করোনায় দুস্থদের বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছেন ডা. খোকন
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। এর সঙ্গে দেশব্যাপী পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার।
এদিকে, করোনাভাইরাস রোধে দেশব্যাপী চলছে অঘোষিত লকডাউন। আর এই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সরকার।
শুধু সরকারই নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই এগিয়ে আসছেন দুস্থ গরীব অসহায় মানুষদের পাশে। তারা নিজেদের সাধ্য মতো জরুরি খাদ্যসামগ্রী ও সেবাসহ নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাদেরই একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মনিপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডা. খোকন আচার্য (ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন)।
দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে সাধারণ সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে যেসব অসহায় রোগী তার কাছে আসছেন, তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তিনি৷ সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধও তাদের বিনামূল্যে দিচ্ছেন।
এছাড়া এসব রোগীর মধ্যে যারা ষাটোর্ধ রয়েছেন তাদের কিংবা তাদের পরিবারের লোকজনকে বিনামূল্যে মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন।
ডা. খোকন গোসাইপুর বাজারস্থ ‘হৃদয় ফার্মেসি’ নামে তার নিজস্ব দোকান থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এদিকে, এই চিকিৎসক তার নিজ গ্রামে কর্মহীন শ্রমজীবীদের হাতে সাধ্যমত খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। এ সময় তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও সরকার কর্তৃক বর্ণিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে ডা. খোকন আচার্য বলেন, ‘দেশ এখন ভয়াবহ অবস্থা চলছে করোনার কারণে। তাই দেশের গরীব আসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। তাই খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরু করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দিচ্ছি তাদের। এছাড়া যাদেরকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেওয়া উচিৎ মনে হচ্ছে তাদের তা বিনামূল্যে দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনাভাইরাসকে অবশ্যই পরাজিত করব। সেই লক্ষ্যে নিজের জায়গা থেকে যতটুকু পারি গরীব অসহায়দের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আমাদের মতো পল্লী চিকিৎসকদের কাছে আসেন। সে ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে পল্লী চিকিৎসকদের অনলাইনে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হলে বিষয়টি আরও ভালো হতো।’