নারীকে দাফন করা যাবে না বলে জানান তারা।

লোকজনকে সচেতন করছেন ওসি এএফএম সায়দ, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে শেষমেষ ওসির নির্দেশে এসআই লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য শুরু করেন জানাজার আনুষ্ঠানিকতা।

পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা। এভাবে দু- একজন লোক আর পরিবারের সদস্যরা যোগ দিলেও ওই মহল্লার অন্য কেউ সামিল হননি ওই জানাজায়। এরপর বিকেলে দাফন করা হয় ওই নারীকে।

নুরনাহারের ভাগ্নি জামাতা শফিকুল ইসলাম জানান, এমন পরিস্থিতিতে আমরা পড়বো তা কল্পনাও করিনি। ক্যান্সারে মারা গেলেও আমার খালা শাশুড়ি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন - এমন সন্দেহে আমাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়। সাভার মডেল থানার ওসি সাহেব উদ্যোগ না নিলে হয়তো বা মরদেহতে পচন ধরত।

নিজ দায়িত্বের বাইরে এসে ওসি এএফএম সায়েদ যেভাবে আন্তরিকতা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমরা কোনো দিন তার এ ঋণ শোধ করতে পারব না- আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন শফিক।

এসআই লোকমান হোসেন জানান, সম্পূর্ণ বিষয়টি ওসি সাহেব নিজে তদারকি করেছেন। হাজার অনুরোধ করেও দাফনের জন্য যখন আমরা কাউকে পেলাম না, তখন ওসি সাহেবের নির্দেশনায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাই দাফনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করি। আমাদের দেখে দু-একজন পরে সাহস করে এগিয়ে আসেন।

পেশাগত কাজের বাইরে ও মানবিক বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত থেকে এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নিজেও নেমে পড়েছেন মাঠে। ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে সতর্কতার পাশাপাশি সমানতালে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের কাজটিও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিজের পেশাগত কাজের দক্ষতায় সুনাম অর্জন করে হয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি।

করোনাভাইরাস রোধে পুলিশের গাড়িতে করে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ তার নেওয়া নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ স্থানীয়দের মাঝেও ব্যাপক প্রশংসিত।

ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, আমি আমার দায়িত্বটুকু কেবল পালন করার চেষ্টা করেছি। সবাই যদি ভীতু হয়ে পিছটান দেন, তাহলে মানবতা রক্ষা করবে কে?

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;