ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ, ৯০ যাত্রীসহ গাড়ি আটক
জাতীয়
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসার সময় ১০টি গাড়িসহ প্রবেশদ্বারে ৯০ জন যাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে ১টি বাস, ১টি অ্যাম্বুলেন্স, ৪টি মাইক্রোবাস, ১টি পিকআপ ভ্যান ও ৩টি প্রাইভেটকার আটক করা হয়।
পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন ১০ জন গাড়ি চালককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ঢাকা থেকে আসা ৯০ জনকে জেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ নেন। জরিমানা না মানলে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মামুন জানান, এই ৯০ জন যাত্রী ঢাকা থেকে অবৈধভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ করছিলো। তাদের আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ ঢাকা থেকে আসলে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়েছে- গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা-মামলাসহ একাধিক গণমাধ্যমকে বন্ধ করার তৎপরতা স্বাধীনতার ওপর হুমকি বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে ‘নতুন বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী ১০০ দিন’ এর ওপর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পর্যবেক্ষণে এই চিত্র ওঠে এসেছে।
টিআইবি তাদের গবেষণায় তুলে ধরে, সরকারের দোসর ও আন্দোলনের বিরোধিতা করার অভিযোগে ঢালাওভাবে ১৬৭ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হামলা-মামলাসহ কোন কোন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করার তৎপরতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হুমকি মনে করে সংস্থাটি।
বাজার সিন্ডিকেটের কবলে আলুর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণে কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) এর উদ্যেগে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
সিসিএস লক্ষ্মীপুর ইউনিটের নেতৃবৃন্দ জানায়, বিগত ১ মাস ধরে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজকেন্দ্রীক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয় মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা।
সংগঠনটির জেলা সমন্বয়ক আবুল হাসান সহেল বলেন, কতিপয় মজুদদার, বেপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার/মালিক যোগসাজসে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন সিসিএস লক্ষ্মীপুর ইউনিটের সদস্য মাহামুদুন্নবী রাসেল, আল আমিন, আবদুল বাতেন, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যা ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতনতা সৃষ্টিসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সিসিএস এর বর্তমানে ৬১টি জেলায় ও ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে।
যে বয়সে খাতা-কলম ও খেলনা নিয়ে আনন্দে খেলাধুলার কথা সে বয়সে হাতে নিয়েছে হাতুড়ি। কোমল হাতে ইট ভেঙে পরিবারকে সহযোগিতা করছে ওরা। দারিদ্র্যের কারণে এদের অনেকে স্কুলের গন্ডিতেও পৌঁছাতে পারেনি। বলছি রংপুর নগরীর আলমনগর বিহারী ক্যাম্পে ঝড়ে পড়া কিছু শিশুর বাস্তবচিত্র।
হাতুড়ির টুস-টাস শব্দে প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে তাদের ইট ভাঙার দৃশ্য। দরিদ্র পরিবারে অভাবের তাড়নায় খুব সকালেই মায়ের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন ইট ভাঙতে। ইট ভাঙার আয়ের ওপরই চলে তাদের সংসার।
মায়ের সঙ্গে ইট ভাঙছে শিশু গুড়িয়া। মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কমের এই প্রতিবেদনের সঙ্গে আলাপকালে গুড়িয়া বলেন, বাবা ভ্যান চালক। তার প্রতিদিন কাজ থাকে না। মা ইট ভেঙে যে টাকা পায়, তা দিয়ে আমাদের বাজার খরচ চলে। অতিরিক্ত আয় করতে আমিও মায়ের সঙ্গে ইট ভাঙি। আগে ইট ভাঙতে হাতুড়ি চালাইতে ভয় লাগতো কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে সে জানায়, মাঝে মধ্যে যায়।
হাতুড়ি চালিয়ে ইট ভাঙতে থাকা শিশু রাফিয়া বলেন, মায়ের সঙ্গে ইট না ভাঙলে আমাদের সংসারের চলে না। বাবা আরেকটা বিয়া করছে আমাদেরকে খরচ দেয় না। মা ইট ভাঙে আমিও সঙ্গে যোগাল দেই।
সে জানায়, বিকেলে স্কুলে যায়। তবে যেদিন খোয়ার অর্ডার বেশি থাকে সেদিন স্কুলে যেতে পারে না।
খোয়া ভাঙতে থাকা একজন অভিভাবক বলেন, সকালে ঘুম থাকি উঠিয়া খোয়া না ভাঙলে প্যাটে ভাত যাবে না। বাচ্চা কাচ্চা নিয়া খুব কষ্ট, জিনিসপাতির দাম বেশি সংসার চলে না। ডাল ভাত খায়া বাঁচতে বাচ্চা কাচ্চা নিয়া খোয়া ভাঙি ৯০-১০০ টাকা করি বিক্রি হয়। দিনে ৩-৪ বস্তা খোয়া ব্যাচা হয়, কখনো হয় না। এভাবেই কোনমতে সংসার চলে। ক্যাম্পে থাকি আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শিশুরা কম বয়সে যেন কাজ না করে, এজন্য সরকারি উদ্যোগে কিছু বেসরকারি সংস্থা হতদরিদ্র অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিভাবকদের সচেতন করতে কাজ করছে। এসব পরিবারকে বোঝানো হচ্ছে যে তারা যেন তাদের শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে না পাঠায়। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। শিশুশ্রম বন্ধে প্রতি তিন মাস পরপর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।